ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আফগানিস্তানে নয়া ন্যাটো মিশনে সৈন্য বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২৭ নভেম্বর ২০১৪

আফগানিস্তানে নয়া ন্যাটো মিশনে সৈন্য বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র

আফগানিস্তানে ন্যাটো মিশনে যেন শূন্যতা তৈরি না হয় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে খুব শীঘ্রই আরও সৈন্য পাঠাবে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্র থেকে খবরটি পাওয়া গেছে। খবর ইয়াহু নিউজের। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র অতিরিক্ত এক হাজার সৈন্য পাঠাতে পারে। আফগানিস্তান থেকে বহুজাতিক বাহিনীর সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয়ার পর সেখানে ১২ হাজার সৈন্যের একটি শক্তিশালী ন্যাটো বাহিনী থাকবে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের থাকবে ৯ হাজার ৮শ’র মতো সৈন্য। এ বছর শেষ নাগাদ আফগানিস্তানে ন্যাটোর যুদ্ধ মিশন শেষ হওয়ার পর ২০১৫ সালে দেশটিতে নতুন এক মিশন শুরু করা হবে যার নাম দেয়া হয়েছে রেজোলুট সাপোর্ট। উদ্দেশ্য হবে আফগান বাহিনীগুলোকে প্রশিক্ষণ ও আনুষঙ্গিক সহায়তা দেয়া। নতুন ন্যাটো মিশনে মোট সৈন্য কত হবে তা নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে আফগানিস্তানে ন্যাটো মিশন কোন মন্তব্য করেনি তবে বহুজাতিক বাহিনীর কর্মকর্তারা নয়া মিশনকে স্বাগত জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনী (আইসাফ) এক বিবৃতিতে বলেছে। ‘রেজোলুট সাপোর্ট মিশনটি ১ জানুয়ারি, ২০১৫ সাল থেকে শুরু করার মতো প্রয়োজনীয় সাজসরঞ্জামাদি ও সম্পদ আমাদের রয়েছে।’ ন্যাটো মুখপাত্র রিয়ার এ্যাডমিরাল জন কিরবি বলেছেন, ‘এখন আমরা যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি আমাদের সৈন্যসংখ্যা যখন ৯ হাজার ৮শ’ জনে চলে আসবে তখনও আমাদের প্রতিশ্রুতি একইরকম থাকবে। আফগানিস্তানে ২০০১ সালে তালেবান সরকারকে উৎখাতের জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী যে যুদ্ধ মিশন শুরু করেছিল তা ১৩ বছর ধরে চলেছে। এ বছর শেষ নাগাদ এই মিশন গুটিয়ে আনা হবে। এ সময় ১ লাখ ৩০ হাজার বিদেশী সৈন্য আফগানিস্তান ছাড়বে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ বছর মে মাসে বলেছিলেন, চলতি বছর শেষ নাগাদ আফগানিস্তানে সৈন্য সংখ্যা কমিয়ে ৯ হাজার ৮শ’ জনে নিয়ে আসা হবে এবং ২০১৫ সালে সেই সংখ্যাও অর্ধেকে নামিয়ে আনা হবে। এখন বলা হচ্ছে, ২০১৪ সালের শেষে ৯ হাজার ৮শ’ জনের অতিরিক্ত কয়েক শ’ সৈন্য রাখা হবে। তালেবান জঙ্গীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রাখা নতুন মিশনের লক্ষ্য। দেশটির ৩৪টি প্রদেশের রাজধানীগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব আফগান নিরাপত্তা ও পুলিশ বাহিনীর ওপরই ন্যস্ত থাকবে।
×