ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বামপন্থীরা জার্মানির একটি রাজ্যে ক্ষমতায় যাচ্ছে?

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ৬ নভেম্বর ২০১৪

বামপন্থীরা জার্মানির একটি রাজ্যে ক্ষমতায় যাচ্ছে?

বার্লিন প্রাচীর পতনের পর এই প্রথম আগামী সপ্তাহান্তে উদযাপিত হচ্ছে বার্লিন প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার ২৫তম বার্ষিকী। দিবসটি উদযাপনের মাত্র কয়েকদিন আগেও পুনরেকত্রিত জার্মানির ১৬টি অঙ্গরাজ্যের (থুরিংগিয়া) একটির দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে ডাই লিংক (বামপন্থী) দল। ডাই লিংক কমিউনিস্টদের সমন্বয়ে গঠিত। এ দলটি সাবেক পূর্ব জার্মানি শাসন করেছিল। মূলধারার দলগুলো এ বামপন্থী ডাই লিংক দলটিকে কেন্দ্রীয় বুন্ডেসট্যাগে একটি অস্পৃশ্য দল বলে মনে করে। দলটি পেছনের সারি থেকে চেঁচামেচি করে এবং অন্তর্দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকে। দলটি পুঁজিবাদকে অবজ্ঞা করে এবং ন্যাটোকে ভেঙ্গে ফেলতে চায়। ইউক্রেন বিতর্কে অনেক বামপন্থী রাশিয়ার ভøাদিমির পুতিনের চেয়ে আমেরিকাকে দায়ী করেছেন। াদের পার্লামেন্টারি নেতা গ্রেগর গাইসি পূর্ব জার্মানিকে একটি বেআইনী রাষ্ট্র হিসেবে আখ্যায়িত করতে সম্মত নন। তারপরও জার্মানির পূর্বাঞ্চলে প্রাদেশিক ও স্থানীয় সরকারগুলোয় বেশ অবস্থান গড়ে তুলেছে ডাই লিংক। কারণ সেখানে অনেক ওসিস (পূর্বাঞ্চলীয় জনগণ) রাজনীতিবিমুখ এবং অস্পষ্টত নৈরাশ্যে ভোগে। তারা বামপন্থী দলকে ভোট দেয় ‘ওস্টালজি’র কারণে। ব্র্যান্ডেনবাগে সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের (এসপিডি) সঙ্গে জুনিয়ার পার্টনার হিসেবে ‘রেড রেড’ জোট গঠন করে শাসন করছেন অনেকটা বিরক্তির সঙ্গেই। কিন্তু থুরিংগিয়া একটি নতুন সুযোগ উপস্থাপন করেছে। সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে চ্যান্সেলর এ্যাঞ্জেলা মেরকেলের ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটরা (সিডিইউ) ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। বামপন্থী দলটি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ২৮ শতাংশ ভোট পেয়ে। ডাই লিংক অন্য দুটি বামঘেঁষা দল এসপিডিও গ্রিনসের সঙ্গে মিলে একটি ক্ষুদ্র সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। ‘রেড-রেড-গ্রিন’ জোটের মতো জার্মানির মধ্যবামের ওপর অনেকের আশা তারা এ্যাঞ্জেলা মেরকেল সরকারকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হবে। থুরিংগিয়ায় (জার্মানির অবশিষ্টাংশের মতোই) সিডিইউ এসপিডির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েই শাসন করছে। অথচ এসপিডি সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে ভোট পেয়েছে মাত্র ১২ শতাংশ। অঙ্গরাজ্যের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা এখন যোগ দিতে চাইছে বামপন্থী ও গ্রিনদের সঙ্গে। ডাই লিংক ডিসেম্বরের আগে প্রথমবারের মতো তার রাজ্য সরকার গঠন করার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সরকারের মূখ্যমন্ত্রী হবেন বোডো ব্যামিলো। এক সময় তিনি যদিও কট্টর শ্রমিক নেতা ছিলেন তারপরও তিনি মধ্যপন্থী হিসেবে বিবেচিত। সূত্র ঃ ইকোনমিস্ট
×