নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর ॥ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সারাদেশের ন্যায় শেরপুরেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় কর্মহীনদের হাতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। রবিবার দুপুরে লকডাউনের চতুর্থ দিনে শহরের নবীনগর, চকপাঠক, পশ্চিমশেরী ও নওহাটা এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে শতাধিক কর্মহীন মানুষদের মাঝে ওই খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট তুলে দেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব।
খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিল ৩ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি আলু, ১ কেজি লবণ, ১ লিটার তেল, কাঁচা মরিচ, সাবান ইত্যাদি।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও লোকসমাগম বন্ধ থাকায় নি¤œআয়ের মানুষগুলো কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে দরিদ্র মানুষের মাঝে ওইসব খাদ্য বিতরণ শুরু করেছি।
এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ওইসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবিএম এহছানুল মামুন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ আল মামুন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারুক আল মাসুদ, এনডিসি মিজানুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বাড়িতে বসেই খাদ্যসামগ্রী পেয়ে বেজায় খুশি নিম্নআয়ের কর্মহীন মানুষরা। কেউ কেউ বলেছেন, ‘কাজ-কাম নাই। ঘরতে বাইর হইতে পারি না। কী খামু, কার কাছে যামু, কোথায় পামু, এ নিয়া খুবই চিন্তায় আছিলাম। আল্লায় অহন একটা ব্যবস্থা করছে। আমগরে জন্য খুব ভালো হইছে। শেখের বেডি হাসিনা আছে বলেই আমগো ভাগ্যে ওই খাবার জুটছে’। তারা জেলা প্রশাসকসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবিএম এহছানুল মামুন জানান, তাৎক্ষণিক মানবিক সহায়তা হিসেবে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে জেলায় মোট ২শ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে জেলার ৫টি উপজেলায় ১১১ মেট্রিক টন চাল ও ৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়ার পর পরই শনিবার বিকেল থেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান শুরু করেছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।