ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনামুক্ত হয়েছেন নতুন ছয়জন, আক্রান্ত আরও দুই

প্রকাশিত: ১০:২৬, ১ এপ্রিল ২০২০

করোনামুক্ত হয়েছেন নতুন ছয়জন, আক্রান্ত আরও দুই

নিখিল মানখিন ॥ দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও দুজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং সুস্থ হয়েছেন আরও ছয়জন। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৫১ জনের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন মোট ২৫ জন। আর মৃতের সংখ্যা আগের পাঁচজনই রয়ে গেছে। সুস্থ হওয়ার হার ৪৯ শতাংশ এবং মৃতের হার ১০ শতাংশ। করোনা রোগী সন্দেহে আইসোলেশনে রয়েছে ৭৫ জন। আর দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্দেহজনক কয়েকজন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সর্বাত্মক করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকার। করোনা সংক্রমণের স্তর যাতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন পর্যায়ে না যেতে পারে, সেজন্য নানা সরকারী উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম বেশ দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে। প্রতিরোধ কমিটি এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির তৎপরতায় হোম কোয়ারেন্টাইনে আসা ব্যক্তিদের সংখ্যাও কয়েকগুণ বেড়েছে। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকারী উদ্যোগও দেশবাসীকে ঘরে ঢুকিয়ে দিয়ে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের ভয়াবহ পরিস্থিতির হ্রাস ঘটিয়ে কিছুটা সহনীয় পরিবেশ তৈরি করেছে। তবে করোনার নমুনা পরীক্ষার আরও সম্প্রসারণ ঘটলে দেশের করোনা পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দুজন নতুন রোগী শনাক্ত- আইইডিসিআর ॥ মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। ব্রিফিংয়ে করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস) হাবিবুর রহমান। অধ্যাপক ডাঃ সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, নতুন আক্রান্ত দুজনই পুরুষ। তাদের একজনের বয়স ৫৭ বছর। তিনি সৌদি আরব থেকে এসেছেন। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। তবে তার ডায়াবেটিস আছে। আরেকজনের বয়স ৫৫ বছর। তার বিদেশ ভ্রমণের কোন ইতিহাস নেই। তারও ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ আছে। তারা দুজনই শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় হটলাইনে ফোন এসেছে ৩ হাজার ৬৩টি। এর মধ্যে করোনা সংক্রান্ত কল এসেছে ২ হাজার ৯৯৭টি। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪০ জনের। এর মধ্যে দুজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। সর্বমোট ১ হাজার ৬০২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। অধ্যাপক ডাঃ ফ্লোরা বলেন, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে আরও ছয় জনের শরীরে সংক্রমণ আর নেই। তাদের মধ্যে একজনের বয়স ৭০ বছর। চার জনের বয়স ৩০-৪০-এর কোঠায়। একজনের বয়স ৪০-এর কোঠায়। এদের মধ্যে একজন নার্স। তিনি সুস্থ হয়েছেন। সব মিলিয়ে ২১ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার পর পুনরায় সংক্রমিত হতে পারেন, এমন বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই বলে জানিয়ে ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এটি একটি নতুন রোগ, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য বিশ্ব জানছে। সেদিক থেকে কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রে এ সংক্রান্ত কোন বিস্তারিত বৈজ্ঞানিক তথ্য নেই, যে একজন আক্রান্ত রোগী সুস্থ হওয়ার পর আবার তিনি সংক্রমিত হয়েছেন। তবে বৈজ্ঞানিক তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের আমরা নজরদারিতে রাখছি। আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, যারা সুস্থ হয়ে গেছেন, তাদের শরীরে এই মুহূর্তে কোন সংক্রমণ নেই। তবে এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কারও ক্ষেত্রেই দেখা যায়নি যে, পুনরায় সেটা সংক্রমিত হয়। তবে অন্যান্য ভাইরাসের মতো এ ভাইরাসেরও ইমিউনিটি ডেভেলপ করে যায় কিনা সে তথ্যটি আমাদের কাছে নেই, বিশ্বের কাছেই নেই-বলা ভাল। তবে আক্রান্ত হয়ে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের প্রথমে ১৪ দিন এবং এক মাস পরে তাদের আবারও পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও সেটা ছুটি, তবে এটা বিশেষ ধরনের ছুটি। সামাজিকভাবে জনসমাগম