ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে সেই রোগী মারা গেলেন

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪

অবশেষে সেই রোগী মারা  গেলেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অজ্ঞাতপরিচয় নারীকে দ্বিতীয় দফা ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সাড়ে ২৫ ঘণ্টা পর শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর দ্বিতীয় দফা মৃত্যু ঘোষণা করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় তাকে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়েছিল। এই ঘোষণার সাড়ে তিন ঘণ্টা পর তিনি আবার জীবিত হয়ে ওঠেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ মুশফিকুর রহমান শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ওই রোগীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সাড়ে ২৫ ঘণ্টা পর দ্বিতীয়বার ওই নারীকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করা হলো। এদিকে উপ-পরিচালক ডাঃ মুশফিকুর রহমান জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ভুল বোঝাবুঝির কারণে বিষয়টি ঘটে। মৃত ঘোষণার সাড়ে তিন ঘণ্টা পর ওই নারীর বেঁচে ওঠার ঘটনায় চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ ইনামুল করীমকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে ওই কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর দায়ী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুক্রবার ওই রোগীর ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাম, রক্তের কয়েকটি পরীক্ষা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অজ্ঞাত ওই নারী রোগীর মৃত্যু। ‘মৃত্যুর প্রমাণপত্রে’ (ডেথ সার্টিফিকেট) আনুষঙ্গিক বিষয় সম্পন্ন করতে সাড়ে তিন ঘণ্টা পার। এরপর মরদেহ নিতে মর্গের লোকজন হাজির। মর্গ অফিসে নেয়ার জন্য ট্রলিতে উঠানোর পর হঠাৎ মৃত ব্যক্তি নড়েচড়ে উঠলেন। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে ডেথ সার্টিফিকেট লেখা চিকিৎসকের তোড়জোড়/ তোলপাড় শুরু হয় হাসপাতালে। মৃত ঘোষণার সাড়ে তিন ঘণ্টা পর ওই রোগীর নড়াচড়া করার পর ওই ওয়ার্ডে রোগী ও দর্শনার্থীদের মধ্যে আতঙ্কে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। অবশেষে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর অজ্ঞাতপরিচয় নারীর শরীরে স্যালাইন পুশ করা হলো। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৮০২ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর ইউনিটে। শিহরন জাগানো এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন ওই ইউনিটে চিকিৎসা নেয়া রোগীসহ তাদের স্বজনরা। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাটি শুনে দায়ী চিকিৎসকের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
×