ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গত অর্থবছরের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি

পাঁচ মাসে ৬১৮ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছে

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ৫ ডিসেম্বর ২০১৪

পাঁচ মাসে ৬১৮ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নবেম্বর) ৬১৮ কোটি ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে একক মাস হিসেবে সদ্য সমাপ্ত নবেম্বর মাসে ১১৫ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ কোটি ডলার বেশি। তবে এই সময়ে রেমিটেন্স আনতে পারেনি সরকারের বিশেষায়িত ৩ ব্যাংকসহ ২১টি বাণিজ্যিক ব্যাংক। এদিকে রেমিটেন্সের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রাখতে গত তিন কার্যদিবসে সাড়ে ১১ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদা বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার বিক্রি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। বাজারে ডলারের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কোন আশঙ্কা নেই বলেও তাঁরা জানান। বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিটেন্স সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-নবেম্বর সময়ে প্রবাসীরা বাংলাদেশীরা সব মিলিয়ে ৬১৮ কোটি (৬ দশমিক ১৮ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন। গত অর্থবছরের একই সময়ে রেমিটেন্স এসেছিল ৫৫৪ কোটি (৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন) ডলার। এ হিসেবে আলোচ্য সময়ে রেমিটেন্স বেড়েছে ১৩ শতাংশ। সদ্য সমাপ্ত নবেম্বর মাসে ১১৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৪৯ কোটি ১৪ লাখ ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল এক মাসের হিসাবে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ রেমিটেন্স। পরের মাস আগস্টে রেমিটেন্স এসেছিল ১১৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে ১৩২ কোটি ডলার। অক্টোবরে এসেছে ১০১ কোটি ডলার। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ এ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কাজী ছাইদুর রহমান বলেন, রোজা ও কোরবানির ঈদের কারণে জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে বেশি রেমিটেন্স এসেছিল। ঈদের পরের মাসে কমলেও আবার রেমিটেন্সের গতি বাড়তে শুরু করেছে। তিনি বলেন, গত অর্থবছরের তুলনায় পাঁচ মাসের হিসাবে ভাল প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অর্থবছরের বাকি সাত মাসে রেমিটেন্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন। জানা গেছে, নবেম্বরে সরকারের সোনালী, রূপালী, জনতা, অগ্রণী ব্যাংকসমূহে ৩৮ কোটি ২৩ লাখ ডলার রেমিটেন্স এসেছে। বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে রেমিটেন্স এসেছে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আর বেসরকারী ব্যাংকগুলোতে রেমিটেন্স এসেছে ৭৪ কোটি ৪ লাখ ডলার। তবে বিদেশী ব্যাংকগুলোতে এসেছে ১ কোটি ৫৫ লাখ ডলার। অপরদিকে নবেম্বরে রেমিটেন্স আনতে না পারা ব্যাংকগুলো হচ্ছে, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। বেসরকারী ব্যাংকগুলোর মধ্যে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক। বিদেশী ব্যাংকের মধ্যে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া। নবেম্বরে শূন্য দশমিকে অবস্থানের ব্যাংকগুলো হচ্ছে, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এ্যান্ড কমার্স ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এনএ ও ব্যাংক আল ফালাহ্।
×