ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মেঘনায় নিধন হচ্ছে লাখ লাখ পাঙ্গাসের পোনা

প্রকাশিত: ০২:৫৪, ১০ এপ্রিল ২০২০

মেঘনায় নিধন হচ্ছে লাখ লাখ পাঙ্গাসের পোনা

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর ॥ চাঁদপুরের মেঘনা ও পদ্মা নদীতে মার্চ-এপ্রিল দু’মাস জাটকাসহ সকল ধরণের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ। তারপরেও এক শ্রেনীর অসাধু জেলে পদ্মা-মেঘনা নদীর মোহনায় ‘চাই’ দিয়ে প্রতিদিন শত শত মণ পাঙ্গাস মাছের পোনা নিধন করছে। বছরের ঠিক এই সময়ে পাঙ্গাসের পোনাগুলো ২ থেকে আড়াই ইঞ্চি পর্যন্ত বড় আকারের হয়। আর এ সময় নিধন যজ্ঞে মেতে উঠে জেলেরা। শুক্রবার ভোর থেকেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা মৎস্য বিভাগ। সাড়ে ৬টার দিকে পদ্মা-মেঘনা নদীর মোহনায় রাজরাজেশ^র লগ্গী মারার চর এলাকায় ৫ জেলেকে আটক করেন। এ সময় তাদের সাথে থাকা নৌকা ও পাঙ্গাসের পোনা নিধন করার বড় আঁকারের ‘চাই’ (বুচনা) জব্দ করেন। আটক জেলেরা হলেন রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের ছাদ্দাম হোসেন (২৮), মো. জাফার হোসেন রাঢ়ী (২২), শফিকুর রহমান বেপারী (৩৮), রফিকুল ইসলাম (৪০), মো. শাকিল হোসেন গাজী (৩২)। অভিযানে সহযোগিতা করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুদিপ ভট্টাচার্য ও ক্ষেত্রসহকারী মো. নজরুল ইসলাম। চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, সংবাদ পেয়ে জেলেদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। চাঁদপুর সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাদী হয়ে আটক জেলেদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন। চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকি জানান, ২০১৯ সালেও এভাবে এক শ্রেনীর অসাধু জেলে পদ্মা-মেঘনা নদীতে লাখ লাখ পাঙ্গাসের পোনা নিধন করেছে। এবছর ঠিক একই সময় তারা পাঙ্গাস নিধনযজ্ঞে নেমেছে। এসব পাঙ্গাস বড় হলে ১০-১৫ কেজি ওজন পর্যন্ত হয়। মৎস্য সংরক্ষণ আইন অমান্য করে পাঙ্গাস নিধন করায় তাদেরকে আটক করা হয়। জব্দকৃত ‘চাই’ থেকে ২ মণ পাঙ্গাসের পোনা পাওয়া যায়। পাঙ্গাসের পোনাগুলো শহরের মোলহেড এলাকায় গরবীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জব্দকৃত নৌকা কোস্টগার্ডের হেফজাতে এবং চাই (বুচনা) টি ফিসারিজে নিয়ে রাখা হয়েছে। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে। এই ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
×