ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আড়াইহাজারে আ’লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ১৫

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ৯ ডিসেম্বর ২০১৪

আড়াইহাজারে আ’লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ১৫

টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ সোমবার সকালে মেঘনা নদী বেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চল আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৬ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। ১৪টি বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ মোতালেব, রব মিয়া, লিয়াকত, শামসু, জ্যোস্না বেগম ও মনিরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, কালাপাহাড়িয়ায় রবিবার রাতে জয়রাম দাস ও মধু দাস নামে দুইজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। গ্রামের লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে সালিশ করে দুজনের বিরোধ মিটিয়ে দেন। কিন্তু সকাল ৮টায় কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম স্বপনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত রুবেল ও আক্তার মধুর পক্ষ নিয়ে জয়রামকে মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল হক ডালিমের সমর্থক হিসেবে পরিচিত শামসু। এ নিয়ে দুই পক্ষের হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জের ধরে স্বপন ও ডালিম গ্রুপের লোকজন পিস্তল, পাইপগান, লাঠিসোটা, টেঁটা, জুইত্যা নিয়ে মুখোমুখি হয়। এক পক্ষ ঝাঁপিয়ে পড়ে অন্য পক্ষের ওপর। পুরো এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। প্রায় একঘণ্টা চলে এই সংঘর্ষ। এক পক্ষের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। বেতন মওকুফ না করায় সিলেটে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ নেতাকর্মীদের বেতন মওকুফ করে পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন করতে না দেয়ায় সিলেট মদন মোহন কলেজের অধ্যক্ষকে কক্ষ থেকে বের করে তালা ঝুলিয়ে দেয় ছাত্রলীগ। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষের তালা খুলে দেয়। ডিগ্রীতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বেতন মওকুফ করে পরীক্ষায় রেজিস্ট্রেশন করতে না দেয়ার জের ধরে তারা এ কা- করে বলে জানা গেছে। জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বর থেকে মদন মোহন কলেজে ডিগ্রী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন চলছে। অর্থমন্ত্রীর অনুমতি সাপেক্ষে দরিদ্র, অসহায়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধীদের বেতন মওকুফ করে পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ছাত্রলীগ নেতা রুমেলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী তাদের অনুগত ২৫ শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন ফরম নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ আবুল ফতেহ ফাত্তাহর কাছে যায়। তারা ওই ২৫ ছাত্রের বেতন মওকুফ করে দেয়ার জন্য অধ্যক্ষকে চাপ দেয়। কিন্তু ওই ২৫ ছাত্র দরিদ্র, অসহায়, প্রতিবন্ধী কিংবা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নয়, তাই তাদের বেতন মওকুফ করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন অধ্যক্ষ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগকর্মীরা অধ্যক্ষকের কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে তালা মেরে দেয়। পরে অধ্যক্ষ শিক্ষক মিলনায়তনে গিয়ে বসেন। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অধ্যক্ষের কক্ষের তালা খুলে দেয়।
×