ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদার সঙ্গে বৈঠক করা আমলারা শনাক্ত

শীঘ্রই ব্যবস্থা

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ১০ ডিসেম্বর ২০১৪

শীঘ্রই ব্যবস্থা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেয়া সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা সরকারের হাতে দিয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক সাংবাদিকদের বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ওই বৈঠকে অংশগ্রহণকারীদের শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, আগেই বলেছিলাম, বিষয়টি হালকাভাবে নেয়া হবে না। তা নেয়াও হয়নি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত ৪ ডিসেম্বর রাতে গুলশানে খালেদা জিয়ার সঙ্গে একদল সরকারী কর্মকর্তার বৈঠকের খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হলেও একে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেয় বিএনপি। তবে সরকার ওই ঘটনাকে হালকাভাবে নেবে না জানিয়ে তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। কতজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শনাক্ত করা হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারের তিনটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই তালিকায় যাদের নাম এসেছে মন্ত্রণালয় তা যাচাই বাছাই করছে। শনাক্ত করার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হলেই এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে প্রশাসন ক্যাডারের কয়েকজন কর্মকর্তার অংশ নেয়ার কথা জানা গেলেও বাকিরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিষয়টি প্রমাণিত হলে চাকরিবিধি অনুযায়ী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত নন-ক্যাডার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ই ব্যবস্থা নেবে। আর প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে। বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকটি টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদপত্রে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ওই বৈঠক চলার খবর প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়, যাতে প্রশাসনের একদল কর্মকর্তাও রয়েছেন বলে জানানো হয়। এরপর রাতেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ওই খবর আদৌ সত্য নয়। ওই সংবাদ প্রচার ও প্রকাশের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয় বিএনপির সহদফতর সম্পাদক শামীমুর রহমানের সই করা ওই বিবৃতিতে। তবে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক কয়েকজন আমলাকেও ওই রাতে তার কার্যালয়ে যাদের দেখা যায়। ওই দিন খালেদা জিয়া রাত সোয়া ৯টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত গুলশানের ওই কার্যালয়ে ছিলেন। ওই কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় ফখরুল সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, কোন সরকারী কর্মকর্তাই বৈঠকে ছিলেন না।
×