ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রবিবার থেকে ঢাকায় ১০ টাকার চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত: ০৮:১২, ৩ এপ্রিল ২০২০

রবিবার থেকে ঢাকায় ১০ টাকার চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের প্রকোপে কাবু নিত্যপণ্য বাজারের অস্থিরতা দূর করতে আগামী রবিবার থেকে ঢাকায় ১০ টাকার চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এই চাল বিক্রি করা হবে শহরের স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। এছাড়া পবিত্র শবে-বরাত সামনে রেখে বাজারে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ বাড়াতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বেসরকারী পর্যায়ে পণ্য সরববরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি সরকারী সংস্থা টিসিবি ট্রাকসেল কার্যক্রম জোরদার করতে যাচ্ছে। এছাড়া করোনার প্রকোপ যতদিন থাকবে ততদিনই স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় খোলা বাজারে (ওএমএস) ১০ টাকার চাল বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় প্রতি রবিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চাল বিক্রি করা হবে। গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। ঢাকার প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য প্রতিদিন ৩ মেট্রিক টন এবং ঢাকার বাইরে প্রতিকেন্দ্রের জন্য ২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হবে। খাদ্য অধিদফতরের নিবন্ধিত ডিলারদের মাধ্যমে করোনার প্রভাবে কাজ হারানো দিনমজুর, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, পরিবহন শ্রমিক, চায়ে দোকানদার, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যসহ কর্মহীনদের ১০ টাকার চালের এ সুবিধা দেবে সরকার। এদিকে, করোনার প্রকোপে মশুর ডাল, ছোলা, আদা ও আটার দাম চলতি সপ্তায় বাড়লেও পেঁয়াজ, রসুন, ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম হ্রাস পেয়েছে। অপরিবর্তিত রয়েছে চালের দাম। শাক-সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম এখন নিম্নমুখী। তবে মাছ-মাংসের বাজার চড়া। বিশেষ করে দেশী জাতীয় সব ধরনের মাছের দাম এখন বেশি। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, ফার্মগেট কাঁচা বাজার, নিউমার্কেট, মো.পুর টাউন হল মার্কেট ও মিরপুর সিটি কর্পোরেশন মার্কেট ও সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা টিসিবি থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া নিত্যপণ্যের বাজার স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে চলতি সপ্তায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক গবর্নর, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, অর্থসচিব ও বাণিজ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তারা চলমান লকডাউনের মধ্যেও দ্রব্যমূল্য ভোক্তাদের নাগালের মধ্যে রাখতে সহমত পোষণ করেন। এছাড়া আসন্ন রমজানেও যাতে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের একটি গাইডলাইন দেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন জনকণ্ঠকে বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের উদ্যোগ সরকারের রয়েছে। সরবরাহ চেন ঠিক রাখতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে দ্রুত এলসি খোলা, বন্দর থেকে দ্রুত পণ্য খালাস, পণ্যবাহী যানবাহন নিরাপদে দ্রুত পৌঁছে দেয়ার মতো বিষয় রয়েছে। এছাড়া টিসিবি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করছে। তাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
×