ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধের আহবান বিজিএমইএর

লাখো শ্রমিক এবার ফিরে আসছেন ঢাকায়

প্রকাশিত: ১০:০৫, ৫ এপ্রিল ২০২০

 লাখো শ্রমিক এবার ফিরে আসছেন ঢাকায়

এম শাহজাহান ॥ চাকরি বাঁচাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হেঁটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন লাখ লাখ পোশাক শ্রমিক। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের রাস্তায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। শ্রমিকদের সঙ্গে যা করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অমানবিক ও অবিবেচনাপ্রসূত। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে, পোশাক খাতের যে কোন মালিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালাতে পারবেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে আশস্ত করা হয়। এক্ষেত্রে শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি (স্যানিটাইজার, হ্যান্ডওয়াশ, সাবান, মাস্ক, গ্লাভস) নিশ্চিত করবে মালিকপক্ষ। সবদিক বিবেচনায় নিয়ে সময়মতো শিপমেন্ট পৌঁছে দিতে শনিবারও ঢাকার অনেক পোশাক কারখানা খোলা ছিল। তবে করোনা আতঙ্কের মধ্যে কারখানা চালু হলেও শ্রমিক উপস্থিতি কম হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ ৫০ ভাগ কারখানায় কাজ হবে বলে জানিয়েছে মালিকপক্ষ। পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক হোয়াটসএ্যাপ মেসেজে জানিয়েছেন, শ্রমিকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে কোন শ্রমিক কাজে যোগ না দিলেও চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। জানা গেছে, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রথম দফায় সরকারের পক্ষ থেকে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে। সব অফিস আদালত ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফায় ছুটির মেয়াদ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ছুটির মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে। এ অবস্থায় পোশাক কারখানা চালুর বিষয়টি কতটা যুক্তিসঙ্গত সে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। কারণ এ খাতে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। আর কারখানাগুলোর বেশির ভাগ ঢাকা ও পার্শ¦বর্তী জেলাগুলোতে অবস্থিত। কাজে যোগ দিতে রবিবার মৌমাছির মতো ঝাঁকে ঝাঁকে শ্রমিকরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হেঁটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন। সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কেউ হেঁটে রিক্সা, ভ্যানে, পণ্যবাহী ট্রাক ও লরিসহ বিভিন্ন কায়দায় ঢাকা আসেন। এতে করে পথে শ্রমিকরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। ঢাকায় আসার পর বাসায় উঠতেও অনেক শ্রমিক নানা ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন। স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে অনেক বাড়ির মালিক তাদের উঠতে দিতে চাননি। এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সহসভাপতি এসএম মান্নান কচি জনকণ্ঠকে বলেন, আজ রবিবার থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে শ্রমিকরা কতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে পারবে সেটাই বড় বিষয়। তিনি বলেন, জীবনের ঝুঁকি সবার রয়েছে। কারখানা খুলে দেয়ায় সময়মতো বায়ারদের শিপমেন্ট পৌঁছে যাবে এটা ঠিক, কিন্তু স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। করোনা ছোঁয়াছে রোগ। এ অবস্থায় ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে কারখানা চালাতে হচ্ছে। তিনি জানান, সরকারের প্রণোদনায় বেতন ভাতা নিয়ে কোন সমস্যা নেই। সবাই সময়মতো বেতন ভাতা পাবেন। বিজিএমইএর আহবান ॥ করোনাভাইরাসের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য মালিকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক। শনিবার রাতে এক অডিও বার্তায় মালিকদের প্রতি তিনি এ আহবান জানান। মালিকদের উদ্দেশে রুবানা হক বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১১ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখতে আপনাদের কাছে আহবান জানাচ্ছি। এছাড়া সঙ্গত ও মানবিক কারণে কারখানায় উপস্থিত হতে না পারলে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত না করার আহবান জানান বিজিএমইএ সভাপতি। অডিও বার্তায় ড. রুবানা বলেন, যাদের উৎপাদন চলমান আছে তারা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করবে। সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো কিভাবে আমাদের শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা দেব এটাই প্রথম। আর আমাদের দ্বিতীয় দায়িত্বটি হলো মার্চ মাসের বেতন নিয়ে। মার্চ মাসের বেতন নিয়ে কোন রকম অনীহা, অনাগ্রহ প্রকাশ করা যাবে না। আমরা বেতন দেব যত কষ্ট হোক, যাই হোক বেতন দেব, ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, আমাদের তৃতীয়টি হলো শ্রমিকদের উপস্থিতির বিষয়। কোন শ্রমিক সঙ্গতকারণে বা কোন কারণে যদি কারখানা উপস্থিত না থাকেন তাহলে মানবিক বিবেচনায় তার চাকরিটি হারাবেন না। এটুকু আমাদের প্রত্যেক সদস্যদের কাছে অনুরোধ করব। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে বিজিএমইএর ও বিকেএমইএর পক্ষ থেকেও এই সময়ে কারখানা বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়। দুর্ভোগ মাথায় করে ঢাকামুখী পোশাক শ্রমিকরা ॥ চাকরি বাঁচানোর স্বার্থে শুক্রবার বিকেল থেকে ঢাকামুখী শ্রমিকদের ভিড় ছিল দেশের বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে। এরই ধারাবাহিকতায় গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কর্মস্থলে ফেরা শ্রমিকের স্রোত ছিল চোখে পড়ার মতো। করোনাভাইরাস দুর্যোগ উপেক্ষা করে লাখ লাখ পোশাক শ্রমিক শনিবারও ফিরেছেন কর্মস্থলে। আজও আসবেন অনেকে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভ্যানে, ট্রাকে, কাভার্ডভ্যান যে যেভাবে পারছেন কর্মস্থলে ফিরেছেন। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, লকডাউনের মধ্যেও অনেক কারখানা চালু ছিল। এছাড়া যেসব কারখানায় ছুটি ছিল, তাও শনিবার থেকে খুলে গেছে। আজকের মধ্যে গার্মেন্টসে পৌঁছতে না পারলে চাকরি থাকবে না তাদের। বাধ্য হয়ে হেঁটে কর্মস্থলে ফিরছেন তারা। কয়েক শ্রমিক জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কারখানাগুলো ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। ৪ এপ্রিল থেকে কারখানাগুলো খোলা হয়। যদি সঠিক সময়ে কর্মস্থলে না পৌঁছেন তাহলে চাকরিচ্যুতির ঘোষণা দিয়েছে মালিকপক্ষ। এজন্য হেঁটে ঢাকার পথে রওনা দিয়েছেন তারা। তারা বলেন, হয়তো কিছুদিনের মধ্যে করোনা আতঙ্ক কেটে যাবে। কিন্তু আমরা চাকরি হারিয়ে ফেললে পরে কিভাবে বাঁচব। সামনে ঈদ, এখন কারখানা কর্তৃপক্ষের কথামতো কাজে যোগদান না করলে যদি চাকরি হারিয়ে ফেলি তাহলে মানবেতর জীবন-যাপন করতে হবে আমাদের। মিরপুরের গার্মেন্টস কর্মী রায়হান জানান, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তাদের আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। সবকিছু বন্ধ, অথচ আমাদের কারখানা খোলা। একদিকে করোনার ভয়, অন্যদিকে চাকরি হারানোর ভয়। আসলে আমরা কী করব? কোথায় যাব?। এছাড়া স্থানীয় সংবাদদাতারা জানিয়েছেন শনিবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনা বাজার থেকে ভবানীপুর পর্যন্ত দেখা গেছে জনস্রোত। কারখানা খুলে যাওয়ায় আতঙ্কের মাঝে ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরেছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কারখানা বন্ধ ঘোষণায় অনেকেই বাড়ি গেছেন। এখন কারখানা খোলার ঘোষণায় তারা কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। মহাসড়কে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষ পিকআপ ও ট্রাকে করে কর্মস্থলে যাচ্ছেন। এছাড়া উত্তরবঙ্গ থেকে পোশাক শ্রমিকরা ছুটে আসছেন ঢাকায়। কর্মস্থলে পৌঁছতে মাইক্রোবাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে এসব শ্রমিকদের। