ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ২০০ বাড়ি ফিরে গেছে ৭ জন

প্রকাশিত: ০১:০৭, ১ এপ্রিল ২০২০

গাইবান্ধায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ২০০ বাড়ি ফিরে গেছে ৭ জন

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা ॥ করোনাভাইরাসে গাইবান্ধায় বুধবার নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর তাদের করোনাভাইরাস সংক্রমনের কোন প্রমাণ না পাওয়ায় ৭ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে নতুন করে ১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদিকে এখন পর্যন্ত আমেরিকা প্রবাসী দু’জনসহ তার সংস্পর্শে আসা আরও দু’জনসহ মোট ৪ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। এরমধ্যে ৩ জন গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেসন ও অপরজন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আইসোলেসনে রয়েছে। অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় ২০০ জন ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এরমধ্যে সদরে ৪৪, ফুলছড়িতে ৪, সুন্দরগঞ্জে ৪৫, সাঘাটায় ১১, পলাশবাড়িতে ৫, গোবিন্দগঞ্জে ৩৯ ও সাদুল্যাপুর উপজেলায় ৪৩ হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে। এছাড়া জেলা সদর হাসপাতালে ১ জনকে সন্দেহজনক হিসেবে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সিভিল সার্জন ডাঃ এবিএম আবু হানিফ জানান, বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদেশ ফেরত ২০০ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মীরা করোনা ভাইরাসের সন্দেহ দেখা দিলেই সন্দেহভাজন রোগীদের রক্ত সংগ্রহ করছে এবং তা দ্রুত পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করছে। ঢাকা থেকে রক্ত পরীক্ষার ফলাফল না জানা পর্যন্ত সন্দেহজনক রোগীদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। তদুপরি তারা যাতে নিয়মের বাইরে না চলে সেজন্য তাদের উপর কড়া নজরদাড়ি রাখা হচ্ছে। এদিকে বুধবার জেলা প্রশাসকের এক প্রেস রিলিজে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলার ৭টি উপজেলা ও ৪টি পৌরসভায় ৭ হাজার ৩শ’ দরিদ্র শ্রমজীবি কৃষক পরিবারের মধ্যে ৭৩ মে. টন খাদ্য সামগ্রী ও ৬ হাজার ৯শ’ পরিবারের মধ্যে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিতরণের জন্য জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ভান্ডারে ১শ’ ৫০ মে. টন খাদ্য সামগ্রী ৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা মজুদ রয়েছে।
×