ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ছাত্র রাজনীতি ॥ প্রাসঙ্গিক ভাবনা

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ২৫ নভেম্বর ২০১৪

ছাত্র রাজনীতি ॥ প্রাসঙ্গিক ভাবনা

স্বাধীনতাপূর্ব আন্দোলন-সংগ্রাম বাংলাদেশের ছাত্র ও যুব সমাজের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ইতিহাসের পাতায় অক্ষয়। ষাটের দশকের ছাত্র রাজনীতি প্রকৃতপক্ষে ছাত্রদের মূল দাবি নিয়েই আন্দোলন হতো। তৎকালীন পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ এবং বাঙালীদের ন্যায্য হিস্যা দিতে অনীহা প্রকাশ করায় জাগ্রত ছাত্র সমাজের মধ্যে প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। ছাত্রলীগ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানী শাসকদের এহেন দমন-পীড়ন, বৈষম্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে দু’বার আন্দোলন গড়ে তোলে। ছাত্রলীগের হাত ধরে সে সময় আন্দোলন-সংগ্রাম গড়ে ওঠে। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ বাঙালী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ছাত্র-জনতার ঐক্যের সোপান গড়ে তুলেছিল। ষাটের দশকে অনেক ছাত্র সংগঠন ছিল যাদের বেশিরভাগ দেশের সাধারণ মানুষের মন-মানসিকতার কথা চিন্তা না করে বিদেশী ভাবধারার রাজনীতি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। আমরা সেদিন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। তখন রাজপথে ছাত্রলীগের সেøাগান ছিল ‘জাগো জাগো বাঙালী জাগো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘তুমি কে? আমি কে? বাঙালী বাঙালী’, ‘পি-ি না ঢাকা’। ‘ঢাকা ঢাকা’ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের রাজনীতির গুণগত পার্থক্য ছিল। ছাত্রলীগের রাজনীতি বাঙালী জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত হতো। আর অন্য ছাত্র সংগঠনের রাজনীতির মধ্যে আন্তর্জাতিক ভাবধারা পরিলক্ষিত হতো। বিশেষ করে ছাত্র ইউনিয়ন তিন ধারায় মস্কো, পিকিংপন্থীসহ বিদেশী ভাবধারায় রাজনীতি করেছে। সে সময় তাদের রাজনীতি ছিল সমাজতন্ত্রের এজেন্ট হিসেবে কাজ করা, যা পরবর্তীতে বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজ ব্যবস্থায় বুমেরাং হয়েছে। পাকিস্তানী শাসকচক্র সে সময় ছাত্রদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে তাদের নীলনক্সা হাসিল করতে চেয়েছিলেন। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ ছিল, যার ফলে তাদের পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক কোন ধরনের লোভ-লালসায় পড়তে হয়নি। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ সুসংহতভাবে চেন অব কমান্ডের মাধ্যমে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। কোন প্রলোভন ছাত্রলীগ নেতৃত্বকে ভুল পথে পরিচালিত করতে পারেনি। আইয়ুব-মোনায়েম শাসন যুগে টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগ নেতৃত্বকে ভুল পথে পরিচালিত করার অনেক প্রয়াস দেখিয়ে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ৬ দফা পেশ করার পর আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার সঙ্গে তা নিয়ে মতবিরোধ দেখা যায়। অনেক নেতা দল ত্যাগ করে ৬ দফার বিরুদ্ধাচরণ করেছেন। ছাত্রলীগই একমাত্র সংগঠন যারা সর্বপ্রথম ৬ দফার পক্ষে সমর্থন দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে কাজ শুরু করে। তৎসময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইস্পাত কঠিন শপথ নিয়ে ৬ দফার পক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারা বাংলাদেশে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে ৬ দফার প্রচার শুরু করেছিল। বাঙালীর স্বার্থে আপোসহীন মনোভাব নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬ দফা প্রচারে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রতিটি জেলায় উল্কার মতো ছুটে বেরিয়েছেন। পাকিস্তানী শাসকচক্র বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি জেলায় জনসভা করতে বাধা দিয়েছিল, কিন্তু বঙ্গবন্ধু শাসকদের বাধা উপেক্ষা করে জেলায় জেলায়, থানায় থানায় জনসভা করেছেন। সভা শেষে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি জেলায় কারাবন্দী করে নির্যাতন করা হয়েছে। শত নির্যাতন উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু বাঙালীদের প্রাণের দাবি ৬ দফা প্রচার থেকে থেমে থাকেননি। বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, আমার হাতে গড়া ছাত্রলীগ যখন বাঙালীর ৬ দফার পক্ষে, নির্যাতন উপেক্ষা করে প্রচার অভিযানে অগ্রযাত্রী, তাহলে আমার আর কোন ভয় নেই। