ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

১৫ এপ্রিল পর্যন্ত অন এ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ৩ এপ্রিল ২০২০

 ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত অন এ্যারাইভাল ভিসা বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনা প্রতিরোধের অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সব বিদেশী নাগরিকের জন্য ভিসা অন এ্যারাইভাল বন্ধ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যেসব ভ্রমণকারী ১ মার্চ থেকে পরবর্তী সময়ে ইউরোপ এবং ইরানে বসবাস করছেন তারা ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং ইরানের নাগরিক যারা ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই এলাকার বাইরে ছিলেন তারা বৈধ ভিসা থাকা সাপেক্ষে বাংলাদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুরক্ষা বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, বৈধ ভিসায় বিদেশী নাগরিক যারা নতুন ভিসার জন্য আবেদন করবেন তাদের সর্বশেষ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইস্যুকৃত করোনা লক্ষণ মুক্ত মর্মে চিকিৎসকের সনদ (ইংরেজিতে অনুবাদকৃত) জমা দিতে হবে এবং বাংলাদেশে আগমণের সময় ইমিগ্রেশন কাউন্টারে প্রদর্শন করতে হবে। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী দূতাবাসে কর্মরত কূটনৈতিক, অফিসিয়াল এবং লেইসেজ প্যাসার পাসপোর্টধারী ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা (যদি সাধারণ পাসপোর্টধারী হয়) নিষেধাজ্ঞা বহির্ভূত থাকবে তবে বাংলাদেশে আগমনের পর তাদের সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত যে কোন দেশ থেকে বাংলাদেশী বা বিদেশী নাগরিকের দেশে আসার ক্ষেত্রে আগমনের পরে দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এ্যান্টি পোর্টের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেল্ফ কোয়ারেন্টাইন বা সরকার পরিচালিত প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থাকার বিষয়টি নির্ধারণ করবেন। প্রচলিত বিধি অনুযায়ী জাহাজের নাবিকরা ৭২ ঘণ্টার জন্য ভিসা অন এ্যারাইভাল নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। তারা এয়ারপোর্ট থেকে কর্মস্থল এবং কর্মস্থল থেকে এয়ারপোর্টে যাতায়াত ব্যতীত দেশের ভেতরে অন্য কোথাও অবস্থান করতে পারবেন না। তাদের করোনা লক্ষণ মুক্ত মর্মে চিকিৎসকের সনদ এন্ট্রি পোর্টের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে প্রদর্শন করতে হবে। যেসব দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি চুক্তি আছে, সেসব দেশের কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা চুক্তি অনুযায়ী ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। তাদের করোনা লক্ষণ মুক্ত মর্মে চিকিৎসকের সনদ এন্ট্রি পোর্টের ইমিগ্রেশন কাউন্টারে প্রদর্শন করতে হবে। করোনাভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে বাংলাদেশে অবস্থানকারী (নিয়মিত ও অনিয়মিত) বিদেশী নাগরিকদের বর্তমান ভিসা তাদের আবেদন সাপেক্ষে তিন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদি কোন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ‘নো ভিসা রিকোয়ার্ড’ ফোল্ডার করোনাভাইরাস লক্ষণ মুক্ত মর্মে চিকিৎসকের সনদপত্র ছাড়া বাংলাদেশে আগমন করেন তাকে ঢাকায় ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। চিকিৎসকের সনদপত্রসহ আগমনের ক্ষেত্রে তাকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
×