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কের কড্ডার মোড়, নলকা এলাকায় শত শত পোশাক শ্রমিকদের ভিড় দেখা যায় বলে জানা গেছে। করোনাভাইরাসের আতঙ্ক উপেক্ষা করে মানুষগুলো গাদাগাদি করে বাস কিংবা ট্রাকে উঠে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে হঠাৎ ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান ও মাইক্রোবাস পেলে তাতেই উঠে পড়ছেন যাত্রীরা। জীবিকার তাগিদে সব বাঁধা বিপত্তি উপেক্ষা করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ১৯টি জেলার পোশাককর্মীরা ছুটছেন রাজধানীর পথে। শ্রমিকরা জানায়, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়েই ট্রাক-পিকআপ ভ্যানে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের। যেখানে আগে বাসে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায় যেতে পারতাম। সেখানে ট্রাক-পিকআপ ভ্যানে নেয়া হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। আর দু’একটি লোকাল বাস থাকলেও ৪০০-৫০০ টাকা ভাড়া দাবি করছেন তারা। এতে করে শ্রমিকদের কষ্ট আরও বেড়েছে। ময়মনসিংহে গার্মেন্টস কর্মীদের ঢল ॥ স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে জানান, ছুটি শেষ। আর তাই কর্মস্থলে যোগ দিতে শনিবার ময়মনসিংহের সড়কে ঢাকা ও গাজীপুরমুখী গার্মেন্টস কর্মীদের ঢল নেমেছিল। যানবাহন না থাকায় রিক্সা ভ্যান ও ইজিবাইকসহ পিকআপ ভ্যানে চড়ে ময়মনসিংহ হয়ে গন্তব্যে পৌঁছেন তারা। যানবাহন না পেয়ে প্রখর রোদ উপেক্ষা করে অনেকে হেঁটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছেন কর্মস্থলে। এ সময় তাদের ভোগান্তির সীমা ছিল না। সরকারের ঘরে থাকার নির্দেশনার ভেতর গার্মেন্টস কর্মীদের এভাবে দলবেঁধে ঢাকা ও গাজীপুরের কর্মস্থলে যোগদান নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। আর গার্মেন্টস কর্মীরা জানান, এটি সাংঘর্ষিক এবং করোনা সংক্রমের ঝুঁকিকে নতুন করে আরও বাড়িয়ে তুলবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামীকাল রবিবার থেকে খোলা হচ্ছে গার্মেন্টস কারখানা। ছুটি শেষ হয়েছে শনিবার। কর্মস্থলে যোগ দিতে শনিবার সকাল থেকে ময়মনসিংহের সড়ক মহাসড়কে ঢল নামে গার্মেন্টস কর্মীদের। যানবাহন না থাকায় শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জসহ ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলা থেকে গার্মেন্টস কর্মীরা কয়েক দফা রিক্সা, সিএনজি অটো রিক্সা ও পিকআপ ভ্যান পাল্টে ময়মনসিংহ হয়ে দলে দলে ঢাকা ও গাজীপুর পৌঁছেন। অনেকে হেঁটে পাড়ি দেন দীর্ঘ পথ। এসময় নারী ও শিশুদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। একই সঙ্গে গুনতে হয়েছে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়াও। এদিকে শনিবার সকাল থেকে ময়মনসিংহ নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে মানুষকে ঘরবন্দী রাখতে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে রাজধানী ও গাজীপুরমুখী গার্মেন্টস কর্মীদের জন¯্রােত থামাতে তাদের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে থাকার নির্দেশনার ভেতর দলবেঁধে শত শত গার্মেন্টস কর্মীর ঢাকা ও গাজীপুর যাত্রা করোনা শঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে জানান স্থানীয়রা। এদিকে গার্মেন্টস কর্মীরা জানান, বাধ্য হয়েই তারা শনিবার প্রখর রোদে স্ত্রী সন্তান নিয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন। কারণ গার্মেন্টস বন্ধ হওয়ার আগে কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করেননি। ফলে ওই সময়ে হাতে টাকা না থাকায় তারা ঝুঁকি নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। রবিবার খোলার পর তাদের বেতন হওয়ার কথা রয়েছে। কাজে যোগ না দিলে বেতন হবে না-গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের এমন হুমকিতে ফের তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে ফিরত বাধ্য হচ্ছেন। গার্মেন্টস কর্মীদের যানবাহন ছাড়াই হেঁটে এমন অমানবিক পরিবেশে কর্মস্থলে ফেরার ব্যাপারে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, এ ব্যাপারে শনিবার পর্যন্ত সরকারের কোন দিকনির্দেশনা পাননি। তারপরও গার্মেন্টস কর্মীদের কর্মস্থলে ফেরার বিষয়টি দেখবেন বলে জানান তিনি।
×