ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কথোপকথন ॥ ‘বাদি-বান্দার রূপকথা’ নৃত্যনাট্যে সাড়া পেয়েছি ॥ শিবলী মোহাম্মদ

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ৬ ডিসেম্বর ২০১৪

কথোপকথন ॥ ‘বাদি-বান্দার রূপকথা’ নৃত্যনাট্যে সাড়া পেয়েছি ॥ শিবলী মোহাম্মদ

নৃত্যশিল্পী ও প্রশিক্ষক শিবলী মোহাম্মদ। সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের প্রযোজনায় আরব্য রজনীর চল্লিশ চোরের ঘটনা নিয়ে প্রথমবারের মতো নির্মিত ‘বাদি-বান্দার রূপকথা’ নৃত্যনাট্যে আলী বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন। শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে দুই দিনের আয়োজনে আজ এ নৃত্যনাট্যের শেষ দিনের মঞ্চায়ন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। নৃত্যনাট্য বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। ‘বাদি-বান্দার রূপকথা’ নৃত্যনাট্য সম্পর্কে বলুন... শিবলী মোহাম্মদ : আরব্য রজনীর চল্লিশ চোরের ঘটনা নিয়েই নির্মিত হয়েছে নৃত্যনাট্যটি। সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের প্রযোজনায় আনিসুল ইসলাম হিরুর তত্ত্বাবধানে এটি নির্দেশনা দিয়েছেন সুকল্যাণ ভট্টাচার্য। এতে ভারত-বাংলাদেশ মিলে প্রায় ৭০ জন নৃত্যশিল্পী অংশ নিয়েছে। এটি বাগদাদের সেই সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এতে দীর্ঘদিন পর মঞ্চে এসেছেন ডলি ইকবাল। তিনি আলীবাবার স্ত্রী সখিনার চরিত্রে অভিনয় করছেন। শামীম আরা নীপা অভিনয় করছেন মর্জিনার চরিত্রে। নাটকটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন ভারতের জয় সরকার। কণ্ঠ দিয়েছেন নচিকেতা, শ্রীকান্ত আচার্য, অম্বেষা দত্ত, মন্ময়, লোপা মুদ্রাসহ আরও অনেকে। নৃত্যনাট্যে আপনার চরিত্রটি নিয়ে বলুন... শিবলী মোহাম্মদ : আমি আলী বাবার চরিত্রে অভিনয় করছি। আমি সব সময় নির্দেশকের নির্দেশনার মূল্যায়ন করি এবং সেভাবে কাজ করার চেষ্টা করি। এটিতেও তাই হয়েছে। একেবারে চরিত্রটির সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। প্রথম দিনের মঞ্চায়নে দর্শক সাড়া কেমন পেলেন? শিবলী মোহাম্মদ : আমি কখনও কল্পনাও করতে পারিনি, এতো দর্শক পাব এবং দর্শকরাও নাটকটিকে পজেটিভ হিসেবে নিয়েছে। আশা করছি আজ দর্শক সংখ্যা আরও বাড়বে। নাটকটিতে থ্রিজি ম্যাপিং প্রযুক্তি ব্যবহার সম্পর্কে বলুন... শিবলী মোহাম্মদ : এক ধরনের ফিল্ম প্রোডাকশনের চিন্তা থেকে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে মনে হয় মঞ্চে আমরা সবাই সেই সময়ে ফিরে গেছি। সময়ের প্রয়োজনে প্রযুক্তির ব্যবহার তো খুবই স্বাভাবিক। তবে এটি অনেক ব্যয়বহুল একটি নৃত্যনাট্য। আমাদের দেশে নৃত্যনাট্য নিয়মিত নয় কেন? শিবলী মোহাম্মদ : মঞ্চ নাটকের মতো নৃত্যনাট্য নিয়মিত নয় এটা ঠিক, কারণ একটি নৃত্যনাট্য তৈরি করতে গেলে সময় ও অর্থনৈতিক সাপোর্টসহ আন্তরিকতা থাকতে হয়। আমি মনে করি না যে আমাদের দেশে নৃত্যশিল্পীদের আন্তরিকাতার অভাব আছে। তবে অর্থনৈতিক অভাব খুব। এছাড়া একটি নৃত্যনাট্য মঞ্চায়ন করতে গেলে যে ধরনের মঞ্চের প্রয়োজন, সেটা আমাদের দেশে খুব কম। আমাদের দেশে নৃত্যের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আপনার বক্তব্য... শিবলী মোহাম্মদ : আমাদের দেশে অনেক ভাল ভাল নৃত্যশিল্পী ও কোরিওগ্রাফার আছে। এদের কেউ পৃষ্ঠপোষকতা করে না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে নৃত্য নিয়ে যেমন পৃষ্ঠপোষকতা হয়, আমাদের তার উল্টো। যদি নৃত্যের পেছনে মঞ্চসহ অন্যান্য পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যায়, তাহলে ভবিষ্যতে নৃত্য আরও এগিয়ে যাবে। -গৌতম পাণ্ডে
×