ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কেশবপুর হাসপাতালে জ্বর-সর্দি-কাশির রোগীকে আইসোলেশনে চিকিৎসা

প্রকাশিত: ০১:৪১, ৩১ মার্চ ২০২০

কেশবপুর হাসপাতালে জ্বর-সর্দি-কাশির রোগীকে আইসোলেশনে চিকিৎসা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর ॥ কেশবপুর হাসপাতালে সর্দি-কাশির এক রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার থানার ওসির সহযোগীতায় ওই রোগীকে পূনরায় কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বরিবার প্রথমে ওই রোগিকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর করোনা আতংকে সাথে সাথে তাকে খুলনা মেডিক্যালে রেফার করা হয়েছিল। সেখানেও তাকে ভর্তি না করে ফিরিয়ে দেয়া হয়। কেশবপুর থানার ওসি মোঃ জসিম উদ্দিন জানান, সংবাদ পেয়ে উপজেলার পাচপোতা গ্রামের হাজারি লাল সিংহের পুত্র মিলন সিংহকে (৫৬) বাড়ি থেকে এনে কেশবপুর হাসপাতালে সোমবার দুপুরে ভর্তি করা হয়। গত এক সপ্তাহ ধরে মিলন জর-সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হয়ে গ্রাম্য চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা দেয়নি। এতে এলাকায় করোনা আতংক ছড়িয়ে পড়ে। রবিবার কেশবপুর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হলে ১৫ মিনিট পরেই তাকে খুলনা মেডিক্যালে রের্ফাড করা হয়। খুলনা মেডিকেলও তাকে ভর্তি না করে জরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎসাপত্র দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। খবর পেয়ে অসহায় ওই রোগীকে বাড়ি থেকে নিয়ে কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকৎসার ব্যবস্থা করি। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আলমঙ্গীর হোসেন জানান, মিলন সিংহ একজন এ্যাজমা রোগি। রবিবার ওই রোগিকে আমরা ভর্তির পর খুলনা মেডিক্যালে রেফার করি। কিন্তু সেখানে তাকে ভর্তি না করায় আবারও আমরা কেশবপুর হাসপাতালে ভর্তি করে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছি। মিলন সিংহ করোনা রোগি কিনা বা তার করোনার পরীক্ষা করা হবে কিনা এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, সে আসলে করোনা রোগী না। সেজন্য তার পরীক্ষারও দরকার হবে না। আক্রান্তের ছেলে তিলক সিংহ জানান, তার বাবা মিলন সিংহ গত ১৯ মার্চ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। এরপর মঙ্গলকোট বাজারে স্থানীয় ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রবিবার তাকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মাত্র ১৫ মিনিট পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়পত্র দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। রবিবার দুপুরের দিকে তাকে খুমেক হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ব্যক্তিরা মিলন সিংহকে ডায়াবেটিক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেয়। কিন্তু ডায়াবেটিক হাসপাতালের গেটের দারোয়ান তাকে ভেতরে ঢুকতে না দেওয়ায় পুনরায় খুমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তখন সেখানে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক দূর থেকে তার ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
×