অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের দুই পুঁজিবাজারেই মঙ্গলবার সূচক ও লেনদেনে অগ্রগতি হয়েছে। ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জ্বালানি এবং শক্তিখাতের রাষ্ট্রায়ত্ব কোম্পানিগুলোর চাহিদা বাড়ায় ঢাকা স্টক একচেঞ্জের সার্বিক সূচকে যোগ হয়েছে ১৩ পয়েন্ট। ডিএসইতে মোট ৫৩ শতাংশ কোম্পানির দরবৃদ্ধির দিনে ৪৩৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দিনটিতে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকার বা ২ শতাংশ। ডিএসইতে ৪২৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। ঢাকার মতো অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকই বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রধান বাজারে সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়েই লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু সকালে শুরুতে লেনদেনের গতি কিছুটা কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনের গতি কিছুটা বাড়লেও সূচকের ওঠানামা চলতে থাকে। কখনও সূচকের তীর ওপরে উঠে আবার কখনও নীচে নেমে যায়। এভাবে সূচকের উত্থান-পতনের পরে ডিএসই প্রধান মূল্যসূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৯৪৪ পয়েন্টে অবস্থান দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক দশমিক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১৫২ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮২২ পয়েন্টে। ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩০৪টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১১১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬১টির।
এছাড়া ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে গ্রামীণফোনের শেয়ার। এরপরে রয়েছেÑ বেক্সিমকো ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা, কাশেম ড্রাইসেল, হামিদ ফেব্রিক্স, সামিট পোর্ট এ্যালায়েন্স, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, ইউনাইটেড লিজিং কোম্পানি, লাফার্জ, সুরমা সিমেন্ট এবং বেক্সিমকো।
দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ রূপালী ব্যাংক, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, লিগ্যাসি ফুটওয়ার, হাক্কানী পাল্প, দেশবন্ধু, সিনো বাংলা, ইউএলসি, মিরাকল ইন্ড্রাস্টিজ, এআইবিএল ১ম মিউচুয়াল ফান্ড ও বিডি থাই।
দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ সোনালি আঁশ, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন, কে এ্যান্ড কিউ, আরএন স্পিনিং, হামিদ ফেব্রিক্স, বিডি ওয়েল্ডিং, প্রিমিয়ার লিজিং, মেঘনা পেট, মাইডাস ফাইনান্স ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স।
ডিএসইতে খাতভিত্তিক লেনদেনের সেরা স্থান দখল করেছে ওষুধ এবং রসায়ন খাত। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ৫৮ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৭৯ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাতটি। প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলোর মোট লেনদেনের ৫৭ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৪৩ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাত। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৪ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৬৮ ভাগ।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: