ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ভূগোল ও পরিবেশ

এস এস সি পরীক্ষার পড়াশোনা

প্রকাশিত: ০৭:১৩, ৭ ডিসেম্বর ২০১৪

এস এস সি পরীক্ষার পড়াশোনা

কাওকাবা আপা ভূগোল ক্লাসে দ্রাঘিমা রেখা ও মূল মধ্যরেখা সম্পর্কে পড়ালেন, কোন স্থানের অবস্থানে পূর্ব অথবা পশ্চিম দ্রাঘিমার ফলে সময়ের মানও কম বেশি হতে পারে বলে তিনি জানালেন। প্রতি ৪ মিনিট সময়ের পার্থক্যের জন্য ১০ দ্রাঘিমার ব্যবধান ধরে যে কোন স্থানের সময় খুব সহজেই বের করার পদ্ধতি ও শিখিয়ে দিলেন। ক) দ্রাঘিমা কী? খ) স্থানীয় সময় বলতে কী বোঝায়? গ) ঢাকার দ্রাঘিমা ৯০০২র্৬ পূর্ব। ঢাকার সময় ১১টা হলে গ্রিনিচ সময় কত হবে? ঘ) গ্রিনিচ সময় দ্বারা কীভাবে ভূপৃষ্ঠের যে কোন স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করা যায়Ñযথার্থতা যাচাই কর। সম্ভাব্য উত্তর : ক) মূল মধ্যরেখা থেকে পূর্বে বা পশ্চিমে কোনো স্থানের কৌণিক দূরত্বকে ঐ স্থানের দ্রাঘিমা বলে। মূল মধ্যরেখার মান ০০ ধরে অন্যান্য স্থানের দ্রাঘিমা বের করা হয়। খ) আকাশে মধ্যাহ্ন সূর্যের অবস্থান দেখে যে সময় নির্ণয় করা হয়, তাকে স্থানীয় সময় বলে। কোনো স্থানে সূর্য যখন মাথার উপরে আসে, তখন সেখানে বেলা ১২টা ধরে সে সময় গণনা করা হয় তাকে স্থানীয় সময় বলা হয়। এ মধ্যাহ্ন সময় অনুসারে দিনের অন্যান্য সময় নির্ণয় করা হয়। একদিনের মধ্যাহ্ন হতে পরবর্তী দিনের মধ্যাহ্ন পর্যন্ত সময়কে ২৪ ঘণ্টা ধরা হয়। গ. গ্রিনিচ ও ঢাকার মধ্যে দ্রাঘিমার পার্থক্য = ০০-৯০০২৬র্ = ৯০০২র্৬ ১০ দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট  ৯০০ ” ” ” ” ” ৯০ ৪ মিনিট = ৩৬০ মিনিট আবার, ১র্ দ্রাঘিমার জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৪ সেকেন্ড  ২৬র্ ” ” ” ” ” = ২৪৪ সেকেন্ড = ১০৪ সেকেন্ড = ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড মোট সময়ের পার্থক্য = ৬ ঘণ্টা + ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড = ৬ ঘণ্টা ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড যেহেতু গ্রিনিচ ঢাকার পশ্চিমে অবস্থিত সেহেতু গ্রিনিচের সময় ঢাকা থেকে কম হবে।  গ্রিনিচ সময় = সকাল ১১টাÑ৬ ঘণ্টা ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ড = ভোর ৪টা ৫৮ মিনিট ১৬ সেকেন্ড ঘ) গ্রিনিচ সময় দ্বারা ভূপৃষ্ঠের যে কোন স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করা যায়। নিচে তার যথার্থতা যাচাই করা হল :- আমরা জানি, গ্রিনিচের দ্রাঘিমা ০০। গ্রিনিচের ঠিক সময় ক্রনোমিটার ঘড়ি থেকে জানা যায়। সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যে যে স্থানের দ্রাঘিমা বের করতে হবে ঐ স্থানের আকাশে সূর্যের সর্বোচ্চ অবস্থান দেখে ঐ সময় ঐ স্থানের সময়কে দুপুর ১২টা ধরা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে গ্রিনিচের সময়েও ঐ স্থানের সময়ের পার্থক্য থেকে ঐ স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয় করা হয়। কোনো স্থান গ্রিনিচের পূর্বে হলে তার স্থানীয় সময় গ্রিনিচ সময় অপেক্ষা বাড়বে এবং পশ্চিমে হলে স্থানীয় সময় গ্রিনিচের সময় থেকে কম হবে। ২। ভূমিকম্প পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে একটি ডকুমেন্টরী বিটিভিতে প্রচারিত হলে রাতুল, মিতু, শুভ নির্দেশনামূলক প্রস্তুতি নেয়। গত সপ্তাহে স্কুলে এ সম্পর্কে একটি মহড়ার ব্যবস্থা করে। প্রতিবেশীদের ভূমিকম্প সম্পর্কে সচেতন করার উদ্যোগও তারা গ্রহণ করেছে। ক) বিপর্যয় কী? খ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যগুলো ব্যাখ্যা কর। গ) দুর্যোগ ব্যবস্থার চিত্রটি এঁকে