ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আবাহনীর বিদায় পুনের কাছে হেরে

প্রকাশিত: ০৫:০২, ২৬ নভেম্বর ২০১৪

আবাহনীর বিদায় পুনের কাছে হেরে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভুটানে চলমান কিংস কাপের গ্রুপ পর্বেই ভারতের পুনে এএসির কাছে ২-০ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। এ ম্যাচে শুধু জিতলেই চলত না আবাহনীর, কমপক্ষে ৫-০ গোলে জিততে হতো তাদের। কারণ গত ৩ ম্যাচে দলটির জয়, হার ও ড্র সব ১টি করে, চার পয়েন্ট নিয়ে নড়বড়ে অবস্থানে থাকা চারবারের পেশাদার লীগ জেতা দলটি নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরে পত্রপাঠ বিদায় নিল কিংস কাপ থেকে। ম্যাচের ৮৬ মিনিটে ফ্রি-কিক পুনের লালরেমপুইয়া এবং ৯০ মিনিটে লুসিয়ানো পেনাল্টি থেকে গোল দুটি করেন পুনে এফসির পক্ষে। ম্যাচে বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ মিস করে আবাহনী ফরোয়ার্ডরা। ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আবাহনী ১-০ গোলে হারায় ভারতের অসম ইলেক্ট্রিসিটিকে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে একই ব্যবধানে হেরে যায় ভুটানের উগেইন একাডেমির কাছে। আর তৃতীয় ম্যাচে নেপালের মানাং মার্শিয়াংদি ক্লাবের (এমএমসি) সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করে। মানাংয়ের বিরুদ্ধে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জিততে ব্যর্থ হয় দলটি। আবাহনীর এ হারের ফলে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে উন্নীত হলো পুনে এফসি ও মানাং মার্শিয়াংদি ক্লাব (এমএমসি)। এই টুর্নামেন্টে আবাহনী তারুণ্যনির্ভর দল নিয়ে যায়। দলের নতুন ফুটবলার যারা ছিলেন, তাদের জন্য এটা ছিল একটা প্রস্তুতিমূলক টুর্নামেন্ট। অনেক নতুন খেলোয়াড় টিমে যুক্ত ছিলেন তাদের বোঝাপড়াটা হয়ত এ টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠত। যেটা পরবর্তীতে ঢাকায় ফেডারেশন কাপ এবং লীগে বড় ভূমিকা রাখত। কিন্তু সেটা একেবারেই হয়নি। আবাহনী এর আগে ১৯৮৯-৯০ সালে ভারতে ‘নাগজী কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’ এবং ১৯৯৪ সালে কলকাতায় ‘চার্মস কাপ ইনভাইটেশন কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’-এ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়াও আবাহনী ১৯৯১ সালে দুই বাংলার সেরা ছয় দল ভারতের ইস্ট বেঙ্গল, মোহনবাগান, মোহামেডান; বাংলাদেশের মোহামেডান, ব্রাদার্স ও আবাহনী নিয়ে অনুষ্ঠিত ‘বিটিসি ক্লাব কাপ’-এ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে নিতে আসে। কিংস কাপ থেকে শেষ পর্যন্ত রিক্ত হস্তেই বিদায় নিতে হলো তাদের।
×