স্টাফ রিপোর্টার ॥ তবলীগের প্রচারে বাংলাদেশে আসা ৩০৬ বিদেশীকে ঢাকার দুটি মসজিদে জড়ো করে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানায়, সাদ ও জুবায়েরপন্থী আলাদা আলাদা মসজিদে রেখে তালা দেয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেয়া হবে না। আবার তাদের কেউ সেখান থেকে বের হতে পারবেন না।
রমনা বিভাগের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান জনকণ্ঠকে জানান, ৩০৬ জনের মধ্যে ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদে আছেন ১৭৬ জন। তারা মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী। এরা ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ার, চায়না, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক। এদের মধ্যে বেশিরভাগ টঙ্গী বিশ্ব এস্তেমা থেকে চিল্লা (৪০ দিন) নিয়ে সারাদেশে তবলীগ দাওয়াতের জন্য বের হন। তাদের মধ্যে ৬০ জন গত ১৭ মার্চ ভারত থেকে তবলীগ প্রচারের জন্য বাংলাদেশে আসেন। ডিসি জানান, আগে কাকরাইলে মসজিদে আগে ৫ হাজার মুসল্লি জামাত হতো। এখন বর্তমানে আড়াইশ’ জনের জামাত হচ্ছে। তিনি জানান, বর্তমানে কাকরাইল মসজিদে কাউকে ঢুকতে ও বের হতে দেয়া হচ্ছে না। কাকরাইল মসজিদে বিদেশীদের পাশাপাশি তাদের দেখাশোনার জন্য ৩০ থেকে ৪০ জন রয়েছেন।
এদিকে বাকি ১৩০ জনকে জড়ো করে রাখা হয়েছে যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টি মদিনা জামে মসজিদে। যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মোঃ মাজহারুল ইসলাম জানান, বিবদমান দুটি অংশের মধ্যে মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী ১৩০ জনকে মদিনা মসজিদে রাখা হয়েছে। তারা ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়ারসহ বিভিন্ন দেশে নাগরিক। মদিনা মসজিদে বড় হওয়ায় ১৩০ জনকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এনে সেখানে আলাদা রাখা হয়েছে। তাদের দাওয়াতি কাজ শেষ। বিমানবন্দর খুললেই তাদের দেশে পাঠানো হবে।
সম্প্রতি ভারতের দিল্লীতে তবলীগ জামাতের একটি সমাবেশ থেকে অনেকের মধ্যে কোভিড-১৯ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। গত দুদিনের পরীক্ষায় ওই সমাবেশে অংশ নেয়া ৬৫০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এরপর প্রায় দুই হাজার মুসল্লিকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তার আগে মালয়েশিয়ায় তবলীগের একটি সমাবেশ থেকে সে দেশে অনেকের মধ্যে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ে।