ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেশে করোনা সংক্রমণ চতুর্থ ধাপের দ্বারপ্রান্তে

প্রকাশিত: ১০:০০, ১১ এপ্রিল ২০২০

 দেশে করোনা সংক্রমণ চতুর্থ ধাপের দ্বারপ্রান্তে

নিখিল মানখিন ॥ দেশে করোনা সংক্রমণ চতুর্থ ধাপের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের চতুর্থ ধাপটি হলো ‘মহামারী’। এই ধাপে অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হয়। বাহক ও আক্রান্তের নির্দিষ্ট হিসাব রাখা সম্ভব হয়ে উঠে না। করোনা সংক্রমণের তৃতীয় পর্যায় ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’ এর ধরণ গুচ্ছ আকার অতিক্রম করে বিচ্ছিন্ন এলাকায় বিস্তার লাভ করেছে, মহামারী ধাপের পূর্ব মুহূর্ত। কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের শেষ পর্যায়ে এসে দৈনিক করোনা টেস্ট করার সক্ষমতা বর্তমান অবস্থার চেয়ে অনেকগুণ বাড়ানো না হলে দেশের করোনা পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র পাওয়া যাবে না। পূর্ণাঙ্গ চিত্র পাওয়া না গেলে করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমও সঠিকপথে পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি করবে, যা সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। গত তিন মাসে মাত্র ৭ হাজার ৩৫১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। অথচ এখন হটলাইনগুলোতে করোনা সংক্রান্ত দৈনিক কলের সংখ্যা অনেক আগেই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। শুক্রবারও হট লাইনগুলোতে এসেছে ১ লাখ ১২ হাজার ৬৫৩টি করোনা সংক্রান্ত কল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ বর্তমানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় স্তরে অবস্থান করছে। এই স্তরে রোগ কোনও সম্প্রদায়গত ভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং বৃহত্তর অঞ্চলের মানুষ সংক্রামিত হয়। সম্প্রদায়ের সংক্রমণ তখনই হয় যখন কোনও রোগী কোন সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসা সত্ত্বেও বা আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে কোন একটি দেশে সফর না করা সত্ত্বেও তার শরীরে ওই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে। এই পর্যায়ে, সংক্রামিতদের শরীরে কোথা থেকে এই ভাইরাস এসেছে তা শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। আর চতুর্থ পর্যায় যখন মহামারী। এটি সবচেয়ে খারাপ পর্যায়, যখন এই রোগটি কোনও স্পষ্ট কারণ ছাড়াই মহামারীর আকার ধারণ করে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোন দেশই প্রথম এবং দ্বিতীয় স্তরে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসকে আটকে রাখতে পারেনি। তবে যেসব দেশ সফল হয়ছে, তারা মূলত তৃতীয় স্তর থেকে চতুর্থ স্তরে যাওয়ার পথ বন্ধ রাখতে পেরেছে। দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ানসহ বেশ কয়েকটি দেশ সফল হয়েছে শুধু ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে পরীক্ষার আওতায় এনে। তারা দ্রুত আক্রান্ত ব্যক্তিকে পরীক্ষার মাধ্যমে চিহ্নিত করেছে, তাদের আইসোলেট করেছে, লক্ষণ প্রকাশের পর থেকে ল্যাবরেটরি টেস্টে পজিটিভ রেজাল্ট আসার আগ পর্যন্ত ওই রোগীর সংস্পর্শে যতজন এসেছে, তাদের সবাইকে খুঁজে বের করে তালিকা করেছে। কমপক্ষে ১৪ দিন কঠোরভাবে মনিটরিং করেছে। যে প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় কন্টাক্ট ট্রেসিং। কিন্তু কন্টাক্ট ট্রেসিং এবং নমুনা পরীক্ষার ব্যাপকতার দিক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মীলজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জনকণ্ঠকে জানান, খন সংক্রমণ পরিস্থিতির ক্রান্তিকাল। দেশ সংক্রমণের তৃতীয় স্তর থেকে চতুর্থ স্তরের দিকে যাচ্ছে, এটা বলা যায়। ভয়াবহ পরিস্থিতির বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। সরকার নির্দেশিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে। ঘরে অবস্থান করতেই হবে। নিজেকে, নিজের পরিবারকে এবং দেশবাসীকে বাঁচাতে হলে তা করতেই হবে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের বিস্তার থামাতে না পারলে সামনের