ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ঠাকুরগাঁয়ের লকডাউন করা নদীপাহাড় গ্রামের গরীব মানুষরা খাদ্য সংকটে

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ২৯ মার্চ ২০২০

ঠাকুরগাঁয়ের লকডাউন করা নদীপাহাড় গ্রামের গরীব মানুষরা খাদ্য সংকটে

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও ॥ সদর উপজেলার ৭ নং চিলারং ইউনিয়নের নদীপাহাড় গ্রামে একই পরিবারের ৫ জন কে করোনা ভাইরাস সন্দেহ ভাজন পরিবারের ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিায়েছে প্রশাসন। বর্তমানে ওই গ্রামের সবার সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কথা ভেবে গ্রামটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ওই গ্রামটি লকডাউন করার পর গ্রামের গরীব অসহায় মানুষদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। জানা যায় এ খাদ্য সংকটের কারনে গ্রাম থেকে পালানোর চেষ্টা করছে কেউ কেউ। আবার এ গ্রামের কেউ অন্য গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া করা হচ্ছে তাদের। তবে গ্রাম জুড়ে পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে এখনও গ্রাম থেকে কেউ পালাতে পারেনি। রবিবার বিকালে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঐ গ্রামে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার রয়েছে। যার অধিংকাংশই দিন মজুর। তাদের গ্রাম লকডাউন থাকার কারণে তাদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা সচেতনতা অবলম্বন করেছি এবং প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলছি। কিন্তু আমাদের মাঝে ব্যপক খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ আমরা সবাই দিন মজুর গরীব মানুষ। আমাদের সাহায্যে সবাই এগিয়ে অসুন। ঠাকুরগাঁওয়ের বিত্তবানদের অনুরোধ করবো যেনো আমাদের এলাকায় খাদ্য সংকট নিরসনে কাজ করে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: জিয়াউর রহমান বলেন, নদীপাহাড় গ্রামটি লকডাউন ঘোষণা করার পর থেকে গ্রামের কোন মানুষ যেনো ঘর থেকে বের না হয় এবং গ্রামের বাইরে কোথাও যেতে না পারে সে জন্য রাস্তা ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে কঠোর পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে এই গ্রাম থেকে কাউকে ঢুকতে ও বের হতে দেওয়া হচ্ছেনা। সবাইকে ঘরে থাকার জন্য বলা হয়েছে এবং সবাইকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। যেহেতু এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ দিনমজুর গরীব। ফলে এখানে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সকলের প্রচেষ্টায় তাদের খাদ্য সংকট নিরসনে কাজ করতে হবে। তাদরে দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এরই মধ্যে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর ত্রান ভান্ডার থেকে এই গ্রামের শতাধিক গরীব মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
×