ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় অধ্যাপক ড. সুফিয়া আহমেদ আর নেই

প্রকাশিত: ১০:৪২, ১১ এপ্রিল ২০২০

   জাতীয় অধ্যাপক ড. সুফিয়া আহমেদ আর নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলে গেলেন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সংগ্রামী এবং দেশের প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক ড. সুফিয়া আহমেদ। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লহি... রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। এই ভাষা সংগ্রামী রেখে গেছেন এক ছেলে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, এক মেয়ে ডাঃ রাইনা আহমেদ, জামাতা ব্যারিস্টার আনাতুল ফাতেহ ও তিনজন নাতি-নাতনি। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১৫ মার্চ ড. সুফিয়া আহমেদকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার তিনি হার্ট এ্যাটাকে মারা যান। অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, ব্যারিস্টার সৈয়দ ইসতিয়াক আহমেদের স্ত্রী এবং বিচারপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিমের কন্যা। সুফিয়া আহমেদ ১৯৩২ সালের ২০ নবেম্বর ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুহম্মদ ইব্রাহিম ছিলেন একজন বিচারপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং মাতা লুৎফুন্নেসা ইবরাহিম। ১৯৪৮ সালে প্রাইভেটে মেট্রিকুলেশন পাস করেন এবং পরে বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। ১৯৫০ সালে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে তিনি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে পড়াশুনা করেন। তিনি ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়াারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সান্ধ্য আইনের বিরুদ্ধে মিছিলকারী নারীদের মধ্যে একজন ছিলেন। তিনি ১৯৬০ সালে লন্ডন থেকে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬১ সালে লন্ডন থেকে পিএইচডি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার নিজের বিভাগ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮৩ সালে অধ্যাপক হন। দেশের বাইরেও তিনি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদান করেছেন। তিনি ইস্তানবুলের বসফরাস বিশ্ববিদ্যালয় এবং উইজকনসিনের মিলোউকির আলভার্নো কলেজের আমন্ত্রিত অধ্যাপক ছিলেন। সুফিয়া আহমেদ বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরের সদস্য হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
×