ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মার্জিন ঋণধারীদের তালিকা সিআইবিতে যাচ্ছে না

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২৬ নভেম্বর ২০১৪

মার্জিন ঋণধারীদের তালিকা সিআইবিতে যাচ্ছে না

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে এক কোটি টাকার বেশি মার্জিন ঋণধারী বিনিয়োগকারীদের তালিকা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে যাচ্ছে না। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংর্কাস এ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ওই তালিকা সিআইবিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। গত সপ্তাহে বিএমবিএ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ প্রস্তাব করেছিল। বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, এ প্রস্তাবে তাঁরা সাড়া না দেয়ার কথা ভাবছেন। রবিবারে বিএমবিএর এ প্রস্তাবের কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিকসূচক কমে যায় ৬৯ পয়েন্ট। তবে সোমবারে এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হচ্ছে না, এমন আভাস ছড়িয়ে পড়ার পড়ে সোমবারে বাজারে উর্ধমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। জানা গেছে, বিএমবিএর প্রস্তাব এবং বাজারে তার প্রভাব নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নীতিনির্ধারকদের মধ্যেও ব্যাপক আলোচনা হয়। তাঁরা বিএমবিএর প্রস্তাবটিকে অসময়োচিত বলে মনে করছেন। তবে কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কমিশন বিএমবিএর প্রস্তাবটিতে বিবেচনার আগেই বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে এমন কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না, যাতে বাজারে প্রভাব পড়ে। আগামীতেও এমন সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে কমিশন বিরত থাকবে। কমিশন মনে করেন, অনেক পরিশ্রমের পর বাজারে আস্থা ফিরে এসেছে তা বিনষ্ট হতে দেয়া যাবে না। এসব কারণে বিএমবিএর প্রস্তাবটি নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। যদিও বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ আতঙ্ক অনেকটাই অযৌক্তিক। এটি শুধুই প্রস্তাব পর্যায়ে আছে। বিএসইসি সেটি গ্রহণ করবে কি-না তা স্পষ্ট নয়। তাছাড়া ১ কোটি টাকার বেশি মার্জিন ঋণধারীর সংখ্যা খুব বেশি নয়। বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংর্কাস এ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) চিঠিতে বলা হয়েছে, বড় ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে ঋণ আদায়ে আর কোন বিকল্প উপায় নেই তাঁদের। কিন্তু তাঁদের কাছ থেকে ওই ঋণ আদায় করা বেশ জরুরী। কারণ বিপুল পরিমাণ মার্জিন ঋণে বেশিরভাগ মার্চেন্ট ব্যাংকের অবস্থা বেশ নাজুক। চিঠিতে নিজস্ব পত্রকোষে (পোর্টফোলিও) বিনিয়োগের লোকসান এবং অনাদায়ী মার্জিন ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি রাখার ক্ষেত্রে বিদ্যমান ছাড়ের মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়। এর জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তাব করা হয় ওই চিঠিতে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) দেশের সব ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) ঋণগ্রহীতাদের তথ্য সংরক্ষণ করে। যে কোন ব্যাংক বা এনবিএফআইকে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়ার আগে বিআইবি থেকে ওই গ্রাহক সম্পর্কে তথ্য নিতে হয়। কোন গ্রাহক ঋণ খেলাপি হলে তাঁকে আর নতুন ঋণ দেয়া যায় না। মার্জিন ঋণ খেলাপি ব্যক্তির নাম সিআইবিতে অন্তর্ভুক্ত হলে তিনি ওই ঋণ শোধ না করা পর্যন্ত দেশের কোন ব্যাংক বা এনবিএফআই থেকে ঋণ নিতে পারবেন না। ওই বিনিয়োগকারী কোন কোম্পানির পরিচালক হয়ে থাকলে সে প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে আসার অনুমতি পাবে না।
×