ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নাটোরে অধিগ্রহণের নামে বৈধ জমি দখলে নিতে বাধা

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১০ নভেম্বর ২০১৪

নাটোরে অধিগ্রহণের নামে বৈধ জমি দখলে নিতে বাধা

সংবাদদাতা, নাটোর, ৯ নবেম্বর ॥ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হুমকিতে নাটোরের লালপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরের মধ্যে নিজ জমি দখলে নিতে পারছে না জমিটির প্রকৃত মালিক। জমিটি অধিগ্রহণ করা হবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুখে বললেও তার কোন কার্যক্রম বা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা। আবার জমিটিতে বাপ-দাদাতের লাগানো প্রায় ৫০ বছরের পুরনো শতাধিক গাছ কাটতে গেলে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। জমি বা জমির ওপর দ-ায়মান গাছগুলো দখলে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। লালপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বৈদ্যনাথপুর মৌজায় স্থানীয় এসএম তারেকুজ্জামান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত তার পিতা মৃত এসএম রবিউজ্জামান ১৭৩ ও ১৭৫ নম্বর খতিয়ানের যথাক্রমে ০.৫৩ একর ও ০.২০ একর জমি ১৯৭০ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৬২২৯/১ নম্বর ডিসিয়ার ও একই বছরের ৫ মার্চ ১৬৪২১/২ নম্বর ডিসিয়ার মূলে নিলামে খরিদ করেন। এসএম রবিউজ্জামান সেনাবাহিনীতে কর্মরত থাকায় এবং চাকরির সুবাদে কিছুদিন বিদেশে থাকায় তার নামে খারিজ-খাজনা করতে বিলম্ব হয়। এই সুযোগে সংশ্লিষ্ট জমির ওপর উপজেলা পরিষদসহ বেশকিছু সরকারী অফিস গড়ে তোলা হয়। পরবর্তীতে দেশে ফিরে বিষয়টির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর ২০১১ সালের ১৭ আগস্ট ৩৪০২৩১১৬ নম্বর চেকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ০.২০ একর জমির ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাদের ২৩ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯৯ টাকা ৯৯ পয়সা পরিশোধ করা হয়। কিন্তু অবশিষ্ট ০.৫৩ একর জমিও উপজেলা পরিষদ প্রশাসন অবৈধভাবে দখল করে রাখে। এসএম তারেকুজ্জামান অভিযোগ করেন, তিনি জমিটির দখল নিতে গেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে জানান, জমিটি অধিগ্রহণ করা হবে। এ অবস্থায় এসএম তারেকুজ্জামান নাটোর প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মিস কেস (নম্বর ১৩/২০১৪) দায়ের করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জবাব দেন যে, জমিটি অধিগ্রহণ করা হবে কিনা তার কোন ঠিক নেই। অপরদিকে গত ২৪ জুন তারিকুজ্জামান জমির বৈধ মালিক হিসেবে সংশ্লিষ্ট ০.৫৩ একর জমির খাজনাও পরিশোধ করেছেন বলে দাবি করেন। বিষয়টি সম্পর্কে যোগাযোগ করা হলে ইউএনও আমিনুল ইসলাম জানান, উপজেলা চত্বরে কেউ যদি জমি দখলে নিতে চায় তাহলে তিনি তো তা করতে দিতে পারেন না।
×