ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

waltonbd
waltonbd
Sopno
Sopno
বিএনপি ক্ষমতায় আসে নিতে, আওয়ামী লীগ দিতে

বিএনপি ক্ষমতায় আসে নিতে, আওয়ামী লীগ দিতে

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে দেশের জনগণকে কিছু দেওয়ার জন্য, আর বিএনপি আসে শুধুই নিতে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে দেশের মানুষকে সব সময় কিছু দেয়। আর বিএনপি শুধু নেয়। আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের পাশে থাকে এবং তাদের কল্যাণে কাজ করে।  বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় নেতা-কর্মী, বিভিন্ন পেশাজীবী, বিচারক, বিদেশী কূটনীতিক এবং পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরে রবিবার বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ভিডিওবার্তায় দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী। পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী তাঁর দলকে ভোট দিয়ে বারবার ক্ষমতায় আনার জন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। একইসঙ্গে তাঁর নির্দেশে রমজান মাসে ইফতার পার্টি না করে জনগণের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করায় দলীয় নেতাকর্মীদেরও প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে বিএনপি এক হাজার ইফতার পার্টি করেছে এবং খাবার খেয়েছে আর আওয়ামী লীগ জনগণের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেছে। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, দেশের মানুষকে সব সময় কিছু দেয়। দেশের মানুষের কল্যাণ করে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকেও দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, যারা আজ গণভবনে এসেছেন, তাদের জন্য সীমাহীন আনন্দ। ঈদ সবার জীবনে বয়ে আনুক আনন্দ। তিনি এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পথ অনুসরণ করে দেশবাসীর জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এ সময় জাতির পিতার কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।  দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ॥ রবিবার শুভ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা বার্তায় (ভিডিও) দেশবাসীকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসুন, নতুন বছরে অতীতের সকল ব্যর্থতা-দুঃখ-গ্লানি পেছনে ফেলে সুন্দর ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একযোগে কাজ করি। ভিডিও শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে উদ্দেশ করে বলেন, বর্ষ পরিক্রমায় আবারও আমাদের মাঝে ফিরে এসেছে নতুন বছর। আপনারা যারা দেশ-বিদেশে অবস্থান করছেন বাংরাদেশের সকল ভাইবোনকে জানাই বঙ্গাব্দ ১৪৩১-এর শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ।  টানা চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কবি সুফিয়া কামালের ভাষায় উচ্চারণ করে বলেন- ‘পুরাতন গত হোক। যবনিকা করি উন্মোচন করি এসো হে নবীন/ হে বৈশাখ। নববর্ষ। এসো হে নতুন।’ শুভ নববর্ষ।  শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের ঈদের উপহার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের ঈদ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর গজনবী রোডে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্র (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) এ বসবাসরত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফলমূল ও মিষ্টি পাঠিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-২ গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, উপ প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার, সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার এবং এসাইনমেন্ট অফিসার মুহাম্মদ আরিফুজ্জামান নূরনবী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফল ও মিষ্টি পৌঁছে দেন। যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা এ সময় প্রতিটি রাষ্ট্রীয় দিবস ও উৎসবে যেমন স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, পবিত্র ঈদ এবং বাংলা নববর্ষের দিনে তাঁদের স্মরণ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।  তাঁরা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনাই দেশকে সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো সরকার সাধারণ মানুষ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য চিন্তা করেনি। তাঁরা বলেন, একমাত্র শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হতে পারে। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি

জেলে থাকা নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি

বিএনপি জেলে থাকা তাদের নেতাকর্মীর সংখ্যা নিয়ে মিথ্যাচার করছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ছিল ২০ হাজার এখন সেটা ৬০ লাখ হলো কী করে? বিএনপি মহাসচিবকে এ বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে এই ৬০ লাখ বন্দির তালিকা প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, তালিকা প্রকাশ করুন, না হয় মিথ্যাচারের জন্য জাতির কাছে মির্জা ফখরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে। সোমবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপিকে উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ দিবস। সেই দিনটিকে তারা অস্বীকার করে। ১০ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার গঠন হয়, সেটা অস্বীকার করে। স্বাধিকার আন্দোলনের মাইলফলক ৭ জুন অস্বীকার করে বিএনপি।