বন্ধ করতে ও একজনকে অপরের থেকে পৃথক রাখার জন্য এ আদেশ দেয়া হয়েছে। তাই এ সময় সরকারীভাবে যেসব আদেশ-নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সেগুলো মেনে চলার অনুরোধ করব। আমরা কেউ এখন বাইরে যাবো না, যদি একান্ত আবশ্যক হয় তাহলে মাস্ক পরে যেতে হবে। কেউ অসুস্থ হলে আইইডিসিআরের হটলাইনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। জেলা পর্যায়েও সিভিল সার্জন অফিসে হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। সেখানেও যোগাযোগ করা যাবে। একইসঙ্গে নমুনা পরীক্ষার কেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক ফ্লোরা। সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, যাদের মধ্যে করোনার উপস্থিতি রয়েছে বলে সন্দেহ করব তাদের প্রত্যেকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতে চাই, যাতে করে কোন আক্রান্ত ব্যক্তি সমাজে রয়ে না যান, যার কাছ থেকে সংক্রমণটি ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং তার চিকিৎসারও ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চাই। এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্দেহজনক করোনা রোগীর মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে দেশের বিভিন্ন হাসপতাালে। অসংখ্যবার কল দিয়ে সাড়া পাচ্ছেন না শত শত করোনা উপসর্গে আক্রান্ত মানুষ। করোনার মতো উপসর্গ শোনার পরও নমুনা পরীক্ষা করানোর বিষয়টি এগিয়ে যাচ্ছেন হটলাইনে থাকা চিকিৎসকেরা। করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর রোগীটির দাফন/সৎকার করা হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইড লাইন অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতরের তৈরিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী। কিন্তু মৃত রোগীটির নমুনা পরীক্ষা হয় না। দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদনে এসব চিত্র বেরিয়ে এসেছে। ঝালকাঠিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক রোগীর মৃত্যু ॥ ঝালকাঠির রাজাপুরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আবদুল হাকিম হাওলাদার (৬০) নামে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের সাউথপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। হাকিম একই গ্রামের মৃত মৌজে আলী হাওলাদারের ছেলে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে করোনা আতঙ্ক বিরাজ করছে। সকালে হাকিমের মৃত্যু হলেও বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত স্থানীয় বা প্রতিবেশীদের কাউকে বাড়িতে দেখা যায়নি। চিকিৎসকের দেয়া ব্যবস্থাপত্রে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের ওষুধ ছিল। এদিকে ঝালকাঠির নলছিটি পৌর এলাকার অনুরাগ গ্রামের শ^শুর বাড়িতে ভারত থেকে আসা এক ব্যক্তি জ¦র, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হওয়ায় আশপাশের তিনটি বাড়িতে লাল নিশান টাঙিয়ে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বিদেশফেরত হাবিবুর রহমান নামে ওই ব্যক্তিসহ তিনটি বাড়িতে বসবাসকারী ২২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদারের নির্দেশে লাল নিশান টাঙিয়ে দেন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর। পিরোজপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু ॥ পিরোজপুরের ভা-ারিয়া উপজেলায় করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে সবুজ হাওলাদার নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলার ভা-ারিয়া উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব ধাওয়া গ্রামের বাড়িতে জ্বর সর্দি কাশি ও গলাব্যথায় নিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যায়। মৃত সবুজ হাওলাদার (১৭) ভা-ারিয়া উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব ধাওয়া গ্রামের আঃ আজিজ হাওলাদারের ছেলে এবং এ বছর দক্ষিণ ধাওয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। এদিকে করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ওই বাড়িসহ পাশর্^বর্তী বাড়িগুলোকে আলাদা আলাদাভাবে কোয়ারেন্টাইন থাকার ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান ভা-ারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজমুল আলম। এ বিষয়ে ভা-ারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডাঃ এইচ এম জহিরুল ইসলাম জানান, ছেলেটি ৪ দিন ধরে জ্বর সর্দি কাশি ও গলাব্যথায় ভুগছিলেন। ভা-ারিয়া থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান জানান, মৃতের বাড়িসহ আশপাশ থেকে যেন কেউ বের হতে বা কেউ যেন ঢুকতে না পারে সেজন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। কেশবপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে এক রোগী ॥ কেশবপুর হাসপাতালে সর্দি-কাশির এক রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার থানার ওসির সহযোগিতায় ওই রোগীকে পুনরায় কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বরিবার প্রথমে ওই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর করোনা আতঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে তাকে খুলনা মেডিক্যালে রেফার করা হয়েছিল। সেখানেও তাকে ভর্তি না করে ফিরিয়ে দেয়া হয়। কেশবপুর থানার ওসি মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, সংবাদ পেয়ে উপজেলার পাচপোতা গ্রামের হাজারি লাল সিংহের পুত্র মিলন সিংহকে (৫৬) বাড়ি থেকে এনে কেশবপুর হাসপাতালে সোমবার দুপুরে ভর্তি করা হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে মিলন জর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে গ্রাম্য চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দেয়নি। এতে এলাকায় করোনা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার কেশবপুর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হলে ১৫ মিনিট পরই তাকে খুলনা মেডিক্যালে রেফার্ড করা হয়। খুলনা মেডিক্যালও তাকে ভর্তি না করে জরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎসাপত্র দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। খবর পেয়ে অসহায় ওই রোগীকে বাড়ি থেকে নিয়ে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকৎসার ব্যবস্থা করি। পঞ্চগড়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন এক নারী ॥ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলস্টেশনের যাত্রী ছাউনিতে অরক্ষিত অবস্থায় জ্বরে আক্রান্ত এক নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করলো পুলিশ। করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে সোমবার রাতে স্থানীয় লোকজন পুলিশ সুপারকে ফোন করেন। এরপরই ওই নারীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সতর্কতার সঙ্গে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ না পাওয়ায় তাকে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ঠা-াজনিত কারণে তিনি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত বলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ তোফায়েল আহমেদ জানান। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী জানান, মানুষের মধ্যে এখন কিছুটা করোনাভাইরাসের আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা রেলস্টেশনের যাত্রী ছাউনিতে ওই নারীকে জ্বরে কাঁপতে দেখেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে লোকজন ফোনে আমাকে জানালে আমি সেখানে একদল পুলিশ পাঠিয়ে দিই। আমাদের পুলিশ সদস্যরা সুরক্ষা পোশাক পরে অসুস্থ ওই নারীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। রাজশাহীতে লাশ দাফনে বাধা ॥ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এক ব্যক্তি। এরপর লাশ দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারেন, এমন আশঙ্কায় দাফনে বাধা দেন এলাকার লোকজন। তবে ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসে মারা যাননি-স্বাস্থ্য বিভাগের এমন আশ্বাসের পর পুলিশের উপস্থিতিতে অবশেষে লাশ দাফন করা হয়। রাজশাহীর বাগমারায় সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের কয়েকটি মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ হয়েছিল তারা করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কিনা, এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, যাদের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে, তাদের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে কারো দেহে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নেই। ডাঃ মীরজাদী বলেন, সারাদেশে এখনও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩৮ জন। আর ৭৫ জন আছেন আইসোলেশনে। গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআর, জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান এবং চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) পরীক্ষাগুলো করা হয়েছে।
×