ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মাদারীপুরে বাজারে হাজারো লোক সমাগমে বাড়ছে করোনা ঝুঁকি

প্রকাশিত: ০০:৪৯, ১ এপ্রিল ২০২০

মাদারীপুরে বাজারে হাজারো লোক সমাগমে বাড়ছে করোনা ঝুঁকি

নিজস্ব সংবাদদাতা, মাদারীপুর ॥ মাদারীপুরে থামছে না দৈনিক বাজার ও সাপ্তাহিক হাট। সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে জেলার বিভিন্ন স্থানে সকাল-বিকেল নিয়মিত বসছে দৈনিক বাজার। পাশাপাশি নির্ধারিত স্থান ও বন্দরে বসছে সাপ্তাহিক হাট। ফলে হাজারো লোক সমাগমে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েই যাচ্ছে। শহরতলি ও গ্রামগঞ্জের কেউ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করছে না। লম্বা ছুটিতে ঢাকা থেকে গ্রামে আসা লোকজন দল বেধে যাতায়াতসহ চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছে। এসব অসচেতন লোকজনকে সচেতন করতে প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও অন্য সকল আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী হিমশিম খাচ্ছে। জেলা প্রশাসকের গণ-বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও তা মানছে না কেউ। ঢাকা ফেরতরা বেশি বেপরোয়াভাবে চলাফেরা করছে। যাতায়াত করছে হাট-বাজারসহ আত্মীয় বাড়িতে। নানা বয়সের মানুষ করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে অবাধে হাট-বাজার করছে। আজ বুধবার সকালে হাট বসার কারণে রাজৈরের টেকেরহাট উত্তরপাড় মহাসড়কে সৃষ্টি হয় যানজট। সড়ক মহাসড়কে লোক গাদাগাদি করে চলাচল করছে ইজিবাইক, ভ্যান রিকসাসহ ছোট-ছোট যানবাহন। ঢাকা ফেরতরা নানা ভাবে গ্রামবাসীর সংষ্পর্শে আসায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। এ দৃশ্য সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে মাদারীপুর সদর ও রাজৈর উপজেলার প্রায় সর্বত্র। তবে শিবচরের চিত্র ভিন্ন। সেখানে লোক সমাগম খুব একটা দেখা যায় না। মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, “হাটবাজার বন্ধ রাখার জন্য ইজারাদারদের বলা হয়েছে। কেউ সরকারি নির্দেশ না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।” মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বদরুল আলম মোল্লা বলেন, “ঢাকা থেকে অনেক মানুষ একসাথে গ্রামে আসায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ইউনিয়ন ভিত্তিক অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।” মাদারীপুর জেলা প্রশাসক বলেন, “সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে মাদারীপুরকে রক্ষা করতে কাজ করে যাচ্ছি। সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতায় আমরা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারব।”
×