ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রামের পোল্ট্রি শিল্পে দুর্দিন

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৭ নভেম্বর ২০১৪

চট্টগ্রামের পোল্ট্রি শিল্পে দুর্দিন

মহসিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অফিস ॥ দুর্দিন শুরু হয়েছে পোল্ট্রি শিল্পে। একমাসের বেশি সময় ধরে ফার্মের মুরগির (বয়লার) চাহিদা নেই। প্রতিটি পোল্ট্রি ফার্ম অবিক্রীত মুরগিতে ভরপুর। ওজন বেড়ে যাচ্ছে দ্রুত। আর এসব মুরগি বাঁচিয়ে রাখতে পোল্ট্রি মালিকদের চড়া দামে খাদ্য যোগান দিতে হচ্ছে। কিন্তু দর পড়ে গেছে অর্ধেকের কাছাকাছি। চট্টগ্রামের প্রায় সাড়ে ৩শ’ ছোটবড় পোল্ট্রি শিল্প এখন মারাত্মক আর্থিক লোকসানে বন্ধ হবার উপক্রম। এবার শীতের আগে ফার্মগুলোতে ভাইরাসজনিত রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়লে পোল্ট্রি শিল্পে নতুন করে ভয়াবহ ধস নামবে। অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রাম শহর এবং নগরীর বাইরে বড় পোল্ট্রি শিল্প রয়েছে এক শ’টি। এসব পোল্ট্রি শিল্পে মাত্র ৪/৫টি বাচ্চা উৎপাদন করে থাকে। পটিয়ায় রয়েছে এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ বাচ্চা উৎপাদন খামার। বিভিন্ন খামার থেকে প্রতিমাসে অন্তত ১০ লাখ মুরগির বাচ্চা উৎপাদন হয়ে থাকে। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে কোরবানি ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন পোল্ট্রি ফার্মে মুরগির উৎপাদন হ্রাস পায়। কোরবানি ঈদে গরুর মাংসের চাহিদার আধিক্য থাকায় সাধারণত মুরগির চাহিদা কম থাকে। তাই বিভিন্ন ফার্ম আগে থেকেই মুরগি উৎপাদন হ্রাস করে। কিন্তু কোরবানির পর এক মাস পার হলেও বাজারে মুরগির চাহিদা বৃদ্ধি পায়নি। বরং বিভিন্ন ফার্মে দ্রুত বাড়ছে মুরগির ওজন। আর বড় সাইজের মুরগির বাড়তি খাবারের যোগান দিতে গিয়ে ক্ষুদ্র পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়ছে। বাজারে মুরগির চাহিদা না থাকায় খামারগুলোতে এখন অতিরিক্ত মুরগিতে বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণু এবং ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় পড়েছে অনেকে। খামারগুলোতে নতুন করে বাচ্চা বড় করার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাচ্চা উৎপাদনকারী খামারীরা সঙ্কটে পড়েছে। তারাও বাধ্য হয়ে উৎপাদন হ্রাস করেছে। কোরবানি ঈদের সময় ফার্মের মুরগির দাম নেমে এসেছিল কেজিপ্রতি মাত্র ৯০ টাকায়। বর্তমানে চট্টগ্রামের বাজারে ফার্মের বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ১১০ টাকায়। স্বাভাবিকভাবে চট্টগ্রামের বাজারে মুরগির দাম ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় ওঠানামা করত।
×