ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দরকার সমন্বয়

নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে সবাই

প্রকাশিত: ১০:২৭, ১ এপ্রিল ২০২০

নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে সবাই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে সরকার লম্বা ছুটি ঘোষণা করেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষদের ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তবে এই ছুটিতে দিন এনে দিন খাওয়া তথা নিম্ন আয়ের দরিদ্র অসহায় মানুষদের হয়েছে বিপত্তি। কাজ কর্ম থাকায় আয় কম অনেক ক্ষেত্রে মৌলিক চাহিদা খাদ্য পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা। আর তাই এসব মানুষদের জন্য এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। তারা প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় গরিব অস্বচ্ছল মানুষের হাতে পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্যসামগ্রী। মঙ্গলবারও রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ হয়। তবে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ নিয়ে একটি সমন্বয়ের কথা বলছে সচেতন মহল। অনেকের মতে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হলেও কোথা নিম্নœ আয়ের ছিন্নমূল মানুষ একই ব্যক্তি বার বার পাচ্ছেন আবার কোথাও একবারও পাচ্ছে না। এতে করে কেউ কেউ অভুক্ত অনাহারে থাকার সংশয় থাকছে। এজন্য এসব খাদ্য বিতরণে একটি সমন্বয়ের কথা বলছেন সংশ্লিষ্ট সচেতন ব্যক্তিরা। একটি সমন্বয়ের মাধ্যমে এসব খাদ্য বিতরণ করা হলে আরও বেশি মানুষ উপকৃত হওয়ার আশা করা হচ্ছে। ১৭শ’ দুস্থ পরিবারের খাদ্যসামগ্রী দিল বসুন্ধরা গ্রুপ ॥ করোনাভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া ১৭শ’ দরিদ্র, অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) থেকে এই ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করা হয়। এদিন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৭, ১৮, ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের কাছে আইসিসিবির গুলনক্সা হল থেকে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করেন বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর লিয়াকত হোসেন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (এ্যাকাউন্ট এ্যান্ড ফাইন্যান্স) ইমরুল হাসান, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (এস্টেট) মাহবুব উর রহমান ও এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (ল্যান্ড) নাজমুল আলম ভূইয়া। বসুন্ধরা গ্রুপের খাদ্যসামগ্রী বিতরণের সময় এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাহবুব উর রহমান তুহিন বলেন, জাতির যে কোন সঙ্কটে বসুন্ধরা গ্রুপ জনগণের পাশে এসে দাঁড়ায়। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও করোনাভাইরাসের সঙ্কট মোকাবেলায় বসুন্ধরা গ্রুপ অতীতের মতো গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আজ আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ১৭শ’ দুস্থ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য হস্তান্তর করলাম। তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান দেশের কল্যাণে সব সময় কাজ করে যাচ্ছেন। দেশের ক্লান্তিকাল সময়ে তিনি অতীতের মতো অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। দেশ ও মানুষের কল্যাণে বসুন্ধরা গ্রুপ ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবে। খাদ্যসামগ্রী এর আগে গত ২৯ মার্চ প্রথম পর্যায়ে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে আমরা ২ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। পর্যায়ক্রমে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম দেশব্যাপী পরিচালনা করা হবে। প্রত্যেকটি পরিবারকে ১০ কেজি মিনিকেট চাল, ২ কেজি মশুর ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি আলু, ৫০০ গ্রাম রসুন, ৫০০ গ্রাম আদা দেয়া হয়েছে। পাঁচশত পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী দিল ঢাকা জেলা প্রশাসন ॥ করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার পাঁচশত পরিবারের মধ্যে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বরাদ্দকৃত প্রতিটি পরিবারের জন্য দশ কেজি করে চাল, পাঁচ কেজি আলু ও দুই কেজি করে মসুর ডালের প্যাকেট শ্যামপুর বালুর মাঠে স্থানীয় এলাকার সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মধ্যে বিতরণ করেন জাতীয় পার্টির কোঃ চেয়ারম্যান ও ঢাকা-৪ আসনের এমপি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা। এই সময় বাবলার সঙ্গে ছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শাহিদুজ্জামান, এসিল্যান্ড সাদিয়া শাহনাজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসান মারুফ, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, ৫২নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ও কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, ৫৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও শ্যামপুর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মাসুদ, সাংবাদিক সুজন দে, জাপা নেতা শেখ মাসুক রহমান ও ইব্রাহিম মোল্লা প্রমুখ। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বাবলা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বরাদ্দকৃত খাদ্যসামগ্রী রাজধানীর সকল অসহায় মানুষের মধ্যে সুষমভাবে বণ্টন করছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। কিন্তু করোনার কারণে রাজধানীতে কর্মহীন হয়ে পড়া সকল মানুষের কাছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব। তাই জনপ্রতিনিধিদের উচিত নিজের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে সাধ্যমতো অসহায় মানুষকে সাহায্য করা। এছাড়া সমাজের সকল বিত্তশালীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এখনই উত্তম সময় বলে মন্তব্য করেন বাবলা। হোয়াটসএ্যাপ নম্বরে সাহায্য প্রার্থীর কাছে পুলিশের সাহায্য ॥ ‘স্যার ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমার বাসায় চাল, ডাল, তেলসহ কিছু পাঠানো যাবে কি? বিকেল থেকে না খেয়ে থাকতে হবে...।’ রাজধানীর মিরপুরের পাইকপাড়ার এক বাসিন্দা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) একটি থানার অফিসিয়াল হোয়াটসএ্যাপ নম্বরে এভাবেই সাহায্য চেয়েছেন। ওই ব্যক্তি আরও লিখেছেন, ‘তার হাতে কোন টাকা-পয়সা নেই। বিদ্যুত লাইনও বন্ধ হয়ে যাবে, মাত্র ১২ টাকা ব্যালেন্স আছে...।’ এই মেসেজ পেয়ে ডিএমপির এডিশনাল ডেপুটি কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছেন। ওই ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়েছেন। পরে ওই ব্যক্তি সাহায্য পেয়ে পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে আবারও এক মেসেজে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পুরো ঘটনাটা নিজের ফেসবুকে লিখে শেয়ার করেছেন মাহমুদা আফরোজ লাকী। তিনি লিখেছেন, ‘অফিসিয়াল নম্বরে টেক্সটি দেখেই খবর নেই কে এই ব্যক্তি। জানতে পারি সে আমার থানা এলাকার নয়, মিরপুর মডেল থানা এলাকার। তখনই জানাই অফিসের হোয়াটসএ্যাপ গ্রুপে। ডিসি স্যারের নির্দেশনায় দ্রুত চাল, ডাল বাজারের ব্যবস্থা করেন ওসি, মিরপুর। ধন্যবাদ ওসি, মিরপুরকে এমন মানবিক বিষয়ে সহায়তা করার জন্য। এমন প্রায় প্রতিদিনই মোবাইলে কল ও টেক্সট আসছে। আমরা যতটুকু সম্ভব সহায়তা করছি। আমার সাধ্য নাই সবাইকে সাহায্য করার, কিন্তু ইচ্ছাটা অনেক বড়। তিনি লিখেছেন ‘এখানে আমি যাদের কথা বলছি, তাদের ভিক্ষুক, ছিন্নমূল, আশ্রয়হীন কোন নামই দেয়া যাবে না! কথা বলে দেখেছি, কেউ মাদ্রাসার শিক্ষক, কেউ এলাকায় ভাড়া বাসায় নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মেয়েদের কোচিং করাত, কেউ বা চায়না, ইন্ডিয়া থেকে যারা বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে আসে, সেগুলো কালেক্ট করে বিভিন্ন দোকানে ডেলিভারি দিত। মাসে ১০-১৫ হাজার টাকা আয় করে সম্মানের সঙ্গে সংসার চালাত। নিজেরাও পথেঘাটে ভিক্ষুকদের সাহায্য করত। কিন্তু সবকিছু বন্ধ থাকায় আজ তার নিজের সংসার চলছে না। বলতে পারছে না আত্মীয় বা প্রতিবেশীদের। কারণ তারাও মোটামুটি এভাবেই জীবিকা নির্বাহ করে। আমরা যারা সাহায্য করছি বস্তি এলাকায় বা পথে পথে, এদের কখনোই সে কাতারে শামিল করা যাচ্ছে না। তারা পথে বের হয়ে বলতে পারছে না ‘আমার ৫ বছরের শিশুটি কাঁদছে, ঘরে খাবার নেই’। তিনি আরও লিখেছেন, আপনারা অনেকেই বিভিন্ন সংগঠন, সমিতি, ক্লাব বা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে দিয়েছেন খেতে না পাওয়া জনগোষ্ঠীর মুখে খাবার তুলে দেয়ার জন্য। অনেকেই ভাবছেন কিছু করবেন! যাদের সামান্যতম ইচ্ছে আছে এই কাজ করে খাওয়া মানুষগুলোর জন্য কিছু করার, তাদের আহ্বান জানাচ্ছি, আমার কিছু আইডিয়া আছে, আপনাদেরও থাকতে পারে, প্লিজ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আসুন মিলেমিশে কিছু করি। যে সময় আজ তাদের এই কষ্টে ফেলেছে সে সময়কে আমরা একসঙ্গে জয় করি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী বিতরণ সাঈদ খোকনের ॥ ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর হাইকোর্ট মাজারের সামনে ১ হাজারজন হতদরিদ্র, দিনমজুর রিক্সা চালকদের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী বিতরণ করেন। এ সময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদউদ্দিন আহমেদ রতন, ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক, সচিব মোস্তফা কামাল মজুমদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। মেয়র সাঈদ খোকন নগরবাসীদের বিশেষ জরুরী প্রয়েজন ছাড়া ঘরের বাইরে না বেরোনোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ সময়টা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এ বিষয়ে সতর্ক থাকুন। একইসঙ্গে হতদরিদ্রদের মাঝে এ খাদ্যসাগ্রী বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দেন মেয়র। অনুষ্ঠানে স্থানীয় কমিশনার ফরিদ উদ্দীন আহমেদ রতন বলেন, আমরা আজ হাইকোর্ট এলাকা ছাড়াও নিজ উদ্যোগে পীর ইয়েমেনী মার্কেটের পেছনে শাহ সাহেব বাড়ি এলাকায় ৬০টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করা হবে। এর বাইরে আমার এলাকার মোট ১ হাজার ৩৬০টি পরিবারের মাঝে খাবার পৌঁছে দিতে ডিএসসিসি মেয়রের দফতরে জমা দিয়েছে। এ তালিকা অনুযায়ী খাবার বিতরণ করা হবে। তবে দেশ ও বিদেশের এ ক্রান্তিলগ্নে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে দরিদ্র অসহায় শ্রেণীদের মাঝে সহায়তার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। এদিকে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ ও সমাজসেবা অধিদফতর এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে গুলিস্তান ও পলাশী এলাকায় ভিক্ষুকদের মাঝে দু’শ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ৫ কেজি চাল, আলু, অর্ধকেজি সয়াবিন তেল, এক কেজি ডাল ও ১টি করে সাবান দেয়া হয়। ঢাকা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রোকনুল হক, ঢাকা জেলাপ্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, মুখে মাস্ক পরে রাজধানীর নন্দিপাড়া, বাসবো ও দক্ষিণ বনশ্রীর ১০০ অসচ্ছ্বল পরিবারের কাছে চাল-ডালসহ বেশকিছু খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন চিত্রনায়িকা অধরা খান। তবে সে সময় নিজের পরিচয় গোপন রেখেছেন তিনি। অন্য দশজন সাধারণ মানুষের মতোই করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। অধরা খান জানিয়েছেন, এমন বৈশ্বিক দুর্যোগের সময় নিম্ন আয়ের মানুষেরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের কাজের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকে না খেয়ে দিন পার করছেন। তাদের জন্য আমরা সাধ্যমতো কিছু করার চেষ্টা করেছি। অসহায়দের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে অধরাকে সাহায্য করেছেন পরিচালক সাজ্জাদ খান ও তার বেশ কয়েকজন বন্ধু। আগামী সপ্তাহে তারা আরও বেশকিছু জায়গায় অসচ্ছলদের কাছে খাবার পৌঁছে দেবেন বলেও জানান। বাংলাদেশ জাতীয় নারী থ্রো-বল দলের অধিনায়ক এবং ঝর্ণা আক্তার মিরপুরে ২০০ পরিবারের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছেন। মিরপুর-১ এর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হরিরামপুর গোলারটেকে জর্ণা আক্তার অসহায় পরিবারগুলোর মধ্যে চাল, ডাল, পেঁয়াজ, আলু, সাবান প্যাকেট করে প্রদান করেছেন। তিনি বলেন, আমরা যদি যে যার অবস্থান থেকে গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই তাহলে সমস্যা প্রকট হবে না। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়া দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলোর এই বিপদের সময় তাদের পাশে থাকার অনুরোধ করব সবাইকে।
×