ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

৪৫ বছর পর মিরপুর থেকে গ্রেফতার ;###;ভারত থেকে এসেছিল স্ত্রীর বাড়িতে

খুনী মাজেদ ধরা পড়েছে ॥ বঙ্গবন্ধুর ঘাতক

প্রকাশিত: ১০:৩২, ৮ এপ্রিল ২০২০

খুনী মাজেদ ধরা পড়েছে ॥ বঙ্গবন্ধুর ঘাতক

শংকর কুমার দে/গাফফার খান চৌধুরী ॥ অবশেষে প্রায় ৪৫ বছর পর গ্রেফতার হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যায় সরাসরি অংশ নেয়া মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি বরখাস্তকৃত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যায় যারা সরাসরি অংশ নিয়েছিল তাদের মধ্যে ক্যাপ্টেন মাজেদ ছিল অন্যতম। এই খুনী শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনেই অংশ নেয়নি, ইতিহাসের জঘন্যতম জেলহত্যায়ও অংশ নিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে শেখ রাসেলকেও সরাসরি হত্যায় অংশ নেয়ার অভিযোগ আছে। খুনের পরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নির্দেশে মাজেদ বঙ্গভবনে এবং অন্যান্য জায়গায় কাজ করে। কড়া নিরাপত্তায় তাকে রাখা হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি হিসেবে তার সঙ্গে কাউকে দেখা সাক্ষাত করতে দেয়া হবে না। গ্রেফতারের পর তাকে আনা হয়েছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে। সেখানে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উর্ধতন কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ক্যাপ্টেন মাজেদের কাছে বঙ্গবন্ধুর পলাতক অন্য খুনীদের সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। পলাতক খুনীদের বিষয়ে কিছু তথ্য দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন। ক্যাপ্টেন মাজেদকে গ্রেফতার করা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর শ্রেষ্ঠ উপহার বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। খুনীকে আদালতের মাধ্যমে কড়া নিরাপত্তায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার দ- কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ে সরাসরি অংশ নেয়া অপর দুই আসামি কর্নেল (অব.) আব্দুর রশিদ ও রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন এখনও পলাতক। সোমবার গভীর রাতে ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের স্ত্রী সালেহা বেগমের ঢাকার মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ১০/এ নম্বরের বাড়ি থেকে ক্যাপ্টেন মাজেদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। গ্রেফতারের পর তাকে আনা হয় ঢাকার মিন্টো রোডের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে। সেখানে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার উর্ধতন কর্মকর্তা ছাড়াও পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ক্যাপ্টেন মাজেদ এতদিন কোথায় পলাতক ছিলেন প্রথমেই তা জানতে চাওয়া হয়। জবাবে বিভিন্ন দেশে পলাতক ছিল বলে জানায়। সর্বশেষ ভারতে আত্মগোপনে ছিল। দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এবং সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সে ছদ্মবেশে ঢাকায় প্রবেশ করে। ঢাকায় সে তার স্ত্রীর বাড়িতে ওঠে। ক্যাপ্টেন মাজেদের কাছে বঙ্গবন্ধুর পলাতক অন্য খুনীদের সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক অন্য খুনীদের সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। পলাতক অন্য খুনীদের সঙ্গেও তার মাঝে মধ্যে যোগাযোগ হতো। তবে নিয়মিত কোন যোগাযোগ ছিল না। বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ে তার ভূমিকা সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয়। মুজিববর্ষের উপহার ॥ মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি বরখাস্তকৃত ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদের গ্রেফতার দেশবাসীর জন্য মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার। দীর্ঘদিন ধরেই দণ্ডপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ডাদেশ কার্যকর করার অপেক্ষা করা হচ্ছিল। তাদেরই একজন আব্দুল মাজেদ শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে। মন্ত্রী জানান, ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের স্ত্রীর নাম সালেহা বেগম। মাজেদের স্ত্রী মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট আবাসিক এলাকার ১ নম্বর সড়কের ১০/এ নম্বর বাড়িতে থাকত। ক্যাপ্টেন মাজেদ সেখানেই গোপনে বসবাস করছিল। পুলিশের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঢাকার অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত ধানম-ির ৩২ নম্বর সড়কের বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সময় আবদুল মাজেদ, নূর চৌধুরী ও রিসালদার মুসলেহউদ্দিন সেখানে ছিল। আরও কয়েকজন ছিল। এই খুনী শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনে অংশগ্রহণ করেনি। জেলহত্যায়ও অংশ নিয়েছিল বলে তথ্য আছে। খুনের পর সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম জিয়াউর রহমানের নির্দেশ মোতাবেক আবদুল মাজেদ বঙ্গভবনে ও অন্যান্য জায়গায় কাজ করে। আশা করছি, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তার দণ্ডাদেশ কার্যকর করতে পারব। যারা আবদুল মাজেদকে গ্রেফতারে জড়িত ছিলেন তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মন্ত্রী বলেন, তৎকালীন জিয়াউর রহমান সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচারের বদলে তাদের নানাভাবে পুরস্কৃত করেছে। এমনকি ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে তাদের যাতে বিচার না হয় সেই ব্যবস্থাটি পাকাপোক্ত করেছে। জিয়ার আশীর্বাদে দেশ-বিদেশে চাকরি ॥ এই খুনী সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আশীর্বাদে দেশে এবং বিদেশে বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরিও করেছে। ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা লাভের পর এই খুনী আত্মগোপনে চলে যায়। বঙ্গবন্ধুর যেসব খুনী বিদেশে পলাতক আছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। মন্ত্রী বলেন, মাঝে মাঝে বিস্ময়ে হতবাক হই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি দেশে না ফিরতেন তাহলে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের বিচার কোন্ পর্যায়ে যেত। তিনি দেশে ফিরে এসে দৃঢ়তার সঙ্গে হাল ধরেছিলেন বাংলাদেশের। শুধু বাংলাদেশকেই তিনি পাল্টে দেননি, তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ও জেলহত্যার আসামিদের পর্যায়ক্রমে ধরে নিয়ে আসছেন এবং আনছেন। তাদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। আমরা যে কালিমালিপ্ত ছিলাম, সেটাও মুছে গিয়েছে। তাই আজ আমরা মাথা উঁচু করে বলতে পারব, বঙ্গবন্ধুর খুনীদের শুধু বিচার হয়নি, তাদের দণ্ডাদেশ কার্যকর হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফেরার পর বিচারের পথ খোলে। মামলার পর বিচার শুরু হলেও বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় যাওয়ার পর ফের শ্লথ হয়ে যায় মামলার গতি। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার পর মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে দ-িত পাঁচজনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। বিচারে ১২ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদ- কার্যকরের রায় হয়। ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি ১২ আসামির মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয় সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, মহিউদ্দিন আহমদ (ল্যান্সার), একে বজলুল হুদা ও একে এম মহিউদ্দিনের (আর্টিলারি)। বিদেশে পলাতক রয়েছে খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, মোসলেহউদ্দিন খান, আব্দুল মাজেদ ও এম রাশেদ চৌধুরী। কিন্তু ফাঁসির দ-াদেশ পাওয়া ছয় আসামি বিদেশে পলাতক থাকা অবস্থায় তাদের বিষয়ে ইন্টারপোল থেকে রেড নোটিস জারি করে প্রতি পাঁচ বছর পর পর নবায়ন করা হচ্ছিল। বর্তমানে পলাতক পাঁচ আসামির মধ্যে খন্দকার আবদুর রশিদ পাকিস্তানে, এ এম রাশেদ চৌধুরী কানাডায়, শরিফুল হক ডালিম পাকিস্তানে পলাতক রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া পলাতক অন্যরা কোথায় আছে তা জানা যায়নি। এছাড়া মৃত্যুদ- পাওয়া ১২ জনের মধ্যে মেজর আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ক্যাপ্টেন মাজেদকে মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। এ সময় বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার না দেখানো পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। আবেদনে বলা হয়, আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম জুলফিকার হায়াৎ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর বেলা সোয়া একটার দিকে তাকে আগে পিছনে পুলিশ ও র‌্যাবের কড়া পাহারা দিয়ে তাকে নিয়ে একটি প্রিজন ভ্যান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে রওনা হয়। দ্রুততার সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকার কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম জনকণ্ঠকে জানান, ক্যাপ্টেন মাজেদকে গ্রেফতারের পর পরই তাদের কাছে খবর আসে। সে মোতাবেক কারাগারের ফাঁসির সেল প্রস্তুত রাখা হয়। নিয়মানুযায়ী ফাঁসির সেলগুলোতে ফাঁসির আসামিদেরই রাখা হয়। তবে বন্ধুবন্ধুর খুনীর বেলায় বিষয়টি আরও ভিন্ন। বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে পুরো কারাগারজুড়ে। দুপুর পৌনে দুইটার দিকে আবদুল মাজেদকে নিয়ে আদালত থেকে কারাগারে পৌঁছে পুলিশের প্রিজন ভ্যানটি। প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সঙ্গে তাকে কারাগারের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তার দেহ তল্লাশি করা হয়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তার জন্য নির্ধারিত ফাঁসির সেলে। সেই সেলকে কেন্দ্র করে নানামুখী কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ফাঁসির আসামিদের সেলে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করার আগে, সেসব কারারক্ষী নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এরপরই তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়। এসব কারারক্ষীকে আবার মনিটরিং করার ব্যবস্থা আছে। বিশেষ করে ওইসব কারারক্ষীকে সেলের কাছাকাছি গিয়ে দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয় না। নির্ধারিত দূরত্বে থেকে দায়িত্ব পালনের বিধি নিষেধ আছে। যাতে কোন কারারক্ষী খুনী আসামির সঙ্গে কোন প্রকার কথাবার্তা বলতে না পারেন। কথাবার্তা বললে, স্বাভাবিক কারণেই কোন কিছুর লোভে কোন কারারক্ষী প্রলুব্ধ হতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকেই এমন নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর বঙ্গবন্ধুর খুনীর ক্যাপ্টেন মাজেদের সেলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কারারক্ষীদের ঘন ঘন পরিবর্তন করা হবে। এটি অতীতেও বিভিন্ন আসামির ক্ষেত্রে করা হয়েছে। যাতে কোন কারারক্ষী দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের সুযোগ নিয়ে কোন আসামির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারেন। এছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করার সময় কারারক্ষীদের কাছে কোন প্রকার ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র বিশেষ করে মোবাইল ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। এটি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব পালন করার আগে কারারক্ষীদের দেহ তল্লাশি করা হবে। যদিও কোন কারারক্ষীকেই দায়িত্ব পালনকালে মোবাইল ব্যবহার করতে দেয়া হয় না। এই কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে আরও জানান, ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি হিসেবে তার সঙ্গে কাউকেই দেখা সাক্ষাত করতে দেয়া হবে না। যদিও তার গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর পরিবারের তরফ থেকেও কেউ যোগাযোগ করেনি। যোগাযোগ করলে সেটি সরকারের দায়িত্বশীলদের জানানো হবে। সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×