ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জামালপুরে স্বাস্থ্য বিভাগ পেল করোনা পরীক্ষার ৫০০ কিট, পিপিই ও মাস্ক

প্রকাশিত: ০০:১৫, ২ এপ্রিল ২০২০

জামালপুরে স্বাস্থ্য বিভাগ পেল করোনা পরীক্ষার ৫০০ কিট, পিপিই ও মাস্ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর ॥ করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত করার জন্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের সহায়তায় জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জেলা স্বাস্থ্যবিভাগকে ৫০০ কিট, ১০০ ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ও ৭৫০টি সার্জিক্যাল মাস্ক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এই প্রথম জামালপুরে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত করার জন্য কিট পেল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। বুধবার জামালপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী জেলা পরিষদে তার কক্ষে জামালপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ মো. মাহবুবুর রহমান ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামানের কাছে কিট ও সুরক্ষা সামগ্রী হস্তান্তর করেন। এ সময় শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ জামালপুরের প্রকল্প পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মোশায়ের উল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য বিভাগের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম জামালপুর জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত করা এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য ৫০০ কিট ও পিপিইসহ সুরক্ষাসামগ্রীগুলো সংগ্রহ করেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগকে সহায়তা দেওয়ার জন্য। এই প্রথমবারের মতো করোনারোগী শনাক্ত করার কিট পেয়ে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। জামালপুরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান এ প্রসঙ্গে জনকণ্ঠকে বলেন, এখনো পর্যন্ত জামালপুর জেলায় করোনাভাইরাস আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে এবং সন্দেহভাজন রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সরকার থেকে আমরা বেশকিছু পিপিই ও সার্জিক্যাল মাস্ক পেয়েছি। আরো চাহিদা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকারিভাবে এখনো পর্যন্ত জামালপুরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার জন্য কিট সরবরাহ করা হয়নি। এই ৫০০ কিট জেলাবাসীর জন্য অনেক কাজে দিবে। তিনি আরো বলেন, এই প্রথম এই কিটগুলো আমাদের হাতে এলো। তবে এই কিট ব্যবহারের জন্য আমাদের কোনো প্রশিক্ষণ নেই। এ বিষয়ে ঢাকা থেকে অনলাইনে আমাদেরকে শেখানো হবে। তারপর আমরা এগুলো দিয়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত করার পরীক্ষা করতে পারবো। কিটগুলো সরবরাহ করার জন্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
×