ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

waltonbd
waltonbd
Sopno
Sopno
SomajVabna
জাতীয় পার্টি ধ্বংস হয়ে গেলে সরকারও সুখে থাকবে না

জাতীয় পার্টি ধ্বংস হয়ে গেলে সরকারও সুখে থাকবে না

বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের এমপি বলেছেন, সরকার আমাদের দলে একটা বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে, সরকারের এটা করা উচিত না। আমাদের দল ধ্বংস হয়ে গেলে সরকারও সুখে থাকবে না। মঙ্গলবার জাপার বনানী কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন সঠিকভাবে হয়নি তা সংসদে বিস্তারিত বলেছি। আইআরআই বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টের আগেই আমি সংসদে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছি। নির্বাচন ইস্যুতে খবরের কাগজে নিবন্ধও লিখেছি। সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দলের কিছু লোক কথা বলে না। তাই দীর্ঘদিন ধরেই দল হিসেবে আমরা সংসদে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। কারণ, সরকার আমাদের দলের মাঝে একটা বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে। সরকারের এটা করা উচিত না। আমাদের মতো দল ধ্বংস হয়ে গেলে, সরকারও সুখে থাকবে না।  জি এম কাদের আরও বলেন, দেশের সকল ক্ষমতা যদি জনগণের হয় তাহলে তারাই নির্বাচন করবে জনপ্রতিনিধি। দেশের মানুষের কি ভোটাধিকার আছে? আমরা বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ চেয়েছিলাম, যেখানে সবার জবাবদিহিতা থাকবে। কেন জিনিসপত্রের দাম কমছে না? কেন প্রতিদিনের লাগা আগুন বন্ধ করতে পারছে না? কেন ভেজাল বন্ধ করতে পারছে না? কারণ হচ্ছে, কোথাও জাবাবদিহিতা নেই।

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত চলবে আন্দোলন ॥ গয়েশ্বর

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত চলবে আন্দোলন ॥ গয়েশ্বর

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। মঙ্গলবার সকালে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকায় ফিরে শেরেবাংলানগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। এর আগে সাভার স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি হয়নি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, আমরা সন্তানহারা মায়ের কান্না থামাতে পেরেছিলাম। আমরা স্বামীহারা, বোনহারা স্বজনহারাদের ব্যথা একটি পর্যায় কাটিয়ে দেশের দিকে তাকিয়ে এই স্বাধীনতার কথা চিন্তা করে দুঃখ-কষ্ট যন্ত্রণা আমরা সেদিন নিরসন করতে না পারলেও এই স্বাধীনতায় অত্যন্ত আপ্লুত ছিলাম এবং আমাদের মধ্যে স্বাধীনতা অর্জনের আনন্দ ছিল। ক্রমান্বয়ে আজকে ৫৩ বছর পর আমরা কী দেখছি? আমরা দেখছি, যে কারণে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি, সেই কারণটি এখনো বলবৎ। গয়েশ্বর বলেন, এখনো দেশে গণতন্ত্র নেই, মানুষের মৌলিক অধিকার নেই, মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি এবং এখনো মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। লুণ্ঠনের মধ্য দিয়ে জাতীয় অর্থনীতি অর্থাৎ অর্থনীতির কোষাগার আজকে খালি হয়ে গেছে। আকাশচুম্বি জিনিসপত্রের দামে আজকে মানুষ দিশেহারা। আজকে এই প্রাঙ্গণ থেকে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে, আমাদের কাক্সিক্ষত গণতন্ত্র অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে, লড়াই চলতে থাকবে।

শ্রীপুরে বেতন দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

শ্রীপুরে বেতন দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

শ্রীপুরের জৈনা বাজার এলাকায় বেতন বৃদ্ধি ও ঈদে পূর্ণ বোনাসের দাবি জানিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের দু’পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় জৈনা বাজার এলাকায় গুলশান স্পিনিং মিলস্ লিমিটেড নামের কারখানার শ্রমিকরা এ অবরোধ ও বিক্ষোভ করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজিত শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তখন পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে উত্তেজিত শ্রমিকদের সরিয়ে দিলে বেলা পৌনে ৪টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।  আন্দোলনরত হাসিনা,সাদিয়া ও রিপা রানি দাস জানান, তারা দীর্ঘদিন যাবত জৈনা বাজার এলাকায় গুলশান স্পিনিং মিলে চাকরি করে আসছেন।

ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় চিরনিদ্রায় শায়িত নাজমা রহিম

ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় চিরনিদ্রায় শায়িত নাজমা রহিম

অগণিত ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রতœগর্ভা মা নাজমা রহিম। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সংবিধান প্রণেতা, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত, সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এম আব্দুর রহিমের সহধর্মিণী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপির রতœগর্ভা মা নাজমা রহিমের জানাজা এবং দাফন বৃহস্পতিবার সম্পন্ন হয়।  দিনাজপুর গোর এ শহীদ বড় ময়দানের এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মাঠে সকাল ১১টায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমার বড় ছেলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। তৃতীয় জানাজা বাদ জোহর দুপুর ২টায় মরহুমার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার শংকরপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামে পাঁচকুড় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্তানে দাফন কাজ সম্পন্ন হয়।

IFIC
IFIC
দেশের অর্থনীতিতে নীরব ডিজিটাল বিপ্লব ঘটেছে ॥ আতিউর রহমান

দেশের অর্থনীতিতে নীরব ডিজিটাল বিপ্লব ঘটেছে ॥ আতিউর রহমান

বাংলাদেশের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ও বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক আতিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক নীরব ডিজিটাল বিপ্লব ঘটে গেছে। বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে একজন রিক্সাচালক থেকে শুরু করে ভিক্ষুকরাও ব্যাংকে হিসাব খুলে লেনদেন করতে পারছেন। সহজেই সকল মানুষ ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহণ করতে পারছেন। বাংলাদেশে এখন প্রায় ১২ লাখ তরুণ ফ্রিল্যান্সিংয়ের সঙ্গে যুক্ত থেকে বিদেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে আয় করছেন। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকার ফলেই এসকল কিছু সম্ভব হচ্ছে।  বৃহস্পতিবার রাজশাহীর নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী  ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।  আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এক সময় কুড়ে ঘরে বসবাস করত, খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা-চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল। কিন্তু এখন মানুষ বড় বড় অট্টালিকা নির্মাণ করছেন, রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। দেশের মানুষের মাথা পিছু আয় বেড়েছে। দেশে এখন অর্থনীতিক বিপ্লব ঘটেছে।  দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কাঁচামাল, তেলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি ব্যয় বেড়েছে।  সেই তুলনায় রপ্তানি বাড়েনি। যার ফলে বেশি দামে পণ্য আমদানি করায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে দেশে অর্থনৈতিক স্থিতিশীল পরিস্থিতি বজায় রাখতে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার কমানো, অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ ও নিয়মিত কর প্রদানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধি করা সম্ভব বলে মনে করেন খ্যাতিমান এই অর্থনীতিবিদ।  নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সংগঠক, নারীনেত্রী অধ্যাপক রাশেদা খালেকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য এবং বর্তমান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. আবদুল খালেক, উপাচার্য প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র দাস। ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের প্রধান হাসান ঈমাম সুইটের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর মো. আনসার উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, আইকিউএসির পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।