ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশাল শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দুই রোগীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ০২:১০, ২৯ মার্চ ২০২০

বরিশাল শেবাচিমের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন দুই রোগীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ করোনা সন্দেহে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই রোগী মারা গেছে। এরমধ্যে আজ রবিবার সকাল ৭ টা ২০ মিনিটে ৪৫ বছর বয়সের এক পুরুষ রোগীর মৃত্যু হয়। তার বাড়ি পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার গোহানগাছিয়া গ্রামে। শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন জানান, পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রেফার করার পর শনিবার বিকেল ৫ টা ৫০ মিনিটে ওই রোগীকে তার স্বজনরা শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর ওই রোগীকে প্রথমে মেডিসিন ইউনিটে এবং সেখান থেকে রাতেই করোনা ওয়ার্ডে স্থানান্তর করার পর রবিবার সকাল ৭ টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। রোগীর শ্বশুর মোবাইল ফোনে জানান, মৃত রোগী দীর্ঘদিন যাবত অ্যাজমা জনিত শ্বাসকষ্ট রোগে ভূগছিলো। শেবাচিমের পরিচালক আরও জানান, আমাদের এখনে করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণের কোন কিটস নেই। তবুও রোগীর রোগের লক্ষন দেখে করোনায় আক্রান্ত সন্দেহে ভর্তি করা হয় এবং পরবর্তীতে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটকে জানানো হয়েছে। তাদের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি মৃতদেহের বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। অপরদিকে ভর্তির পর করোনা ইউনিটে নেয়ার সাথে সাথে নিরু বেগম (৪৫) নামের এক নারী রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটের সময়। এরমাত্র ১৫ মিনিট আগে ওই রোগীকে শেবাচিম হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ বাকির হোসেন জানান, রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে উপসর্গ শুনে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে করোনা ইউনিটে প্রেরণ করেন। সেখানে পৌঁছানোর সাথে সাথে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত রোগীর স্বজনদের তথ্যের ভিত্তিতে হাসপাতালের পরিচালক আরও বলেন, নিরু বেগম ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তিনদিন আগে বরিশাল সদর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানে চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে তিনি বাড়িতে ফিরে যান। এরপর বাড়িতে বসে তিনি জ্বর, গলাব্যাথা ও শ্বাসকস্টে আক্রান্ত হন। শনিবার তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাত পৌঁনে ১২টার দিকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিরু বেগমের ডায়বেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ ছিলো বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন। তবে তার (নিরু বেগম) কোন স্বজন বিদেশ থেকে আসেননি কিংবা তিনিও বরিশালের বাহিরে কোথাও যাননি। সূত্রমতে, দুই সন্তানের জননী মৃত নিরু বেগম বরিশাল নগরীর কাউনিয়া পুরানপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ দুলালের স্ত্রী। হাসপাতালে মারা যাওয়ার পরপরই তার স্বজনরা মৃত দেহ বাসায় নিয়ে যান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শেবাচিম হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা সন্দেহে ছয়জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তারা কেউ করোনায় আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। এমনকি দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত এই চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রে করোনা সনাক্তকরনের জন্য কোন ল্যাব নেই।
×