ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ বাংলাদেশ-নেপাল মুখোমুখি সেমিতে

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ১৯ নভেম্বর ২০১৪

আজ বাংলাদেশ-নেপাল মুখোমুখি সেমিতে

রুমেল খান ॥ প্রায় শেষ হয়ে আসছে সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের ৪৮ হাজার আসনবিশিষ্ট জিন্নাহ্ ফুটবল স্টেডিয়ামে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে দুটি সেমিফাইনাল। যার দ্বিতীয়টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নেপাল। খেলাটি বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায় শুরু হবে। আর প্রথম সেমিতে ভারত-শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি হবে একই ভেন্যুতে (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টায়)। দুটি খেলাই সরাসরি দেখা যাবে পিটিভিতে। এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশের সামনে আজ বাধা হচ্ছে শক্তিশালী নেপাল। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েই তা পরিষ্কার। নেপালের র‌্যাঙ্কিং ১০৯, আর বাংলাদেশের ১১৭। ‘এ’ গ্রুপের রানার্সআপ বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬-১ গোলে হারিয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে যায় ১-৫ গোলে। আর তৃতীয় ম্যাচে মালদ্বীপকে হারায় ৩-১ গোলে। ৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ হার নিয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয় বাংলাদেশ। পক্ষান্তরে ‘বি’ গ্রুপে নেপাল তাদের ৩ খেলার প্রতিটিতেই জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়। তারা হারায় ভুটানকে ৮-০, পাকিস্তানকে ২-০ এবং শ্রীলঙ্কাকে ৩-০ গোলে। এই প্রতিযোগিতার ২০১০ আসরের সেমিফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। আর সর্বশেষ ২০১২ আসরের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। পক্ষান্তরে নেপাল এই আসরে ২০১০ ও ২০১২ সালে রানার্সআপ হয়েছিল। ২০১০ আসরের সেমিতে নেপালের কাছে ০-৩ গোলে পরাভূত হয়েছিল বাংলাদেশ। স্বভাবতই তাদের হারিয়ে প্রতিশোধ নেয়ার একটা সুযোগ পাচ্ছে সুকিতাতে নোরিওর দল। আজকের ম্যাচ দেখার জন্য ইসলামাবাদে বসবাসরত বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশী জিন্নাহ্ ফুটবল স্টেডিয়ামে উপস্থিত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের তিন-দুই ম্যাচেও তারা স্টেডিয়ামে এসে উৎসাহ-সমর্থন জুড়িয়েছিলেন সুইনু-লিপিদের। নেপালের বিরুদ্ধে সেমির ম্যাচকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের জাপানী কোচ সুকিতাতে নোরিও বলেছেন, ‘আমার দল তাদের সামর্থ্যরে শেষবিন্দু দিয়ে লড়বে জয় ছিনিয়ে আনতে।’ দলের সহকারী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘জেতার জন্য আমরা ১০০ ভাগ চেষ্টা করব। সব প্লেয়ারই শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছে। আমাদের জন্য সবাই দোয়া চাইবেন যেন জয়লাভ করতে পারি।’ দলের অধিনায়ক সুইনু প্রু মারমা বলেন, ‘ফাইনালে যেতে হলে এই ম্যাচটা আমাদের জিততেই হবে। আমরা কঠিন লড়াই করব অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে। প্রতিপক্ষের কয়েকজন প্লেয়ার খুবই ভাল। তবে আমরা তাদের হারাতে বদ্ধপরিকর। ইনশাল্লাহ্ আমরাই জিতব। সবাই আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন।’ কদিন আগে বাংলাদেশ অনুর্ধ ১৬ দলের মেয়েরা দেশের মাটিতে অভাবনীয় ফুটবল খেলেছে। এবার পালা জাতীয় মহিলা দলের। তারা কি পারবে সে রকম কিছু করতে? যদিও অগ্নিপরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার আগে তারা বলে গেছে টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলাই তাদের মূল লক্ষ্য। তারা আদৌ সাফল্য পাবে কি না, এ নিয়ে অনেকের মনেই রয়েছে কিঞ্চিৎ সংশয়, তেমনি আশাবাদীরাও তাদের সাফল্য চাক্ষুস করার জন্য প্রতীক্ষা করছেন অধীর আগ্রহ নিয়ে। পারবে কি বাংলাদেশের মেয়েরা? এখন দেখার বিষয়, সেমির ম্যাচ জিতে ফাইনালে নাম লেখাতে সক্ষম হয় কি না সুইনুবাহিনী।
×