দেখাও। ঘ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও গণসচেতনতার ভূমিকা উদ্দীপকের আলোকে মূল্যায়ন কর। সম্ভাব্য উত্তর : ক) বিপর্যয় হল কোনো এক আকস্মিক ও চরম প্রাকৃতিক বা মানব সৃষ্ট ঘটনা যা জীবন, সম্পদ ইত্যাদির ওপর প্রতিকূলভাবে আঘাত হেনে দুর্যোগ সৃষ্টি করতে পারে। খ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান উদ্দেশ্য তিনটি : র) দুর্যোগের সময় জীবন, সম্পদ এবং পরিবেশের যে ক্ষতি হয়ে থাকে তা এড়ানো বা ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা। রর) প্রয়োজন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের মধ্যে অল্প সময়ে সকল প্রকার ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা এবং ররর) দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার কাজে ভালভাবে সম্পন্ন করা। সার্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে দুর্যোগপূর্ণ, দুর্যোগকালীন এবং দুর্যোগ পরবর্তী সময়ের কার্যক্রমকে বুঝায়। গ) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার চক্র দুর্যোগ সংঘটন ও এর প্রভাব ঘ) উদ্দীপকের উল্লেখিত দুর্যোগটি ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের পূর্বে সতর্কাবস্থা জারি করা যায় না বলে এতে জনসম্পদ ও অর্থনৈতিক সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অত্যন্ত বেশি। তবে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হ্রাস করা সম্ভব। ক্ষয়ক্ষতির হ্রাসে প্রশিক্ষণ ও গণসচেতনতা বৃদ্ধি হল উত্তম পদক্ষেপ। নিচে এ বিষয়টি মূল্যায়ন করা হলÑ দুর্যোগ প্রতিরোধে কাঠামোগত পদক্ষেপ : এর মাধ্যমে শক্তিশালী ও মজবুত অবকাঠামো নির্মাণ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাকে বুঝায়। এটি মূলত ব্যয়বহুল পদ্ধতি। ভূমিকম্প প্রতিরোধকারী ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত নির্মাণ কৌশল মেনে অবকাঠামো তৈরি করা যেতে পারে। দুর্যোগ প্রতিরোধ অবকাঠামোগত পদক্ষেপ : এর মাধ্যমে শক্তিশালী ও মজবুত অবকাঠামো নির্মাণ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাকে বুঝায়। এটি মূলত ব্যয়বহুল পদ্ধতি। ভূমিকম্প প্রতিরোধকারী ভবন নির্মাণের জন্য নির্ধারিত নির্মাণ কৌশল মেনে অবকাঠামো তৈরি করা যেতে পারে। দুর্যোগ প্রতিরোধ অবকাঠামোগত পদক্ষেপ : অবকাঠামো দুর্যোগ প্রতিরোধের মধ্যে রয়েছে প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, জনসচেতনা বৃদ্ধি কার্যক্রম, পূর্ব প্রস্তুতি ইত্যাদি। এগুলো স্বল্প ব্যয়ের আওতাভুক্ত ফলে এককালীন প্রচুর অর্থব্যয়ের অবকাশ নেই। তাই গ্রাম, ইউনিয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মহল্লা, কর্মপ্রতিষ্ঠান, যানবাহনে মহড়াভিত্তিক আলোচনা, সেমিনার, জনসভা, কর্মশালার আয়োজন করে এটি সম্পন্ন করা যায়। এতে অন্তর্ভুক্ত থাকে দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ-পরবর্তী সতর্কতার নির্দেশনা যা মানুষকে সচেতন করে তোলে। দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কম হয়। দুর্যোগ-পরবর্তী সতর্কতার নির্দেশনা যা মানুষকে সচেতন করে তোলে। দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কম হয়। দুর্যোগ পরবর্তী করণীয় খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা, সাড়া দান, উদ্ধারের যথাযথ প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে যত বেশি জনগণ সচেতন হবে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম তত বেশি সফলতা পাবে। উদ্দীপকের রাতুল, মিতু ও শুভর গ্রহণ করা মহড়া ও গণসচেতনতামূলক কার্যকা-কে তাই যথার্থই বলা যায়।
×