ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মুনাফা তোলায় দরপতন

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ৫ ডিসেম্বর ২০১৪

মুনাফা তোলায় দরপতন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা তিন দিনের সূচকের বড় ধরনের উত্থানের পরে পুুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার প্রবণতা দেখা গেছে। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের ৫২ শতাংশ কোম্পানির দর হারানোর দিনে সার্বিক সূচকটির কিছুটা কমেছে। সেইসঙ্গে নামমাত্র কিছুটা লেনদেন কম হয়েছে। বৃহস্পতিবারে সেখানে ৩ কোটি টাকা বা দশমিক ৫৮ শতাংশ লেনদেন কমেছে। ঢাকার মতো অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকের পতন ঘটেছে। আগের দিনের ধারাবাহিকতায় সকালে সূচকের সামান্য উর্ধগতি দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। দীর্ঘদিন পরে নতুন তালিকাভুক্ত হামিদ ফেব্রিক্সের লেনদেন শুরুর পরে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর দর বাড়তে থাকে। তবে দিনটিতে বেক্সিমকো গ্রুপের শেয়ারগুলোরও প্রাধান্য দেখা গেছে। দুপুর বারোটার দিকে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি মোট ৪ হাজার ৯৯৫ পয়েন্ট স্পর্শ করলেও সূচকের তীর নিচের দিকে নেমে আসতে থাকে। দিনশেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক বা ডিএসই এক্স ৩০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহসূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১৬১ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৪৩ পয়েন্টে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে ৫১৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বুধবারে ডিএসইতে ৫১৬ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩০৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১০টি কোম্পানির, আর দর কমেছে ১৬০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির। এছাড়া ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে হামিদ ফেব্রিক্সের শেয়ার। এরপরে রয়েছেÑ বেক্সিমকো ফার্মা, কেয়া কসমেটিকস, বেক্সিমকো, তিতাস গ্যাস, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, এবি ব্যাংক, গ্রামীণফোন, সামিট পোর্ট এ্যালায়েন্স এবং যমুনা অয়েল। ডিএসইতে দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ হামিদ ফেব্রিক্স, আরএন স্পিনিং, শাহজিবাজার পাওয়ার, জেমিনি সী ফুড, নদার্ন জুটস, ফু-ওয়াং ফুড, বিডি ওয়েল্ডিং, অলটেক্স, কোহিনূর ও বিডি ফাইনান্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, রহিম টেক্সটাইল, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, সোনালী আঁশ, আরামিট, নিটল ইন্স্যুরেন্স, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, বিডি অটোকারস, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স ও দেশ গামেন্টর্স। খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাতটি। বেক্সিমকো ফার্মার লেনদেনের প্রাধান্যের দিনে ডিএসইতে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৭ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৯ দশমিক ৩৫ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাতটি। খাতটির লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯২ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক ৩১ ভাগ। জ্বালানি এবং শক্তি খাতের কোম্পানিগুলোর সার্বিক লেনদেনের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। সারাদিনে খাতটির লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৬ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ১৭ ভাগ। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৪৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৭৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ২৮১ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২২১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৫৮টির, কমেছে ১৪১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলোÑ হামিদ ফেব্রিক্স লিমিটেড, বেক্সিমকো, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, কেয়া কসমেটিকস, যমুনা ওয়েল, বেক্সিমকো ফার্মা, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং, গ্রামীণ ফোন, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ও স্কয়ার ফার্মা।
×