ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ-আমিরাত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে ঐকমত্য

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ২৯ অক্টোবর ২০১৪

বাংলাদেশ-আমিরাত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে ঐকমত্য

হাসিনা-আল মাকতুম বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বিভিন্ন খাতে অংশীদারিত্বের সুযোগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অধিকতর জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ইউএইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের প্রশাসক শেখ মোহাম্মেদ বিন রশিদ আল মাকতুমের মধ্যে সোমবার আনুষ্ঠানিক আলোচনার পর এই ঐকমত্য হয়। শেখ হাসিনা আল মাকতুমের আমন্ত্রণে ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর ইউএই সফর করেন। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দুবাইয়ের জাবেল প্যালেসে আন্তরিকতাপূর্ণ এবং দুই দেশের সরকার ও জনগণের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের পরিবেশে দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়। খবর বাসস’র। বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে উভয় পক্ষ দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আরও জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করে ব্যবসা, বাণিজ্যে অংশীদারিত্বের সুযোগ ও অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছেন। বৈঠকে উচ্চ শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পর্যটন খাতে যৌথ প্রকল্প এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জ্বালানি খাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও ব্লু ইকোনমি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিতে দু’দেশ একমত হয়েছে। দুই প্রধানমন্ত্রী অর্থের সংস্থান ও বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণে ইউএইর সমর্থনের বিষয়ে আরও আলোচনার ব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন। এছাড়া উভয়পক্ষের মধ্যে শ্রমিক নিয়োগ বিষয়েও আলোচনা হয়। উভয় দেশ নিরাপত্তা সহযোগিতা, দ-িত বন্দীবিনিময় ও ঢাকায় ইউএই দূতাবাস নির্মাণে প্লট বরাদ্দ চুক্তি করেছে। বৈঠকে শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর এই অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। উভয় পক্ষই সন্ত্রাসবাদের উত্থানে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আইএসআইএসসহ সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা- প্রতিরোধের উপর গুরুত্বারোপ করে। বৈঠকে দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের ভিত স্থাপনের জন্য বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ইউএইর প্রতিষ্ঠাতা মরহুম প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের অবদান গভীর শ্রদ্ধা সহকারে স্মরণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে ইউএইর প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। ইউএইর প্রধানমন্ত্রী এই আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বলেন, পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সফরের তারিখ নির্ধারিত হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সফরকালে তাঁর এবং তাঁর সফর সঙ্গীদলের প্রতি উষ্ণ ও আন্তরিক আতিথিয়েতার জন্য ইউএইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের প্রশাসক এবং দেশটির সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
×