ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বার কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪

বার কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তিন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ নিয়ে বার কাউন্সিলের নেয়া সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকদের এ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলছেন, বার কাউন্সিলের ঘোষণা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী বিধিসম্মত নয়। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির নেতারা এক সভায় এ অভিমত ব্যক্ত করেছে। সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ২৭ নবেম্বর দারুল ইহসান, ইবাইস ও আমেরিকান বাংলাদেশ হতে পাস করা ছাত্ররা বার কাউন্সিলের আইনজীবী সনদ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। সংবাদ সম্মেলনে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন এ কথা জানান। তিনি জানান, উচ্চ আদালতে মামলা থাকায় এই তিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা ছাত্ররা সনদের জন্য বার কাউন্সিলে পরীক্ষা দিতে পারবে না। অতিশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়েও তদন্ত চলছে। তাই এই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এছাড়া বাকি ৩৬টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বার কাউন্সিলের আইনজীবী সনদ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। বারের এ সিদ্ধান্তের পর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির নেতারা বৈঠকে বসেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, বার কাউন্সিলের এক সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে যে, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছর মেয়াদী এলএলবি উত্তীর্ণদের এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য অনুমতি দেয়া হবে না। আরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, এখন থেকে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২ বছর মেয়াদী এলএলবি পাস কোর্সে উত্তীর্ণদের এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য বার কাউন্সিল রেজিস্ট্রেশন প্রদান করবে না। উপরন্তু এখন থেকে কোনো বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বছরে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে এলএলবি অনার্স কোর্সে ভর্তি করলে বার কাউন্সিল সেসব বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ডিগ্রিধারীদের এনরোলমেন্ট পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন দেবে না। এ অবস্থায় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি মনে করে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক এলএলবি অনার্স কোর্সে প্রতি সেমিস্টারে সর্বোচ্চ ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করার বিধান রয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধিভুক্ত কলেজগুলো থেকে যারা এলএলবি ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন তাদের বিষয়ে বার কাউন্সিলের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য নেই। সমিতি মনে করে, বার কাউন্সিলের এই ঘোষণা ‘বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ অনুযায়ী বিধিসম্মত নয়। নটরডেম ইউনিভার্সিটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা ॥ দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে দেশের নতুন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ‘নটর ডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত নিজস্ব ক্যাম্পাসে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। নবীনবরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রাস্টির সদস্য, সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক, নবীন ছাত্র-ছাত্রী এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত আর্চবিশপ পৌলিনুস কস্তা। দেশের শিক্ষাঙ্গনে নটর ডেম কলেজের সুনাম দীর্ঘদিনের। নটর ডেম কলেজের পাশাপাশি নটর ডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশও দেশের শিক্ষাখাতে সেই সুনাম বজায় রাখবে বলে প্রত্যাশা নটর ডেম বিশ্ববিদ্যালয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার। ২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল সরকারের অনুমোদন লাভ করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ‘নটর ডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’ কে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার চূড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করে। জানা গেছে, আপাতত সীমিত পরিসরে যাত্রা শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। শুরুতে এর অনুষদ থাকছে তিনটি। এগুলো হলো- কলা, বিবিএ এবং আইন অনুষদ। আর ডিপার্টমেন্ট থাকবে ৬টি। মোট চার শত ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা লাভের সুযোগ পাচ্ছেন। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে এর অনুষদ এবং সীট সংখ্যা বাড়ানো হবে। নটর ডেম ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নটর ডেম কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ফাদার বেঞ্জামিন কস্তা।
×