ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রামেক হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা শুরু, চালু হটনম্বর

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ১ এপ্রিল ২০২০

রামেক হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা শুরু, চালু হটনম্বর

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্তে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে (রামেক) স্থাপিত ল্যাব চালু হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে ল্যাবটি চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এর ইনচার্জ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ডা. সাবেরা গুলনাহার। তিনি জানান, ঢাকা থেকে টেকনিশয়নদের দুইটি দল পাঁচদিন কাজ করে ল্যাবটি প্রস্তুত করেছেন। আরপি পিসিআর মেশিন স্থাপন কাজ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। এই দিনে তারা ২৪০টি কিট পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে ল্যাব চালু করা হয়েছে। এই ল্যাবে একদিনে সর্বোচ্চ ৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। ডা. সাবেরা গুলনাহার বলেন, আমাদের লোকজনের প্রশিক্ষণ হয়ে গেছে। করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিয়েছেন মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি, ভাইরোলজি ও বায়ো-কেমিস্ট্রি বিভাগের ৩০ চিকিৎসক ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. নওশাদ আলী বলেন, সবাইকে বিভাগ ভাগ করে দেয়া হয়েছে। ল্যাবে একদিনে সর্বোচ্চ ৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে সময় লাগবে ৮ থেকে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত। রাজশাহীতে এক যুবক আইসোলেশনে ভর্তি আছেন। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ল্যাবটি চালু হয়েছে। প্রথম দিনে চারজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. মো. বুলবুল হাসান বলেন, সবকিছু ঠিকভাবে চালু হয়েছে ল্যাবটি। ২৪০টি কিট ও ২০০ পিপিইসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রয়েছে আমাদের কাছে। মাইক্রোবাইলজি ও ভাইরোলজি বিভাগ যৌথভাবে ল্যাবটি পরিচালনা করবে। এদিকে রাজশাহীতে করোনা সনাক্তে হটলাইন চালুর পরদিনই দুই শতাধিক ফোনকল পেয়েছে করোনা ভাইরাস নির্ণয় ও চিকিৎসা প্রদানের জন্য গঠিত রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কমিটি। তবে এ সকল কলের মধ্যে করোনা বিষয়ে কথা বলেছেন হাতে গোনা কয়েকজন। অন্যান্য রোগের চিকিৎসা পরামর্শ নিতেও অনেকেই ফোন করছেন। সোমবার করোনাভাইরাস নির্ণয় ও চিকিৎসা প্রদানের জন্য মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আজিজুল হক আজাদকে আহ্বায়ক করে ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে রামেক কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালে না গিয়ে কমিটির চিকিৎসকদের সরাসরি কল করে করোনা বিষয়ে পরামর্শ নেয়ার জন্য তাদের ফোন নম্বর উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এছাড়া তথ্য আদান-প্রদান ও প্রাপ্ত তথ্যাদি রেজিস্টারভুক্ত করার জন্য চালু করা হয় হটলাইন নম্বর। একদিন পরে কমিটির সদস্যরা জানান, তাদের কাছে দুই শতাধিক কল এসেছে। চিকিৎসকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কল পেয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক ডা. আজিজুল হক আজাদ। তিনি জানান, ২৪ ঘন্টায় মোট ১১০টি কল পেয়েছেন। ডা. আজিজুল হক আজাদ বলেন, ১১০টি কলের একটিও করোনা আক্রান্ত নয়। এদের বেশিরভাগই অ্যাজমা, সাধারণ সর্দি, জ্বর, বুকে ব্যাথা সমস্যা নিয়ে কল করেছেন। এছাড়াও অন্যরা কেউই ফোনকলের নির্দিষ্ট সংখ্যার হিসেবে রাখেননি।
×