দিনগুলোতে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালর ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ সাইফ উল্লাহ মুন্সী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণের চতুর্থ ধাপের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। সংক্রমণের বর্তমান অবস্থাকে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের ক্লাস্টার বলে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা ঠিক হবে না। সংক্রমণের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন অনেক আগেই শুরু হয়ে ক্লাস্টার অতিক্রম করে ব্যাপকভাবে বিস্তার লাভ করেছে। ইউরোপের করোনা আক্রান্ত প্রতিটি দেশে শত শত নমুনা টেস্ট সেন্টার স্থাপিত হয়েছে। ইউরোপের কথা বলতে হবে না, দক্ষিণ কোরিয়াতেই রয়েছে প্রায় ৬শ’টি নমুনা টেস্ট ল্যাবরেটরি। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ন্যূনতম ৫০ হাজার নমুনা টেস্ট করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করতে পারলে দেশের করোনা পরিস্থিতির আরও পূর্ণাঙ্গ চিত্র বেরিয়ে আসবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, দেরিতে হলেও সরকার প্রস্তুতি নিয়েছে। সরকারেরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এ ক্ষেত্রে জনগণের উচিত পালিয়ে না বেড়িয়ে সরকারকে সহযোগিতা করা। তারা যদি নিজ উদ্যোগে এসে পরীক্ষা করায়, ঠিকমতো কোয়ারেন্টাইন পালন করে তাহলে দেশকে সহযোগিতা করা হবে। করোনা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আইইডিসিআর’র সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোস্তাক হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, এখন পর্যন্ত গুচ্ছ আকারে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় পর্যায় কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের ঘটনা ঘটছে। কমিউিনিটি ট্রান্সমিশনের ব্যাপকতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে শত উদ্যোগ নিয়েও করোনার মহামারী থেকে রেহাই পাবে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মতো বর্তমান পরিস্থিতিতে পড়েও করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সফলতার মুখ দেখেছে বিশে^র অনেক দেশ। তবে আমাদের হাতে রয়েছে খুবই কম সময়। তিনি আরও বলেন, মানুষের আচরণে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশবাসীর বিদ্যমান ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ বন্ধ না হলে সামনে করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ মুহূর্ত অপেক্ষা করছে। ড. মোস্তাক হোসেন অভিযোগ করেন, করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও এলাকাবাসীর সহযোগিতা মিলছে না। করোনা টেস্ট করালেই কেউ করোনা রোগী হয়ে যায় না। লকডাউনের ভয় পেয়ে অনেক এলাকায় করোনার পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহে বাধা দেয়া হচ্ছে। ফলে নমুনা পরীক্ষার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নমুনা সংগ্রহ করতে দেখলেই সেই বাড়ি বা এলাকা লকডাউন করে দেয়া ঠিক হবে না। এতে আতঙ্কিত হয়ে নমুনা সংগ্রহে বাঁধা দিয়ে থাকে এলাকাবাসী। আইইডিসিআর’র চূড়ান্ত রিপোর্টে পজিটিভ এলেই লকডাউনের বিষয়টি ভাবা উচিত। সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ জাহিদুর রহমান বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশে সংস্পর্শে আসা সবাইকে পরীক্ষার আওতায় আনা হয়নি। আইইডিসিআর এ কাজটি করতে পারেনি। পরীক্ষা তো পরের কথা, তারা কন্টাক্ট ট্রেসিংয়ের কাজটাই একেবারে দায়সারা গোছের করেছেন। এমনকি লক্ষণ প্রকাশের পরও তারা সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদের পরীক্ষা করতে গড়িমসি করেছেন। তারা রোগীর গোপনীয়তা নিশ্চিতের নামে সব তথ্যই চেপে যাচ্ছেন। অথচ অন্য দেশগুলো কতটা দক্ষতার সঙ্গে রোগীর পরিচয় গোপন রেখেই প্রতিদিন প্রতিটি কেসের কন্টাক্ট ট্রেসিং উন্মুক্ত করে দিচ্ছে। বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, দেশে সামনে কঠিন সময় আসছে। এখনই পুরো দেশে লকডাউন করা জরুরী। এখনই পুরো দেশ লকডাউন না করা হলে এই ভাইরাস আগামী ১০ দিনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। নমুনা পরীক্ষার পরিধি আরও বাড়াতে হবে ॥ দেশের করোনা পরিস্থিতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র জানার জন্য করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এখন অনির্দিষ্ট হয়ে গেছে করোনার বাহক। করোনার উপসর্গ জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকলেও অনেকের নমুনা পরীক্ষার আওতায় আনা দরকার। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য সরকার পরীক্ষাগার বৃদ্ধি করা করেছে। এটা নিঃসন্দেহে ভাল একটি উদ্যোগ। এখন আমাদের যে কাজটা সবচেয়ে বেশি জরুরী সেটা হলো কোন অঞ্চল থেকে ফোন কল বেশি আসছে সেখানে অনুসন্ধান ও জরিপ চালিয়ে দেখতে হবে যে, রোগটা সমাজে ঠিক কতটা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রয়োজনে সেখানে লকডাউন জারি করতে হবে। এছাড়াও ভাইরাসটি কমিউনিটি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। ভাইরাসটি সমাজে একবার ছড়িয়ে পড়লে আমাদের ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে। ব্যাপক প্রাণহানিও ঘটতে পারে। সরকারের উদ্যোগের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সচেতন ভূমিকা পালন করা জরুরী। কিন্তু সেটা বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, করোনার পরীক্ষা অবশ্যই বাড়াতে হবে। নিউমোনিয়ার রোগীদের পরীক্ষা করতে হবে। করোনা সন্দেহ দেখা দেয়া প্রত্যেকের পরীক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পরীক্ষা করা গেলেই রোগটি ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে, সেটা জানা যাবে এবং নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়া যাবে। আর তা না হলে এক সময় ব্যাপক হারে রোগটি ছড়িয়ে পড়বে। তখন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়বে বলে মনে করেন অধ্যাপক ডাঃ নজরুল ইসলাম। এদিকে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে স্থাপিত নতুন ল্যাবরেটরিগুলোর সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ছে না। দেশে বর্তমানে ১৭টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু দৈনিক হাজার খানেক নমুনা পরীক্ষা করে সারাদেশের করোনা পরিস্থিতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র জানা যাবে না। পুরো মার্চে পরীক্ষা করা নমুনার সংখ্যা ছিল দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০টি। এপ্রিলে এসে কয়েকগুণ বেড়েছে, তবে পর্যাপ্ত নয়। ৮ এপ্রিল পরীক্ষা করা হয়েছে মোট ১১৮৪টি নমুনা। এদিন ঢাকায় আইইডিসিআর ল্যাবে ১৯৬টি, আইপিএইচ ৬৮টি, আইসিডিডিআর’বি ল্যাবে ৭৮টি, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ২৩টি, বিএসএমএমইউ ল্যাবে ৪২টি, আইদেশী ল্যাবে ৬৯ািট, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ২৬টি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন ল্যাবে ৮৪টি, আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজিতে ১১৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। অর্থাৎ ঢাকার ভেতরে মোট ৭০১টি নমুনার পরীক্ষা করা হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকস এ্যান্ড ইনফরমেশন ডিজিজেস ল্যাবে ১০৪টি, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ৯৪টি, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে ৯৩টি, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজে ২৭টি, রংপুরে মেডিক্যাল কলেজে ৮৯টি, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে ৩৫টি, খুলনা মেডিক্যাল কলেজে ৩৯টি এবং শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজে ২টি করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এভাবে ঢাকার বাইরে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪৮৩টি নমুনার পরীক্ষা করা হয়েছে। এভাবে গত এক সপ্তাহে বিশেষ করে ৪ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ছিল হাজারের নিচে। ৪ এপ্রিল ৪৩৪টি, ৫ এপ্রিল ৩৬৭টি, ৬ এপ্রিল ৪৬৮টি, ৭ এপ্রিল ৬৭৯টি, ৮ এপ্রিল ৯৮১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গত তিন মাসে মাত্র ৭৩৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
×