ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পেছনে লেগেছে যারা!!

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ৯ ডিসেম্বর ২০১৪

সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পেছনে লেগেছে যারা!!

নিশা দেশাই বিসওয়াল অনামন্ত্রিত হয়ে বাংলাদেশ সফর করে যাওয়ার পর বাংলাদেশ-ওয়াশিংটন সম্পর্ক খুব খারাপ হতে পারে বলে দেশের একটি বিশেষ পত্রিকা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। নিউইয়র্কের বিশেষ প্রতিনিধির বরাত দিয়ে যে রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে তাতে সারবস্তু কিছু নেই কারণ প্রতিনিধি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে যোগাযোগ করলে তারা তাকে পরামর্শ দেন বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে কথা বলতে। সৈয়দ আশরাফের বক্তব্যের কারণ কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দেখা না হওয়ার কারণে যদি সম্পর্ক খারাপ হয়ই তাহলে সেটি হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের কী বলার থাকতে পারে তা নিয়ে বিতর্ক তুলে লাভ নেই কিন্তু বাংলাদেশে যে একটি পক্ষ এ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ দেখতে চাইছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। সৈয়দ আশরাফ নিশা দেশাইকে ‘দেড় আনা, দু’আনার’ মন্ত্রী বলেছেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নাম নিয়ে হাস্যকর উক্তি করেছেন, যা কূটনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। এই বক্তব্যের সমালোচনা করতে হলে প্রথমেই বলতে হয় যে, সৈয়দ আশরাফ একজন অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং তাঁর পশ্চিমা গণতন্ত্রের সঙ্গে রয়েছে দীর্ঘ পরিচয়ের ইতিহাস। তাঁর কাছ থেকে কেউই কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত কোন মন্তব্য আশা করে না। কিন্তু কথা হলো, সৈয়দ আশরাফ এরকমটি কেন বলেছেন, তারও সুলুক সন্ধান করা উচিত আমাদের। আগের লেখাতেই উল্লেখ করেছি যে, নিশা দেশাই এদেশে এসেছিলেন স্ব-উদ্যোগে বা তার দেশের হয়ে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কোন কাজে। বিশেষ করে এদেশের গণতন্ত্র, নির্বাচন ব্যবস্থা ইত্যাদি নিয়ে কোন প্রকার কথা বলা বা প্রশ্ন করার এখতিয়ার তাঁকে দেয়া হয়নি। কিন্তু তিনি এসেই দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন এবং কথা বলেছেন আরও কিছু ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যাঁদের সম্পর্কে দেশের ভেতরেই রয়েছে নানা রকম সন্দেহ ও বিতর্ক। বেগম জিয়া এখন আর বিরোধীদলীয় নেতা নন, তিনি একটি বড় রাজনৈতিক দলের নেতা। তাঁর সঙ্গে দেখা করলে তিনি বাংলাদেশের সবকিছুই বিতর্কিতভাবে নিশা দেশাইয়ের কাছে উপস্থাপন করবেন সেটাই স্বাভাবিক এবং হয়েছেও তাই। বাকি যাঁরা তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁরাও কিন্তু বাংলাদেশ সম্পর্কে কোন ভাল কথা বলেছেন বলে শোনা যায় না। কেউই কিন্তু বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে কথা বলেননি, কথা বলেননি বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বমূলক কোন ফর্মুলা নিয়ে। শুধু কথা হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের খারাপ দিকগুলো নিয়ে। এক অনামন্ত্রিত বিদেশী অতিথির সঙ্গে কেবল দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে কথা বলার ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের এই বিদগ্ধ ব্যক্তিগণ নিজেদের দৈন্য প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ওপর ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ করে দিতেই পারেন কিন্তু সৈয়দ আশরাফ কিংবা শেখ হাসিনার পক্ষে সেটা কি ঘটতে দেয়া সম্ভব? যখন দেশে দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই অযাচিত ছড়ি ঘোরানো নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অনেক দেশ থেকেই মুখ ঘুরিয়ে অপমানিত হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে এবং মূলত এই ছড়ি ঘোরানোর কারণেই বিভিন্ন দেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী ধর্মীয় জঙ্গীবাদের উত্থানও ঘটেছে। বাংলাদেশ যখন একটি উঠতি অর্থনীতির দেশ হিসেবে