ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

হটলাইনে আসা কলের সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না

২৪ ঘণ্টায় ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা, করোনা আক্রান্ত নেই

প্রকাশিত: ১০:৩১, ৩০ মার্চ ২০২০

 ২৪ ঘণ্টায় ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষা, করোনা আক্রান্ত নেই

নিখিল মানখিন ॥ টানা দুইদিন দেশে নতুন কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি, মৃত্যুর ঘটনাও নেই। মোট সুস্থ হওয়া করোনা রোগীর সংখ্যা ১৫ এবং মৃতের সংখ্যা ৫ জনই রয়ে গেছে। করোনা রোগী সন্দেহে আইসোলেশনে রয়েছে ৫৬ জন। দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্দেহজনক করোনা রোগীর হাসপাতালে ভর্তি এবং এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনা বেড়েছে। সীমিত পরিসরে নমুনা পরীক্ষা করে করোনা সংক্রমণের কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের ব্যাপকতা সঠিকভাবে পরিমাপ করা যাবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদফতরের হটলাইনগুলোতে দৈনিক আসা ৭০ থেকে ৮০ হাজার কলের সঠিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এত সংখ্যক কল সঠিকভাবে মূল্যায়িত হলে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা এবং করোনা রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আইইডিসিআর। করোনাভাইরাস সংক্রমণের চারটি স্তর রয়েছে। চারটি স্তরের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়টি হলো কমিউনিটি সংক্রমণ। এই স্তরে রোগ কোন সম্প্রদায়গতভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং বৃহত্তর অঞ্চলের মানুষ সংক্রামিত হয়। সম্প্রদায়ের সংক্রমণ তখনই হয় যখন কোন রোগী কোন সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে না আসা সত্ত্বেও বা আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে কোন একটি দেশে সফর না করা সত্ত্বেও তার শরীরে ওই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে। এই পর্যায়ে, সংক্রামিতদের শরীরে কোথা থেকে এই ভাইরাস এসেছে তা শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। তাই সীমিত পরিসরে হলেও কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়ে থাকলে দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়ানো দরকার। দৈনিক গড়ে ১০০টি নমুনা পরীক্ষা করে কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের ব্যাপকতা সঠিকভাবে পরিমাপ করা যাবে না। ফলে হঠাৎ করে করোনা আক্রান্তের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নতুন শনাক্ত রোগী নেই, মৃত্যু নেই ॥ আইইডিসিআর আইইডিসিআর করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবারও নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের অধীন জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। করোনার সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস) ডাঃ হাবিবুর রহমান। আর অনলাইন ব্রিফিংয়ে নিজ বাসায় বসে অংশ নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি। প্রেস ব্রিফিংয়ে ডাঃ সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ১৭৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০৯ জনের। তবে নতুন করে কারও শরীরে এ ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় আইইডিসিআর-এর হটলাইনে কল এসেছে ২ হাজার ৭২৬টি। তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যেসব নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাতে কারও মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েনি। আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৪৮ এবং মৃতের সংখ্যা ৫ জনই রয়ে গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ১৫ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে। এদিকে, নিজ বাসভবন থেকে আইইডিসিআর’র অনলাইন ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বড় বড় হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ আছে। যেখানে ১০টি আইসিইউ আছে সেখানে আমরা তিনটি করোনা রোগীর জন্য বরাদ্দ রাখতে বলেছি। সরকারী হাসপাতালগুলোতে ৫শ’ ভেন্টিলেটর মেশিন রয়েছে। বেশকিছু স্থাপিত হচ্ছে। আরও সাড়ে ৩শ’ আসছে। প্রাইভেট সেক্টরে ৭শ’ ভেন্টিলেটর মেশিন রয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আগামী ৪ এপ্রিল সরকারী ছুটি শেষ হয়ে যাচ্ছে। এটা ঠিক। বর্তমান প্রেক্ষাপটের অবস্থা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে। কেউ পিপিই দিচ্ছে, কেউ কিট দিচ্ছে, কেউ ভবন দিচ্ছে। কেউ তার জায়গা দিচ্ছে। এতে আমরা খুবই আনন্দিত। দেশবাসী একসঙ্গে কাজ করছেন। এ সময় করোনা নিয়ে টেস্টের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ১১টি জায়গাতে টেস্ট করতে সক্ষম হব। ইতোমধ্যে ছয় থেকে সাতটি জায়গায় টেস্ট শুরু হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি বড় বড় বেসরকারী হাসপাতালকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে টেস্ট ক্যাপাসিটি স্থাপন করার জন্য। আইসোলেশনে রয়েছে ৫৬ জন ॥ সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র রবিবার পাঠানো স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ নাসিমা সুলতানা জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২১১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে এবং কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ৪০৩৯ জন। বর্তমানে মোট হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২৮ হাজার ৩৪১ জন এবং এ পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে মোট ৫৩ হাজার ২৩৫ জনকে। হোম, হাসপাতাল ও অন্যান্য কোয়ারেন্টাইনে বর্তমানে রয়েছে মোট ২৮ হাজার ৪৮৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে আসা মোট ৩৪০ জনের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৮৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছে মোট ৫৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসমূহে ৩৬ জন, সমুদ্রবন্দর সমূহে ২১৫ জন, স্থলবন্দরসমূহে ১৫৯ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্দেহজনক করোনা রোগী ॥ দেশের বিভিন্ন স্থানে সন্দেহজনক করোনা রোগীর মৃত্যু ঘটনা ঘটেছে। করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে। দৈনিক জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদনে এসব চিত্র বেরিয়ে এসেছে। মানিকগঞ্জে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক রোগীর মৃত্যু ॥ মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে জ্বর-কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সুচিত্রা সরকার (২৬) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। করোনাভাইরাসে তার মৃত্যু হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হতে মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার মুন্নু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সুচিত্রা সরকার হরিরামপুর উপজেলার বলড়া ইউনিয়নের বড়ইছড়া গ্রামের মুদি দোকানদার নিতাই সরকারেরর স্ত্রী। খুলনায় করোনা আইসোলেশনে বৃদ্ধের মৃত্যু ॥ খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা আইসোলেশনে সুলতান শেখ (৭০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি এখানে ভর্তি হন। রবিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায়। বরিশালে সন্দেহজনক দুই করোনা রোগীর মৃত্যু ॥ করোনা সন্দেহে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই রোগী মারা গেছে। এরমধ্যে রবিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ৪৫ বছর বয়সের এক পুরুষ রোগীর মৃত্যু হয়। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার গোহানগাছিয়া গ্রামে। শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন জানান, পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রেফার করার পর শনিবার বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে ওই রোগীকে তার স্বজনরা শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর ওই রোগীকে প্রথমে মেডিসিন ইউনিটে এবং সেখান থেকে রাতেই করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করার পর রবিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে জানানো হয়েছে। তাদের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি মৃতদেহের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। অপরদিকে ভর্তির পর করোনা ইউনিটে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিরু বেগম (৪৫) নামের এক নারী রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত ১২টা ৫ মিনিটের। এর মাত্র ১৫ মিনিট আগে ওই রোগীকে শেবাচিম হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন জানান, রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে উপসর্গ শুনে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে করোনা ইউনিটে প্রেরণ করেন। সেখানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নওগাঁয় সন্দেহজনক এক করোনা রোগীর মৃত্যু ॥ ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে আসা নওগাঁর রানীনগরের যুবক আল আমিন (২২) মারা গেছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে তাকে বাড়িতে উঠতে দেয়নি গ্রামবাসী। আল আমিনকে এক এক করে ৩টি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হলেও কোন হাসপাতারে তার চিকিৎসা মেলেনি। সর্বশেষ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাতে আল আমিনের মৃত্যু হয়। পটুয়াখালীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে দু’জনের মৃত্যু ॥ পটুয়াখালীতে ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে জ্বর সর্দির উপসর্গ নিয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে ৪০ বছরের একজনের মৃত্যু হয়েছে রবিবার সকাল ৮টায়। তিনি বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিলেন। ৬৫ বছর বয়সী অপরজনের মৃত্যু হয়েছে পটুয়াখালী শহরে। স্থানীয় প্রশাসন ওই দু’জনের শহর ও শহরতলীর বাড়ি লকডাউন করেছে। মৃত একজনের গলাচিপার গ্রামের বাড়িও লকডাউনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এছাড়া, মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হতে উভয়ের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। বরিশাল মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এ ব্যক্তি শাসকষ্ট, জ্বর ও সর্দিকাশি নিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে তার মৃত্যু করোনায় কিনা সেটা বলা যাচ্ছে না। নিশ্চিত হতে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। তার মৃতদেহ আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসন দাফনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এদিকে পটুয়াখালী জেলা শহরের মাতবর বাড়ি এলাকায় শনিবার বিকেলে ৬৫ বছরের এক ব্যক্তি মারা যান। সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ওই ব্যক্তি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুর পর স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পরে রাত ১০টার দিকে জানাজার পর তার লাশ দাফন করা হয়। এ ব্যক্তির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত ওই বাড়িটি জেলা প্রশাসনের নির্দেশে লকডাউন করা হয়। নাটোরে সন্দেহজনক করোনায় আক্রান্ত এক শিক্ষার্থী ॥ মহামারী করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে তৌফিক আহমেদ (২৩) নামে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য শনিবার রাত ৯টার দিকে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাজিতপুরে তার নিজ বাড়ি থেকে সরকারী এ্যাম্বুলেন্সে করে তারা রামেকে স্থানান্তর করা হয়। তৌফিক আহমেদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে অনার্স শেষ করে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। এর আগে ঢাকায় থাকাকালীন সময়ে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যাথা, শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগলে বাড়ি ফিরে আসে ওই শিক্ষার্থী। বর্তমানে ওই শিক্ষার্থীর পুরো পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করে নজরদারির মধ্যে স্থানীয় প্রশাসন। লালমনিরহাটে সন্দেহজনক করোনা রোগীর মৃত্যুতে লকডাউন ॥ শনিবার জেলার আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের হেলিপ্যাডপাড়ায় ঢাকা ফেরত রিক্সাচালক মোঃ আজিজুল ইসলাম (৪৬) শ্বাসকষ্ট সমস্যায় ভুগে মারা য়ায়। তাকে স্বজনরা সীমিত সমাগমে জানাজা শেষে বাড়ির পাশের কবরস্থানে দ্রুত দাফন করে। এই রিক্সাচালকের মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্ররজাল। জ্বর ও শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়ায় প্রতিবেশীরা করোনা আতঙ্কে ভুগছে। অতিউৎসাহী কিছু মানুষ সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক ও মুখে মুখে করোনা গুজব ছড়াচ্ছে। উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনপাড়ার কয়েকটি পরিবারকে ও মৃতের স্বজনদের লকডাউন করে দিয়েছে। পরিস্থিতি নিবির পযর্বেক্ষণে রেখেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সিভিল সার্জন বলেছেন, গুজবে কান না দিয়ে সচেতন হউন। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। রংপুরে করোনা সন্দেহে পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি ॥ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে আসা একই পরিবারের তিন জনসহ পাঁচজনকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সবাই ঠাকুরগাঁও জেলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে আড়াই বছরের এক শিশু রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে মুন্সীগঞ্জের দুই চিকিৎসকের মৃত্যু ॥ মুন্সীগঞ্জের-বিক্রমপুরের লৌহজংয়ের কাজির পাগলা গ্রামের সন্তান আমেরিকা প্রবাসী চিকিৎসক ডাঃ শাকিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। করোনায় মারা গেছেন তার পিতা শফিকুল ইসলাম। হাসপাতালে করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন তার মা রাশিদা খানম। পরিবারের এই তিন সদস্যই সম্প্রতি সেখানে করোনায় আক্রান্ত হন। পরে অল্প সময়ের ব্যবধানে পিতা-পুত্র শুক্রবার হাসপাতালে মারা যান।
×