ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইংলিশ অধিনায়কের প্রশংসায় কোচ রয় হডসন

শততম ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় ওয়েন রুনি

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ১৩ নভেম্বর ২০১৪

শততম ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় ওয়েন রুনি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গৌরবময় মাইলফলকের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে ওয়েন রুনি। তারকা এই ফরোয়ার্ড ইংল্যান্ডের জার্সিতে ১০০তম ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় আছেন। আগামী শনিবার ইউরো বাছাই ফুটবলে লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে সেøাভেনিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে নবম ইংলিশ ফুটবলার হিসেবে শততম ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করবেন ২৯ বছর বয়সী রুনি। মাইলফলক ম্যাচ সামনে রেখে ইতোমধ্যে রুনিকে নিয়ে চলছে প্রশংসার স্রোত। গৌরবময় অর্জনের হাতছানি সামনে রেখে ইংল্যান্ড কোচ রয় হডসনও রুনির কাছে তাঁর প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। ইংল্যান্ড কোচ রুনির প্রশংসা করলেও তাকে আরও পরিপক্ক আচরণের আহ্বান জানিয়েছেন। হডসনের এমন বলার কারণ, ইতোপূর্বে জাতীয় দল কিংবা ক্লাবের হয়ে অনেকবার আপত্তিকর ঘটনা ঘটিয়ে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন মেজাজি রুনি। তবে হডসন এটাও মনে করেন, ভবিষ্যতে পিটার শিলটনের রেকর্ড ভেঙ্গে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়বেন রুনিই। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৫ ম্যাচ খেলেছেন পিটার শিলটন। সাবেক বিশ্বখ্যাত এ গোলরক্ষক ১৯৭০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত খেলেন। শিলটনের পর ১০০ বা তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন আরও সাতজন। এরা হলেন ডেভিড বেকহ্যাম, স্টিভেন জেরার্ড, ববি মুর, এ্যাশলে কোল, ববি চার্লটন, ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ড ও বিলি রাইট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১৫ ম্যাচ খেলেছেন সাবেক অধিনায়ক বেকহ্যাম। ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের খেলেন তারকা এই মিডফিল্ডার। এছাড়া ১৯৬২ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ববি মোর ১০৮, ১৯৫৮ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ববি চার্লটন ১০৬ ও ১৯৪৬ থেকে ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত বিলি রাইট ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেন ১০৫ ম্যাচ। এছাড়া এ্যাশলে কোল ১০৭ ও ল্যাম্পার্ড খেলেছেন ১০৬ ম্যাচ। বয়স বিবেচনায় অন্যদের তুলনায় অনেক আগেই ‘সেঞ্চুরি’ পূর্ণ করতে চলেছেন রুনি। ২০০৩ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হওয়ার পর থেকে চোট ছাড়া কখনই দল থেকে বাদ পড়েননি তিনি। দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত তেমন বড় সাফল্য না পেলেও ৯৯ ম্যাচে করেছেন ৪৩ গোল। বর্তমানে যে অবস্থায় আছেন তাতে শিলটনের রেকর্ড রুনিই ভাঙ্গবেন বলে বিশ্বাস করেন হডসন। বলেন, আমরা যদি তাঁকে (রুনি) আরও পাঁচ বছর সুযোগ দিই তাহলে এটা অসম্ভব কিছু না। সে অবশ্যই পিটারের রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলবে। বর্তমানে বয়স মাত্র ২৯। নিজের প্রতি যতœবান হলে এটা খুব সম্ভব। রুনির প্রশংসা করে হডসন বলেন, সে এমন একজন মানুষ যে কি না গত কয়েক বছর ধরেই খবরের শিরোনাম হয়ে আছেন। আমরা বিষয়টাকে অস্বীকার করতে পারব না। খুব কম বয়স থেকে ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকেই এটা হয়ে আসছে। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই তিনি এক ফুটবল বিস্ময় হিসেবে পরিচিত হয়ে যান। এরপর প্রতিবছরই তাঁর ওপরে ছিল স্পটলাইট। অনেক উত্থান-পতনের মধ্যে থেকেও গণমাধ্যমগুলোর কাছে তিনি সবসময়ই যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছেন। আর সেটাই হয়ত তাঁকে কিছুটা কঠিন সময়ের মধ্যে পতিত করেছে। হডসন জানান, যখন রুনির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাত করেন তখন তাঁকে দেখেই মনে হয়েছে এ খেলোয়াড়টি শুধু খেলার জন্য সবসময় মুখিয়ে থাকে। আর এখন পর্যন্ত সেই একই মনোভাব আছে রুনির মধ্যে এমনটাই দাবি তার। অবশ্য এতকিছুর পরও হডসন মনে করছেন নিজের যোগ্যতা অনুসারে টিকে থাকার জন্য রুনিকে অবশ্যই সামর্থ্যরে প্রমাণ দিতে হবে। এ প্রসঙ্গে ইংলিশ কোচ বলেন, সব খেলোয়াড়কেই এটা করতে হবে। নির্দিষ্টভাবে শুধু তাঁর (রুনি) জন্যই বিষয়টা নয়।
×