ক্রমশ মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের সম্ভাবনাকে সূচিত করেছে এবং অনেক সূচকেই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরুতে শুরু করেছে তখন বাংলাদেশের আত্মসম্মান বোধটিও যে জাগ্রত হওয়া কিছুটা হলেও প্রয়োজন সে বিষয়টি আমাদের এই বিশিষ্ট জনেরা বোধকরি ভুলেই গিয়েছিলেন। কিন্তু সরকার হিসেবে শেখ হাসিনার সরকারের যে বিষয়টি মোটেও ভোলা উচিত নয় এবং সরকার সেটা ভোলেনি সে জন্য সরকারকে ধন্যবাদ দেয়াটাও জরুরী। আসুন প্রশ্ন করা যাক, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক খারাপ হলে কী হতে পারে? এর উত্তরে আমরা প্রাথমিকভাবে এই সিদ্ধান্তে আসতে পারি যে, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়া মানে দু’দেশের ক্ষমতাসীন সরকারের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়া। আর তার জের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশকেই বা শেখ হাসিনার সরকারকেই সবচেয়ে বেশি ভোগ করতে হবে তাতেও কোন সন্দেহ নেই। আমরা দেখেছি যে, দেশে দেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা কিংবা দক্ষিণ আমেরিকাতে মার্কিন সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের ক্ষমতাসীন সরকারের সম্পর্ক খারাপ হলে তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব পড়ে ওই দেশটির সাধারণ জনগণের ওপর। সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফী কিংবা সিরিয়ার বাসার সরকারের পরিণতি দেখে আমাদের বুঝতে হবে যে, মার্কিন সরকারের ছায়া যদি মাথার ওপর থেকে সরে যায় তাহলে পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে। এশিয়াতে এই চিত্র আরও করুণ। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, থাইল্যান্ড কিংবা দক্ষিণ কোরিয়ার কথা যদি বাদও দিই তাহলে কেবল বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর বিয়োগান্তক পরিণতির কথা আমরা উদাহরণ হিসেবে স্মরণ করতে পারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্কের বিষয়ে। ২০০১ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বাংলাদেশ সফরকালে তেল-গ্যাসবিষয়ক অনৈক্যের কারণে শেখ হাসিনার সরকারকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। আজকেও যারা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন দেখতে চাইছেন, তাঁরা মূলত চাইছেন এর ফলে শেখ হাসিনার সরকারকে পতন ঘটাতে এবং সেটা যে প্রকারেই সম্ভব হোক না কেন। আমরা গত বছর দেখেছি, এদেশে যাতে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাসীন অবস্থায় কোন নির্বাচন না হতে পারে সে জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশই প্রকাশ্যে বিএনপি-জামায়াত সংঘটিত তা-বের পক্ষে কাজ করেছে। কোন রকম বিদেশী মদদ ছাড়া এদেশে হেফাজতে ইসলামীর মতো একটি ধর্মীয় গোষ্ঠী রাজপথে শক্তি প্রদর্শন করতে পারে সেটি পাগলেও বিশ্বাস করবে কিনা সন্দেহ। মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকীকরণের নামে এদেশের মাদ্রাসা শিক্ষার ভেতরে কী কা-কারখানা ঘটছে সে বিষয়ে প্রামাণ্য কোন গবেষণা এখনও হয়নি সত্য কিন্তু পত্রপত্রিকার খবর থেকেই জানা যায় যে, সেদিকে চোখ পড়েছে সন্ত্রাসবাদে উস্কানিদাতাদের। ভারত ও চীনের মতো অর্থনৈতিক দৈত্যির এত কাছাকাছি বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান আর এখানেও যদি তার প্রভাব পড়ে তাহলে বাংলাদেশ যে এই বিশ্ব মোড়লদের প্রভাব ছাড়া হয়ে যাবে। তার ওপর শেখ হাসিনার সরকার যদি এদেশে একাধিক মেয়াদে ক্ষমতাসীন থাকে তাহলে এখানেও অর্থনৈতিক বিপ্লব না হলেও উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটবে এবং সর্বার্থেই। এমতাবস্থায় দেশের ভেতরকার ও বিদেশী উভয়পক্ষই মিলিত হয়ে একটি শেখ হাসিনাবিরোধী ব্রিগেড গড়ে তুলে রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে পারলে অনেক পক্ষের নানাবিধ লাভ। কিন্তু ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সে পথে আপাতত কাঁটা দিয়েছে, যদিও নির্বাচন নিয়ে বহুবিধ প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। তো সে প্রশ্ন তোলার সুযোগ তো বাংলাদেশে অতীতেও ছিল, জিয়াউর রহমান কিংবা এরশাদের সরকার, এমনকি ২০০১ সালের বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে নিয়ে কি প্রশ্ন তোলার সুযোগ ছিল না? তখন যদি কেউ প্রশ্ন না তুলে সেসব সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে কাজ করতে পারেন তাহলে এখন কোন্ মুখে শেখ হাসিনার তৃতীয় মেয়াদের সরকারকে নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন? আর সে কারণেই আপাততভাবে হলেও পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলো শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারকে তেতোমুখে মেনে নিয়েছে ঠিকই কিন্তু ভেতরে ভেতরে কেউই স্বস্তিতে নেই। তাই বিনা নিমন্ত্রণে এসে দেশের ভেতরে বসেই দেশের সমালোচনা করে যাচ্ছেন কোন রকম বাধা ছাড়াই। আগেই বলেছি সামান্য আত্মসম্মানবোধ অবশিষ্ট থাকলে নিশ্চয়ই এমনটি হতো না। এক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রটোকল অনুযায়ী যাঁর যাঁর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল নিশা দেশাই তাঁদের কারও সঙ্গেই দেখা করেননি। দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়েছেন এমনদের বাছাই করে যাঁদের কথা গত সপ্তাহেই বলেছি। তিনি অনিমন্ত্রিত হয়ে এরকম রাজনৈতিক সফর যে করতে পারেন না সে প্রশ্ন তোলার তো সময় এসেছে, তাই না? সরকার সেই কাজটিই করেছে বলে অনেকের কপট দুঃখ হয়েছে এবং তাঁরা দুই দেশের সম্পর্কের অবনতিতে বগল বাজাতে শুরু করেছেন। নিজেদের আত্মা তো বিক্রি হয়েই গেছে এখন গোটা দেশের সম্মান না বিকানো পর্যন্ত তাদের শান্তি নেই। দেশের রাজনীতি ও পরিস্থিতি নিয়ে ভাবেন এমন অনেকেই মনে করছেন যে, বাংলাদেশের নিকট ভবিষ্যত খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যের হবে না। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজে থেকে কী করবে না করবে তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এদেশে যাঁরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষার নিঃস্বার্থ অথবা স্বার্থবাদী ঠিকাদার তাঁরা এদেশের পরিস্থিতিকে ক্রমশ উত্তাল করে তুলবেন। আগের বছর যেহেতু তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন তাই এবার তাঁরা বড় ধরনের কর্মসূচী নিয়েই হাজির হবেন। সে জন্য এরই মধ্যে নিশ্চয়ই নানাবিধ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আমি একটি প্রকল্পের একটু আভাস পেয়েছি, সেটি একটু শেয়ার করি। আপাতভাবে সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠজনদের দ্বারা ভেতর থেকে সরকারকে বিতর্কিত করার ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। পত্রিকার নিয়মিত পাঠকগণ ইতোমধ্যেই তার কিছু প্রমাণ পেয়েছেন বোধ করি। রাজনৈতিক চাপ/তাপ বাড়ানোর জন্য রাজনৈতিক ইস্যুর বাইরে ধর্মীয় ইস্যু তৈরি করার কাজও চলছে সমানতালে। আর বড় ষড়যন্ত্রের অনেক খবরই তো এখন উন্মুক্ত বর্ধমান কা-ের পর। শেখ হাসিনাকে হত্যার ভেতর দিয়ে দেশের ক্ষমতার পটপরিবর্তন যে তাদের উদ্দেশ্য ছিল তাও কারও আর অজানা নয়। উচ্চক্ষমতাধর কোন শক্তির প্রত্যক্ষ মদদ এবং দেশের ভেতরকার বিরুদ্ধ শক্তির মিলিত প্রয়াস ছাড়া বাংলাদেশে এত বড় পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোর সাহস চুনো পুঁটিদের হয় না, তা বলাইবাহুল্য। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকতেই পারে, সেটি দেশের ভেতর করলেই উপকার কিন্তু একটি সরকারকে রক্তকা-ের ভেতর দিয়ে উৎখাতের কোন দেশী-বিদেশী মিলিত ষড়যন্ত্রকে যাঁরা সমর্থন ও সহযোগিতা দিচ্ছেন তাদের ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। এক ১৫ আগস্ট এ জাতির ভাগ্য থেকে বিশাল অর্জনকে কেড়ে নিয়েছে, দেশ পিছিয়েছে অন্তত ৫০ বছর, আবার কোন রক্তকা- ঘটলে বাংলাদেশ সে ভার নিতে পারবে না। ব্যর্থ রাষ্ট্র শব্দদ্বয় নিয়ে আজকে যাঁরা লাফান তাঁরা তখন সত্যি সত্যিই বুঝতে পারবেন ব্যর্থ রাষ্ট্র কাকে বলে। ২০০৬ সালেই আমরা ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায় প্রায় চলেই গিয়েছিলাম, ২০০৮-এ কোনমতে সে বিপর্যয় ঠেকানো গেছে। এরপর কোন বিপর্যয় ঘটলে বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে। কিন্তু আমরা তো বাংলাদেশে খুঁজে পেতে চাই, একটি সুখী, সমৃদ্ধ, সৃষ্টিশীল বাংলাদেশকে, কি চাই না? ৮ ডিসেম্বর, ২০১৪ [email protected]
×