ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গীতাকে জাতীয় গ্রন্থের মর্যাদা দাবি ॥ তোপের মুখে সুষমা

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ১০ ডিসেম্বর ২০১৪

গীতাকে জাতীয় গ্রন্থের মর্যাদা  দাবি ॥ তোপের মুখে সুষমা

‘ভগবতগীতাকে’ ভারতের জাতীয় গ্রন্থের মর্যাদা দেয়ার দাবি তুলে তোপের মুখে পড়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ক্ষমতাসীন বিজেপির শরিক পিএমকেও সুষমাকে সমালোচনা করেছে। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেছেন, দেশে অনেক ধর্মীয়গ্রন্থ রয়েছে। কিন্তু স্রেফ গীতাকে পবিত্রতর বলার মানে কি? ডিএমকে প্রধান এম করুণানিধি বলেছেন, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। সরকারের উচিত সকল ধর্মকে সমান গুরুত্ব দেয়া। মায়াবতী বলেছেন, গীতাকে জাতীয় গ্রন্থের মর্যাদা দিলে অন্য ধর্মের লোকেরাও একই দাবি তুলবে। খবর ডন ও আনন্দবাজার অনলাইনের। গীতাকে জাতীয় গ্রন্থ হিসেবে ঘোষণার সুষমা স্বরাজের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে, গণতন্ত্রে সংবিধানই পবিত্র গ্রন্থ। দিল্লীর লালকেল্লা ময়দানে আয়োজিত গীতা প্রেরণা মহোৎসবে সুষমা স্বরাজ গীতাকে জাতীয় গ্রন্থ হিসেবে ঘোষণার কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ প্রেসিডেন্ট অশোক সিংঘেল উপস্থিত ছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্রুত ‘ভগবতগীতকে’ জাতীয় গ্রন্থ হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে প্রধানমন্ত্রী মোদি যখন একটি গীতার কপি উপহার দেন ঠিক তখন গীতাই যে ভারতের জাতীয় গ্রন্থ তা প্রমাণ হয়ে যায়। তিনি বলেন, ভগবতগীতায় মানুষের সকল সমস্যা সমাধানের কথা বলা আছে। আর তাই আমি পার্লামেন্টে ‘গীতাকে’ জাতীয় গ্রন্থ করার দাবি তুলেছিলাম। সুষমার এ সংক্রান্ত দাবির প্রেক্ষাপটে এক টুইটার বার্তায় তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে, আমাদের সংবিধানে বলা আছেÑ ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।
×