ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ শূটার অপূর্বি

প্রকাশিত: ০৯:৪০, ৮ এপ্রিল ২০২০

অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ শূটার অপূর্বি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ টোকিও অলিম্পিক গেমসে যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন ভারতের অন্যতম নামী শূটার অপূর্বি চান্ডেলা। সম্প্রতি বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রকোপে টোকিও অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে দিয়েছে সংগঠকরা। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি ঘোষণা করেছে, ২০২১ সালের জুলাইয়ে হবে গেমস। তাই ক্রীড়াবিদদের হাতে ১৬ মাস সময় রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে নিজের পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন করেছেন বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ নম্বরে থাকা এই শূটার। তবে যথেষ্ট হতাশ তিনি। আপাতত মাস চারেক বিশ্রাম নিয়ে নিজেকে তরতাজা করে তুলতে চাইছেন অপূর্বি। দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে তিনি এখন জয়পুরের বাড়িতে বন্দী। সেখান থেকেই সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমি বাড়ির শূটিং রেঞ্জে নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। টেকনিকে যাতে উন্নতি করা যায় সেই চেষ্টাও করছি। তবে এটা স্রেফ রুটিন অনুশীলন। আসলে আগামী চার মাসের জন্য আমি একটি ব্রেক নিতে চাই। কারণ টোকিও অলিম্পিক গেমসের জন্য গত দেড় বছর প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছি। আগামী পাঁচ-ছয় মাস কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হবে কিনা কেউ জানে না। তাই এই সময়টা বিশ্রামের জন্য আদর্শ। আগস্ট থেকে ফের শুরু করব নিবিড় অনুশীলন। অপূর্বি আরও জানান, ‘টোকিও অলিম্পিক স্থগিতের সিদ্ধান্তে আমি হতাশ। তবে গত এক মাসে বিশ্বের অবস্থা পুরোপুরি বদলে গেছে। করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গেমস যে বাতিল হবে তা বোঝাই যাচ্ছিল। তবে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক সংস্থাকে ধন্যবাদ যে, ইতোমধ্যে যোগ্যতা অর্জনকারীদের ২০২১ সালের গেমসে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার জন্য। অলিম্পিক গেমসে যোগ্যতা অর্জন করার জন্য প্রতিটি ক্রীড়াবিদকে প্রচ- পরিশ্রম করতে হয়েছে। নতুন করে যোগ্যতা অর্জন করতে হলে আমাদের মতো ক্রীড়াবিদের কাছে সেটা হতাশজনক হতো। এদিকে, অলিম্পিকের নতুন তারিখ ঘোষিত হয়েছে। করোনার কারণে এক বছর পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হবে আগামী বছরের জুলাইয়ে। কিন্তু এর মধ্যেই কেলেঙ্কারির গন্ধ। জাপান যাতে অলিম্পিক আয়োজনের দায়িত্ব পায়, সেজন্য এক ব্যবসায়ীকে বিপুল অর্থ দিয়েছিল টোকিও অলিম্পিক বিড কমিটি। একটি ফরাসী সংস্থার তদন্তে তেমনই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ব্যবসায়ীর নাম হারুইউকি তাকাহাসি। তিনি একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা। তাকাহাসিকে ৮২ লাখ মার্কিন ডলার দিয়েছিল টোকিও অলিম্পিক বিড কমিটি। এই অর্থ নিয়ে তাকাহাসির কাজ ছিল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সদস্যদের ঘুষ দেয়া, লবি করা। যাদের মধ্যে ছিলেন ল্যামিন ডিয়াকের মতো কর্তাও। অবশ্য শুধু তাকাহাসি নন, অনেক ব্যবসায়ীকেই ঘুষ দেয়া হয়েছিল। তাকাহাসির অবশ্য দাবি, আইওসির সদস্যদের উপহার দেয়ায় তিনি কোন অস্বাভাবিকতা দেখতে পাচ্ছেন না। তার কথায়, আপনি তো আর খালি হাতে যেতে পারেন না। শুধুমাত্র সেইকো ঘড়ি কিনতেই নাকি লেগেছে ৪৬,৫০০ ডলার। ২০২০ অলিম্পিক আয়োজন করবে কোন শহর, তা ঠিক করতে ২০১৩ সালে ভোটাভুটির ঠিক আগেরদিন আফ্রিকান অলিম্পিক প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন ল্যামিন ডিয়াক, তদন্তে উঠে এসেছে এমনও তথ্য।
×