ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

জিম্বাবুইয়েকে ২০০ রানের মধ্যে আটকানোর লক্ষ্য

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২৭ অক্টোবর ২০১৪

জিম্বাবুইয়েকে ২০০ রানের মধ্যে আটকানোর লক্ষ্য

বললেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মিরপুর টেস্টে যে কোন এক দল জিতবে, এটা নিশ্চিত হয়ে গেছে। ড্র হওয়ার কোন সম্ভাবনাই এ টেস্টে নেই। কিন্তু জিতবে কোন্্ দল, বাংলাদেশ না জিম্বাবুইয়ে? প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষেই জয়-পরাজয় নিয়ে ভাবনা হচ্ছে। কারণ, দুই দলই যে সমান অবস্থানে আছে। ৬৩ রান করা বাংলাদেশ অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও তাই মনে করছেন। তবে জয়ের আশা এখনই ছাড়তে রাজি নন। এজন্য জিম্বাবুইয়ে দুই শ‘ রানের বেশি যেন না করে সেদিকেই নজর দিচ্ছেন মাহমুদুল্লাহ। এর বেশি হলে যে জিততে কঠিন হয়ে যাবে। জয় জিম্বাবুইয়ের ভাগ্যেও চলে যেতে পারে। জিম্বাবুইয়ে প্রথম দিন (২৪০ রান) যেমনটি খেলল, বাংলাদেশও দ্বিতীয় দিন (২৫৪ রান) তেমনটিই খেলল। দুই দলই এখন এগিয়ে রয়েছে। যে কেউ ম্যাচ থেকে ফল বের করে নিতে পারে। তাই মনে করছেন মাহমুদুল্লাহ। তাইতো দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বললেন, ‘দুই দলই এগিয়ে আছে। আমার কাছে মনে হয় যারাই বেশি রান করবে উইনিং পারসেন্টেজ বেশি থাকবে তাদেরই।’ এজন্য এখন করণীয় কি তাও বলে দিলেন এ অলরাউন্ডার, ‘টেস্টের রেজাল্ট হবে। এজন্য যত দ্রুত সম্ভব উইকেট নিয়ে কম রানে আটকে রাখতে হবে।’ এই কম কত স্কোর? মাহমুদুল্লাহ বললেন, ‘উইকেটের স্বভাবের ওপর নির্ভর করে ওদের দ্বিতীয় ইনিংসে কত রান হলে আমাদের জন্য ভাল হয়। আমাদের চেষ্টা থাকবে যত কমে সম্ভব আউট করা যায়। যত কম বলতে ১৫০ রানও হতে পারে, ২০০ রানও হতে পারে।’ বাংলাদেশ চাইলেই আরও ভাল অবস্থানে থাকতে পারত। এমনও হতে পারত দ্বিতীয় দিন অলআউটই হলো না। কিন্তু টেস্টের মতো খেলায় ৩টি রানআউট হলে কি আর ভাল অবস্থানে থাকা যায়। সাকিব রান আউট হয়েছেন। মুমিনুল হক তো ৫৩ রান করার পর হেলামি করে নিজের উইকেটের মৃত্যু ডেকে এনেছেন। আর শাহাদাত কি যে করেন। ব্যাট যে পপিং ক্রিজে দ্রুত রাখা উচিত তা যেন ভুলেই গেছেন। নাকি দায়সারা ভাব নিয়ে খেলেছেন। এর বাইরে মাহমুদুল্লাহ, মুশফিকের অহেতুক আউট হওয়াও সবার নজরে পড়েছে। মাহমুদুল্লাহও তিন রান আউটের অসন্তুষ্ট। বলেছেন, ‘তিনটা রান আউট আমার কাছে গ্রহণযোগ্য না। বিশেষ করে এ স্ট্যান্ডার্ডে।’ তবে এ তিন রান আউটের মধ্যে যে নিজের ভুলেই সাকিব আউট হয়েছেন তাও জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমারও একটা ভুল ছিল। হয়ত ঐ সময়টায় কলটা ভুল ছিল। সাকিবের আউটটি আমারই ভুলে হয়েছে।’ এমন হওয়ার পেছনে যে ঢিলেঢালা ভাবও কাজ করেছে তাও মানছেন মাহমুদুল্লাহ, ‘কিছুটা ক্যাজুয়েল এ্যাপ্রোচ ছিল। হয়ত আমরা যদি আরেকটু কনসার্ন থাকতাম, এ ভুলগুলো হতো না। আমাদের শর্ট সিলেকশনে আরও সচেতন হওয়া উচিত।’ দিনশেষে বাংলাদেশ ৯ রানে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ এ এগিয়ে থাকাকে সন্তুষ্টির কোন কারণ হিসেবেই দেখছেন না, ‘আমার মনে হয় না কোন স্বস্তি দেবে। পিচ খুব ভাল ছিল। যদিও ওরা ভাল বল করেছে। নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছে। তবুও পিচ যেরকম কন্ডিশনে ছিল আমাদের ব্যাটসম্যানদের জন্য অনুকূলেই ছিল। ওরকম আহামরি কোন স্পিন হচ্ছিল না। বাউন্সও ওইরকম হচ্ছিল না। আমাদের উচিত ছিল একটু ধৈর্য নিয়ে ব্যাটিং করা। বিশেষ করে যারা আমরা অর্ধশতক করেছি।’ জিম্বাবুইয়ের প্রথম ইনিংসে কম রান হওয়াতেই একটু ঢিলেঢালা ভাব চলে আসল কিনা। মাহমুদুল্লাহ সমর্থন করতে পারলেন না, ‘এরকম কিছু না। আমরা ওইরকম রানও করতে পারছিলাম না। আমি আর মুশফিক যখন খেলছিলাম, রান নিতে পারছিলাম। চা বিরতির আগে ওইরকম আউট হওয়া আমার উচিত হয়নি। শটটা খেলা উচিত হয়নি।’ সঙ্গে যোগ করেন ‘চতুর্থ ইনিংসে যদি লিড বেশি হয়ে যায় আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। এখন লক্ষ্য থাকবে ব্যাটসম্যানদের জন্য ম্যাচটা যত সহজ করে দেয়া যায়। ওদের ফিল্ডিং খুব ভাল হয়েছে। আমাদেরটাও ভাল হতে হবে।’ তবে এখনও মাহমুদুল্লাহ নিজেদের দলকেই ভাল বলছেন, ‘আমাদের টিম বেটার। তারা দিনটিতে শুধু ভাল করেছে।’ অর্থাৎ জিম্বাবুইয়েকে হারানোর সম্ভাবনা যে এখনও অনেক বেশি, তাই বুঝিয়ে দিলেন মাহমুদুল্লাহ। এজন্য শুধু জিম্বাবুইয়েকে ২০০ রানের মধ্যে বেঁধে রাখতে হবে।
×