নিজস্ব সংবাদদাতা, হাতিয়া ॥ সরকারী ভাবে ত্রান পাবে ৪০টি পরিবার। কিন্তু সংবাদশুনে উপস্থিত হয়েছে প্রায় তিন শতাধিক দুস্থ অসহায় নারী পুরুষ। প্রখর রোদে অনেক সময় দাড়ীয়ে থেকে শুন্য হাতে বাড়ী ফিরে যেতে হয়েছে অনেককে। সম্প্রতি নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বন্দরটিলা বাজারে নৌবাহিনীর উপস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ থেকে বরাদ্বকৃত ত্রান বিতরনের সময়ের চিত্র এটি।
একই চিত্র সকল ইউনিয়নে। চরঈশ্বর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য কামরুল ইসলাম মহব্বত বলেন, আমি পেয়েছি ৫টি সিলিপ যাতে ৫টি পরিবার ২০ কেজি চাল ও ১ কেজি ডাল পেয়েছে। আমার ওয়ার্ড়ে লোক সংখ্যা প্রায় ৬ হাজার । এদের মধ্যে অধিকাংশই জেলে, দিনমজুর, কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। সরকারী আদেশে সকল দোকানপাট ও হাটবাজার বন্ধ করে দেওয়ায় মধ্যভিত্ত শ্রেনীর একটি অংশের সংসার চালানোটা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাদের সংখ্যা কম হবেনা কোন অংশে।
হাতিয়া উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানাযায় করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে হাতিয়ায় বরাদ্দ আসে ১০টন চাল ও ১লাখ টাকা । এ চাল ও টাকা উপজেলা পরিষদ থেকে ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে সমানভাবে বিভাজন করার হয়। তাতে প্রতিটি ইউনিয়ন ৪০টি পরিবারের মধ্যে ২০ কেজি চাল ও ১কেজি ডাল বিতরনের সূযোগ পায়। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম জানান, প্রথম দাপে ৫ শত পরিবারকে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতি সপ্তাহে আরো ত্রান দেওয়া হবে।
এছাড়া হাতিয়াতে বিছিন্ন ভাবে কিছু সংগঠন ত্রান বিতরণ করে। এর মধ্যে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের উদ্বোগে ৪০টি পরিবারের মধ্যে ৫কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি পেয়াজ, এক লিটার তৈল, দুই কেজি আলু ও একটি সাবান বিতরন করেন। অন্যদিকে প্রজন্ম হাতিয়া পৌরসভায়, সমাজ সেবক আরিফুল ইসলাম আমির বুড়িরচরে, হাতিয়া জেলা বাস্তবায়ন কমিঠি বিভিন্ন ইউনিয়নে ত্রান বিতরন করেন।
