ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরি না খুঁজে উদ্যোক্তা হন

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ১৪ নভেম্বর ২০১৪

চাকরি না খুঁজে উদ্যোক্তা হন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরির জন্য ‘দ্বারে দ্বারে ’ না ঘুরে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শিক্ষা সমাপনের পর চাকরির জন্য এখানে সেখানে লোকজনকে ধরাধরি করা যুবসমাজের জন্য অবমাননাকর। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল সেন্টারে ‘শিং দিয়ে গুঁতোগুঁতি’ করে উদ্যোক্তাদের কাজে বাধা সৃষ্টি না করার জন্য স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের সতর্ক করে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘ডিজিটাল সেন্টার উদ্যোক্তা সম্মেলনের’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন। বাস্তবিকই একবিংশ শতকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যতম সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। পর্যাপ্ত দক্ষ ও অদক্ষ জনশক্তি আমাদের জন্য এ সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। একমাত্র কার্যকর পরিকল্পনার মাধ্যমে এই বিপুল জনশক্তিকে জনসম্পদে পরিণত করা সম্ভব। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যুবসমাজকে অবশ্যই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। চাকরি খোঁজার বদলে তাদের অনেকের জন্য রয়েছে উদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশের সুবর্ণ সুযোগ। তবে পরামর্শক ও সহযোগী হিসেবে এ ক্ষেত্রে সরকারকে দেশের যুবসমাজের পাশে এসে দাঁড়াতে হবে। বর্তমানে অনেক শিক্ষিত যুবক প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শেষ করার পর আত্মকর্মসংস্থানের দিকে ঝুঁকছে। অনেকেই গ্রামে ফিরে গিয়ে মৎস্য চাষ প্রকল্প গড়ে তুলেছে। কেউবা হাঁস-মুরগির খামার করছে। আবার কেউবা বাড়ির পাশে নার্সারি গড়ে তুলেছে। অপরদিকে এসব উদ্যোগী যুবক শহরে খুব অল্প জায়গায় লাভজনক প্রকল্প চালু করেছে। এ ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের যুবকরা শুধুু নিজেরাই স্বাবলম্বী হয়নি, তারা একই সঙ্গে অন্যদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণ সমাজের প্রতি উদ্যোক্তা হওয়ার যে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এর চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে? পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, যত বেশি তরুণ উদ্যোক্তা এগিয়ে আসবে ততই এ দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গলজনক। বর্তমান সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। সরকারের এ সাফল্য দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে চার হাজার ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে সারাদেশের ১১ হাজার তরুণ-তরুণী কাজ করছে। অনেক ক্ষেত্রে তারা গ্রামে বসেই মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করছে। এটা সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের কারণে। তবে দেশে ইন্টারনেটের গতি এখনও তুলনামূলকভাবে যথেষ্ট ধীর। এর গতি বাড়াতে হবে। সরকার ইন্টারনেটের গতি আরও বাড়াতে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এটাই সবার প্রত্যাশা। সেই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের কাজের পরিধি আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া জরুরী। এতে দেশ আরও উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।
×