IFIC
IFIC
সিডনিতে পহেলা বৈশাখে দেবীপক্ষ আয়োজিত বাঙালির ভুড়িভোজ 

সিডনিতে পহেলা বৈশাখে দেবীপক্ষ আয়োজিত বাঙালির ভুড়িভোজ 

পহেলা বৈশাখে সিডনির মিন্টোস্থ রনমোর কমিউনিটি সেন্টারে ‘বাঙালির ভুড়িভোজ’ এর আয়োজন করা হয়। রবিবার (১৪ এপ্রিল) দেবীপক্ষের কর্নধার জুঁই সেন পাল ও তার টীমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই আয়োজন সম্পন্ন হয়।    বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার খাবার পরিবেশনে আগত অতিথিদের আপ্যায়ন করাই ছিল বাঙালির ভুড়িভোজ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য। ভুড়িভোজে প্রায় ৬৪টি জেলার অধিবাসীরা তাদের নিজ নিজ অঞ্চলের উপাদেয় খাবার নিয়ে আসার পাশাপাশি অন্য অঞ্চলের খাবারের স্বাদ গ্রহণ করার সুযোগ পায়। অপরিচিতদের সাথে বন্ধু হয়ে ওঠা ও নিজস্ব গল্প ভাগ করে নেয়ার সুযোগও তৈরি করে। কানিতাজ ইভেন্ট সল্যূশনস্ এর সাজসজ্জায় ছিল গ্রামীণ আদলে বানানো ফটোবুথ, তালগাছ, বাবুই পাখির বাসা, বাছুর,খড়ের গাদা, কুঁড়েঘর, ঢেঁকি, কুয়া, নদী, ঘাটে বাঁধানো নৌকো, মাটির পাত্র, মেঠো পথ। সঙ্গে ছিল ৩৬০ ডিগ্রী ক্যামেরায় ছবি তোলা ও ভিডিও করার সুযোগ।বিকেল ৫টায় জুঁই সেন পালের পরিচালনায় মঙ্গল শোভাযাত্রার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতে ছোট্ট শিশু ফ্লোরা সেন পাল কান্ট্রি অফ একনলেজমেন্ট পাঠ এবং অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে। মঞ্জুশ্রী মিতা ও শাহরীন রলির উপস্থাপনায় সমবেত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গেয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ে হয়। ছোট্ট শিশু শিল্পীদের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন গামা আব্দুল কাদির, মো. শফিকুল আলম ও পূরবী পারমিতা বোস।গান পরিবেশন করে প্রিতিশা, সুবর্ণা তালুকদার, মারিয়া মুন। নৃত্য পরিবেশনায় ছিল আনিশা, আদ্রিতা, কলাংক ড্যান্স একাডেমি, শ্রেয়সীদাস ও নটরাজ ড্যান্স একাডেমি। বাংলা গানের সঙ্গে বিশেষ নাচে অংশগ্রহণ করে চারজন অস্ট্রেলিয়ান কিশোরী অন্বেষা, ইন্দিরা, এলা ও সামান্তা। রম্য নাটকে অংশ নেয় পলি ফরহাদ ও ফাইজুল আজিম চঞ্চল। ছিল শিশুদের ও বড়দের দুটো মনোমুগ্ধকর ফ্যাশন শো।ছোটদের ফ্যাশন শো’তে অংশ নেয় রাইমা রায়, অর্থদত্ত, আনিশা হালদার, প্রীতিশা হালদার, আয়ুশ সাহা, ফ্লোরাপাল, সম্প্রীতি বড়ুয়া চিত্রা এবং আরিশ দেব। বড়দের মধ্যে অংশ নেয় জুঁই সেন পাল, অন্তরা ঐতী, মুনিরা সাথী, অরুনিমা কুন্ডু, সঞ্চিতা বিশ্বাস এবং শুভ্রা শিকদার।