ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘টাইগাররা নিজেদের জঙ্গলে সব সময়ই ভয়ঙ্কর’

প্রকাশিত: ০৫:১১, ১৯ নভেম্বর ২০১৪

‘টাইগাররা নিজেদের জঙ্গলে সব সময়ই ভয়ঙ্কর’

স্পোর্টস রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে ॥ বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলছে জিম্বাবুইয়ে। স্বাভাবিকভাবেই ভয় পাওয়ার কথা। সেই ভয় পাচ্ছেও জিম্বাবুইয়ানরা। তাইতো টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবার তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে ৩-০ ব্যবধানেই হেরেছে। শুক্রবার থেকে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। পাঁচ ম্যাচের এ ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগেও বাংলাদেশকে ভয় পাচ্ছে জিম্বাবুইয়ে। টাইগার হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশ দলকে নিয়ে কোচ স্টিফেন ম্যাঙ্গোঙ্গোর কথাতেই তা পরিস্কার, ‘টাইগাররা তাদের জঙ্গলে সব সময়ই ভয়ঙ্কর।’ শুধু কী ভয় পাচ্ছে সফরকারীরা। টেস্ট সিরিজের টানা তিন ম্যাচে হারায় হতাশও। এ হতাশা ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে না কাটলে বাংলাদেশের জন্য সুবিধাই হবে। হতাশ কোচ ম্যাঙ্গোঙ্গো নিজেও। টেস্ট সিরিজ শেষে মঙ্গলবার প্রথমদিনের অনুশীলন সেরে নেয় জিম্বাবুইয়ে ক্রিকেটাররা। অনুশীলন শেষে কোচ হতাশার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত হতাশার যে, আমরা তিনটি টেস্টেই পরাজিত হয়েছি। হোয়াইটওয়াশ হয়েছি। বাংলাদেশ দলকে অভিনন্দন। ওরা নিজেদের কন্ডিশনে দারুণ খেলেছে। ওদের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে। দলের সিনিয়র ব্যাটসম্যান সাকিব, তামিম, মুশফিক রান করেছে। আমাদের চেয়ে ভালো করেছে।’ তবে এ হতাশা কাটিয়ে এখন ওয়ানডের জন্য প্রস্তুত হতে হবে বলেও জানিয়েছেন ম্যাঙ্গোঙ্গো, ‘টেস্ট সিরিজ এখন শেষ। নতুন আরেক অধ্যায়ের শুরু। সামনে ওয়ানডে সিরিজ। এখন ওদিকেই আমাদের দৃষ্টি। আশাকরি ওয়ানডে সিরিজটা প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ হবে। দু’দলের মধ্যে ওয়ানডে সিরিজ সব সময় তিক্তটার এবং কঠিন হয়ে থাকে। এবারও তাই হবে।’ উপমহাদেশের কন্ডিশন মানেই হচ্ছে স্পিন ভীতি। উপমহাদেশের বাইরের যে কোন দলের জন্যই ভয়ের কারণ হয়ে ওঠে স্পিনাররা। জিম্বাবুইয়ে ব্যাটসম্যানদের জন্যও বাংলাদেশের স্পিনাররা ভয়ঙ্কর হয়েই উঠেছেন। তিন টেস্টে ৬০ টি উইকেটেই পড়েছে জিম্বাবুইয়ের। এরমধ্যে ৪৯ টা উইকেটই বাংলাদেশের স্পিনাররা নিয়েছেন। সাকিব আল হাসান ১৮টি, তাইজুল ইসলাম ১৭ টি, জুবায়ের হোসেন ১১ টি, শুভগত হোম ২টি ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১টি উইকেট নিয়েছেন। স্পিনারদের কাছেই বলতে গেলে জিম্বাবুইয়ে হেরেছে। স্বাভাবিকভাবেই ওয়ানডেতেও সেই স্পিন ভীতি কাজ করছে? জিম্বাবুইয়ে কোচ বলেছেন, ‘স্পিনের বিপক্ষে প্রতিটি ম্যাচেই আমরা নিজেদের প্রমাণের চেষ্টা করেছি। দলের ব্যাটসম্যানদের উন্নতিতে আমি সন্তুষ্ট। বাংলাদেশের স্পিনাররা প্রতিটি ম্যাচেই আমাদের ভুগিয়েছে। তারপরও খুলনা টেস্টে আমরা ৩৬৮ রান, চট্টগ্রামে ৩৭৪ রান করেছি। আমরা প্রতিটি ম্যাচেই উন্নতি করছি। তবে এটা ঠিক যে টেস্টের বোলিং আর ওয়ানডে বোলিংয়ের মধ্যে বিস্তর ফাঁরাক। টেস্টে আক্রমণাত্মক ফিল্ডিং সাজানো হয়, কিন্তু ওয়ানডে তা করা হয় না। সুতরাং দুই ধরনের ক্রিকেটে বেশ পার্থক্য।’ গতবছর জিম্বাবুইয়ের মাটিতে হয়েছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুইয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এবার হচ্ছে বাংলাদেশে সিরিজ। সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজ জিম্বাবুয়ে জিতেছে। ২-১ ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে। প্রথম ওয়ানডে বাংলাদেশ জিতলেও পরের দুটি ওয়ানডেতে জিতে সিরিজ জিতে জিম্বাবুইয়ে। এবার বাংলাদেশ তাদের হোম কন্ডিশনে খেলবে। আগের ফল ধরে রাখা কী এ সিরিজে সম্ভব হবে? ম্যাঙ্গোঙ্গো আগে কী হয়েছে তা নিয়ে ভাবতে রাজি নন। বলেছেন, ‘ওই সিরিজে কী হয়েছিল, সেটা এখন অতীত।
×