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার বীজ বাংলার প্রতিটি জায়গায় ছাত্রলীগের মাধ্যমে বপন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আস্থা ও ভরসার জায়গাটা ছিল ছাত্রলীগ। তাই ধাপে ধাপে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে ছাত্রলীগ সংগঠনকে বেছে নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্য হতে ‘স্বাধীনতা নিউক্লিয়াস’ নামে একটি গোপন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্রলীগের অনন্য ভূমিকার মূলে ছিল তাদের সততা, একাগ্রতা ও সর্বোপরি লোভ-লালসার উর্ধে থাকা। সত্যের মাপকাঠিতে স্বাধীনতাপূর্ব ছাত্রলীগ ছিল এক অনন্য দৃষ্টান্ত। ছাত্রলীগের এ ভূমিকা চির উজ্জ্বল ও চির ভাস্বর হয়ে থাকবে। ষাটের দশকে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব মেধার যোগ্যতায় সঠিক আসনে বসানো হতো। ষাটের দশকের ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যাঁরা কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে সংগঠনকে সুসংগঠিত করেছিলেন তাঁদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে যাঁরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তাঁরা হলেনÑ রফিকুল্লাহ চৌধুরী, সভাপতি ও শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, সভাপতি ও শেখ ফজলুল হক মনি, সাধারণ সম্পাদক। কেএম ওবায়দুর রহমান, সভাপতি ও সিরাজুল আলম খান, সাধারণ সম্পাদক। ফেরদৌস আহম্মেদ কোরেশী, সভাপতি ও আবদুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক। সৈয়দ মোযহারুল হক বাকী, সভাপতি ও আবদুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক। আবদুর রউফ, সভাপতি ও খালেক মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক। তোফায়েল আহমেদ, সভাপতি ও আসম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক। নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, সভাপতি ও মোঃ শাজাহান সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক। ষাদের দশকের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতৃত্ব মেধা ও যোগ্যতার পরাকাষ্ঠে এক অনন্য ভূমিকা রেখে বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতার পতাকা উড্ডয়ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বর্তমানে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিয়ে অনেকে বিরূপ মন্তব্য করছেন। আমি মনে করি এর পেছনে হয়ত কোন কারণ আছে। বর্তমান ছাত্রলীগ এ যেন ক্ষয়িঞ্চু এক ছাত্র সংগঠন। স্বাধীনতাউত্তর ছাত্রলীগ নেতৃত্বও যোগ্যতার মাপকাঠির ব্যারোমিটার নিম্নগতিতে ধাবিত। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে। প্রায় একযুগ ধরে দেখা যাচ্ছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসীন হওয়ার পরই টাকা, বাড়ি, গাড়ি ইত্যাদি করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। দেখা যাচ্ছে ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব ছাত্রদের ন্যায্য দাবি-দাওয়াসহ জাতীয় ইস্যুতে সোচ্চার হওয়ার চেয়ে নিজেদের আখের গোছাতেই তারা ব্যস্ত। এই প্রবণতা থেকে ছাত্র নেতৃত্বকে বেরিয়ে আসতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের একজন নেত্রী হিসেবে পাকিস্তান আমলে ‘ইডেন মহাবিদ্যালয় ছাত্রী সংসদ’ নির্বাচনে ভিপি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনীতি বিশ্লেষকরা মনে করেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে হিসেবে নয়, শেখ হাসিনা সে সময় তাঁর মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সাধারণ ছাত্রীদের মন জয় করে নির্বাচিত হয়েছিলেন। স্বাধীনতাপূর্ব কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ হাতেগোনা নেতাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আলাপচারিতা হতো এবং প্রয়োজনবোধে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দিকনির্দেশনা দিতেন। তখনকার সময় বঙ্গবন্ধুর এ নির্দেশনা সংগঠনের প্রতিটি স্তরে পৌঁছে যেত। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ছাড়া নিম্নস্তরের একজন ছাত্রনেতা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে নিজেকে এমনভাবে জাহির করার প্রবণতা দেখান যার ফলে উপর স্তরের নেতৃত্বের প্রতি অবহেলা প্রকাশ করতে দেখা যায়। দৈনিক খবরের কাগজে প্রায়ই প্রকাশ ঘটে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংগঠনের কাজ হতে দূরে থেকে বিভিন্ন চাঁদাবাজির কর্মকা-ে লিপ্ত হয়ে নিজেদের আখের গোছানোর কাজে লিপ্ত। ছাত্রলীগ একটি আদর্শভিত্তিক সংগঠন। রাজনীতির হাতেখড়ি ছাত্রলীগ ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে একদিন মূল সংগঠন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেবেন, কিন্তু বর্তমানে দেখা যায় ছাত্রলীগ ছাড়ার পর এক ধাপে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এর ফলে দেখা যাচ্ছে রাজনীতিতে মেধা ও যোগ্যতার যাচাই হচ্ছে না। স্বাধীনতার পূর্বে ছাত্র নেতৃত্ব শেষ করে যাঁরা ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগ সংগঠনে মহকুমা ও জেলা পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁদের মধ্য থেকে বঙ্গবন্ধু যোগ্যতার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসীন করেছেন। আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে যে সব নেতাকে দেখা যায় তাঁদের মধ্যে অনেক নেতা তাঁর নিজ জেলা বা থানায় তাঁদের গ্রহণযোগ্যতা খুব কম। কারণ তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে নিজ জেলা বা থানার নেতৃত্বকে বাঁকা চোখে দেখেন এবং তাঁদের ওপর খবরদারি করার চেষ্টা করেন। ফলে নেতৃত্বের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়। আজও জেলা পর্যায় আওয়ামী লীগের অনেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আছেন যাঁরা বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। এখনও বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মূল সংগঠন এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন একান্ত প্রয়োজন। যে দল ক্ষমতায় থাকে উক্ত দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অনেক ভুঁইফোড় সংগঠন জন্ম নেয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উক্ত ভুঁইফোড় সংগঠনের নেতৃত্বে যাঁদের দেখা যায় তাঁরা যখন যেমন তখন তেমন অবস্থার লোক। ওরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় এসব সংগঠন গড়ে তোলেন। তাঁদের আদর্শগত কোন চিন্তা নেই। সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে এ সমস্ত সংগঠনের নেতাকর্মীদের খুঁজে পাওয়া যায় না। মূলত এদের অনৈতিক কর্মকা-ের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি সাধারণ মানুষের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এক্ষেত্রে ভুঁঁইফোড় সংগঠন সম্পর্কে সংগঠনের সুস্পষ্ট ঘোষণা থাকা দরকার। জননেত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকার ‘জনবান্ধব’ সরকার। শেখ হাসিনার সরকার দেশের উন্নয়নে প্রায় ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছে। যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্যপ্রযুক্তিগত উন্নয়ন, শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, সমুদ্র জয়, প্রার্বত্য শান্তিচুক্তি, জঙ্গীবাদ দমনসহ অসংখ্য কাজ করেছেন এবং কাজ করে যাচ্ছেন। সর্বশেষ কূটনৈতিক সাফল্যে বিশ্ব সংস্থার দুটি পদে সভাপতি নির্বাচিত হওয়া শেখ হাসিনার সরকারকে মহিমান্বিত করেছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতৃবৃন্দের মধ্যে প্রথম কাতারের একজন নেতা হিসেবে আজ স্বীকৃত। বাংলাদেশের জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমরা যাঁরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল তাঁদের আত্মশুদ্ধি ও আত্মসমালোচনার মধ্যে থেকে কাজ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ‘ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার কাজে একজন নিবেদিত কর্মী হিসেবে কাজ করে যাব, এ হোক আমাদের অঙ্গীকার। লেখক : আইনজীবী
×