ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

অকারণে ঘোরাফেরা নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত

প্রকাশিত: ১০:০৪, ১১ এপ্রিল ২০২০

  অকারণে ঘোরাফেরা নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালত

গাফফার খান চৌধুরী ॥ শুক্রবার থেকেই সন্ধ্যা ছয়টার পর জরুরী সেবাদানকারী ব্যক্তি ছাড়া সবাইকে ঘরের বাইরে না থাকতে নির্দেশনা জারি করল সরকার। এর আগের দিন বৃহস্পতিবার থেকেই ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। দেশ ও জাতির স্বার্থে বিনা প্রয়োজনে বাইরে থাকা ব্যক্তিদের ঘরে রাখতেই শেষ পর্যন্ত এমন কঠোর অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে থাকা ব্যক্তিদের সার্বিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাস্তায় গিয়ে সরকারের সহায়তা নিতে লজ্জাবোধ করা ব্যক্তিদের ফোন পেয়ে তাদের বাসায় বাসায় খাবার ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে পুলিশ। সরকারের ঘোষিত ছুটি পর্যন্ত এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। শুক্রবার চলমান সাধারণ ছুটি ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রজ্ঞাপনে সন্ধ্যা ছয়টার পর বিনা প্রয়োজনে কাউকে ঘরের বাইরে না থাকতে নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। অতীব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। যারা এমন নির্দেশনা অমান্য করবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমনকি এক এলাকা থেকে বিনা প্রয়োজনে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে সীমিত করা হলো। এমন নির্দেশনা গ্রাম পর্যন্ত কার্যকর হবে। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অপ্রয়োজনে বাইরে থাকা মানুষকে ঘরে ফেরাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালু করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। এমন ভ্রাম্যমাণ আদালত রাজধানীজুড়েই চালু রাখা হবে। সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে অকারণে ঘোরাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতেই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীজুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে ডিএমপির একটি দল। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে ঢাকার ওয়ারী বিভাগের যাত্রাবাড়ী থানার এক ব্যক্তির মোটরসাইকেলের কাগজপত্র না থাকায় তাকে ৫শ’ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অহেতুক রাস্তায় ঘোরাফেরার কারণে লালবাগ বিভাগের কোতোয়ালি থানাধীন এলাকার ১২ জনকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা, চকবাজার থানাধীন এলাকার ১৬ জনকে ৫ হাজার ২শ’ টাকা, সূত্রাপুর থানার ২ জনকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া মিরপুর বিভাগের মিরপুর মডেল থানা এলাকায় এক ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মোটরসাইকেলের কাগজ না থাকার জন্য ৬ হাজার টাকা ও শাহ আলী থানা এলাকায় একটি মুরগির দোকানিকে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে অহেতুক ভিড় জমিয়ে দোকান পরিচালনার জন্য এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গুলশান বিভাগের ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকায় এক দোকানদারকে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে মালামাল বিক্রয়ের দায়ে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া অন্য থানা এলাকায় মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়। এসব বিষয়ে জানাতে পুলিশের তরফ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এর আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে রাজধানীর কাঁচাবাজার ও সুপার শপসহ সব ধরনের দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ। শুধু ঢাকাতেই নয়, বস্তুত সারাদেশেই এমন অলিখিত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। ফলে সারাদেশেই এমন অঘোষিত লকডাউন চলছে। বিশেষ লকডাউন চলছে দেশের সব জেলা শহর, মেট্রোপলিটন শহর ও বিভাগীয় শহরে। পাড়া মহল্লার মুদি দোকানগুলো খোলা থাকবে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এমন নির্দেশনা সারাদেশেই বলবত রাখতে অঘোষিত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তরফ থেকে। তবে ওষুধের দোকান, সংবাদপত্র, হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জরুরী সেবাদানের সঙ্গে জড়িতরা এমন নির্দেশনার বাইরে থাকবে। ইতোমধ্যেই পুলিশের তরফ থেকে মাইকিং করে এমন ঘোষণা প্রচার করা হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এমন নির্দেশনা বলবত থাকবে। এদিকে ঢাকায় প্রবেশ ও ঢাকা থেকে বের হওয়া ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সশস্ত্রবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকার প্রতিটি প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জরুরী সেবাদানকারী যানবাহন ব্যতীত সব ধরনের যানবাহনের চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এদিকে ঢাকায় অন্য দিনের মতো জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলামের তরফ থেকে ডিএমপির সব ইউনিটকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান। তিনি জানান, সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে ঢাকার সব সুপার শপ ও কাঁচা বাজার বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এমন নির্দেশনা এসেছে ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলামের কার্যালয় থেকে। ইতোমধ্যেই ডিএমপির সব বিভাগকে এমন নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে জানানো হয়েছে। পুলিশ কমিশনার কর্তৃক নির্দেশনা পাওয়ার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তারা সুপার শপগুলোতে গিয়ে বিষয়টি জানিয়ে এসেছেন। এমনকি মাইকিং করা হচ্ছে। আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এমন নির্দেশনা বলবত থাকবে। কাঁচাবাজারগুলো ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চালু রাখা যাবে। আর পাড়া মহল্লার মুদি দোকানগুলো খোলা থাকবে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত। চালু থাকবে শুধু ওষুধের দোকান। ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মোঃ সাজ্জাদুর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, ইতোমধ্যেই তারা নির্দেশনা পেয়েছেন। নির্দেশনা মোতাবেক সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে সব সুপার শপ ও কাঁচাবাজার খোলা থাকবে। সন্ধ্যা সাতটার পর যাতে কোন সুপার শপ ও কাঁচাবাজার খোলা না থাকে এজন্য নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিষয়টি মাইকিং করে জানানো হচ্ছে। পাড়া মহল্লার মুদি দোকান ভোর ছয়টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মোঃ সোহেল রানা জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঢাকা থেকে কেউ বাইরে যাবেন না এবং ঢাকাতে কেউ প্রবেশ করবেন না। সরকারের ঘোষিত নিয়ম মেনে চলুন। এছাড়া করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ফাঁকা হয়ে পড়া রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চুরি ও ডাকাতির ঘটনারোধে পুলিশের তরফ থেকে টহল বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতার কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারের ঘোষিত সাধারণ ছুটির দিন থেকেই রাজধানী ফাঁকা হয়ে পড়ছে। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে। ঢাকার রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে। ঢাকার প্রতিটি বড় রাস্তায় রাস্তায় এমনকি অলিগলিতেও পুলিশের চেকপোস্টও দেখা গেছে। রাস্তায় সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের টহল ছাড়াও সচেতনতামূলক কর্মকা-ের অংশ হিসেবে মাইকিং করতে দেখা গেছে। পুলিশের পিকআপ গাড়িগুলোর সামনে বড় বড় মাইক লাগানো হয়েছে। মাইক দিয়ে নগরবাসীকে নিরাপদে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে পরিচয়পত্র, মুখে মাস্ক, হ্যান্ডগ্ল্যাভস ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। এছাড়া চলাচলের সময় সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ একজন ব্যক্তি থেকে আরেকজন ব্যক্তির মধ্যে কমপক্ষে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে মাইকিং করা হচ্ছে। বিনা কারণে বাইরে থাকা মানুষদের ঘরে ফেরাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকার প্রতিটি প্রবেশ পথ বিশেষ করে আমিনবাজার ব্রিজ, গাবতলী, গাবতলী বাস টার্মিনাল, গাবতলীর পর্বতা সিনেমা হলের ঢালে, আব্দুল্লাহপুর তিন রাস্তার মোড়ে, টঙ্গী ব্রিজের ঢালে, সায়েদাবাদ, তুরাগ থানাধীন দৌড় এলাকায়, মিরপুর মাজার রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এসব জায়গায় বসানো চেকপোস্টগুলোতেও পুলিশের তরফ থেকে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে করণীয় সম্পর্কে মাইকিং করা হচ্ছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলামের নির্দেশনার বরাত দিয়ে জনকণ্ঠকে জানান, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বিনা প্রয়োজনে কাউকে ঘরের বাইরে থাকতে দেয়া হবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রয়োজনে আরও কঠোর হতে যাচ্ছে পুলিশ। তবে এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পুলিশকে অত্যন্ত ধৈর্য ধারণ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে এবং মানুষজনকে সামলাতে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতেও বলা হয়েছে। তল্লাশির নামে অহেতুক কাউকে হয়রানি না করতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জরুরী সেবাদানের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও যানবাহনের বিষয়ে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে পুলিশ সদস্যদের। বিনা কারণে কাউকে হয়রানি করলে ওইসব পুলিশ সদস্যের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। চেকিংকালে পুলিশকে মানুষের সঙ্গে অত্যন্ত বিনয়ী আচরণ করতেও বলা হয়েছে। এদিকে অন্য দিনের মতো শুক্রবারও ঢাকার ৫০টি থানা এলাকায় আড়াইহাজার ছিন্নমূল মানুষকে একবেলা খাবার দেয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের তরফ থেকে। এছাড়া ঢাকার যেসব বাসিন্দা রাস্তায় দাঁড়িয়ে সরকারের সহায়তা নিতে লজ্জাবোধ করছেন, তাদের ঠিকানা জোগাড় করে তাদের বাড়িতে খাবারসহ অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে পুলিশের তরফ থেকে। অন্য দিনের মতো ঢাকায় ডিএমপির তরফ থেকে দুই বেলা জীবাণুনাশক ছিটানো অব্যাহত আছে। পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা ওয়াসা, সশস্ত্রবাহিনীও জীবাণুনাশক ছিটানো অব্যাহত রেখেছে। ঘনবসতিপূর্ণ বস্তি ও উর্দুভাষী অবাঙালীদের বিহারী ক্যাম্পগুলোতে অধিক হারে জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে। এসব এলাকার ভেতরে নিয়মিত পরিষ্কার করার কাজ চলছে। এছাড়া ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তরফ থেকেও মধ্যবিত্তদের বাসায় যারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে সহায়তা নিতে লজ্জাবোধ করেন, তাদের বাসায় খাবারসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া এ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক মোঃ সোহেল রানা জনকণ্ঠকে বলেন, দেশবাসীকে ঘরে থাকতে যা যা করণীয় সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক তাই করা হচ্ছে। এমন নির্দেশনা সারাদেশেই কার্যকর থাকবে। বিনা প্রয়োজনে কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। যারা বের হচ্ছেন তাদের ঘরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিনা প্রয়োজনে কাউকেই ঘরের বাইরে থাকতে দেয়া হবে না। দেশে ও দেশবাসীর স্বার্থেই এমন কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যানবাহন চলাচলও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনে কঠোর হতেও বলা হয়েছে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে।
×