ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টুকরো খবর

প্রকাশিত: ১১:৩০, ২৯ মার্চ ২০২০

টুকরো খবর

করোনায় বিশ্বব্যাংকের রিলিফ প্যাকেজ করোনাভাইরাস মহামারীতে অর্থনীতির ওপর প্রভাব প্রশমনে বাড়তি রিলিফ প্যাকেজ চূড়ান্ত করেছে বিশ্বব্যাংক। এক বিবৃতিতে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস জানান, বিস্তৃত অর্থনৈতিক প্রভাব ঠেকাতে আমরা বাড়তি একটি ত্রাণ তহবিল চূড়ান্তের দিকে এগোচ্ছি। করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এ পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করছে ব্যাংকটি। ম্যালপাস জানান, বিশ্বব্যাংক পরিচালনা পর্ষদে একটি প্যাকেজ প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে, যেখানে আগামী ১৫ মাসে ১৬ হাজার কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। গত সপ্তাহে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের জরুরী সহায়তা ঘোষণা করা হয়েছে, যা করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশু স্বাস্থ্য ও সামাজিক প্রভাব মোকাবেলায় ব্যয় করা হবে। করোনাভাইরাস যে বিশ্বব্যাংক পরিবারেও আঘাত হেনেছে, সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ক্যারোল ব্রুকিং। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারতের মতো দরিদ্র, গণবসতিপূর্ণ দেশগুলো নিয়ে আমি বিশেষভাবে উদ্বিগ্ন, যাদের স্বাস্থ্যসেবা খাত খুবই দুর্বল এবং যেখানে মানবসম্পদ, সরবরাহ ও অবকাঠামো খাতে বিশালাকার বিনিয়োগ আবশ্যক। বিশ্বের ৫৬টি দেশে যে কভিড-সংক্রান্ত প্রকল্পগুলো এগোচ্ছে সেদিকে ইঙ্গিত করে বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলো যাতে বিশ্বব্যাংককে সহযোগিতায় এগিয়ে আসে সে আহ্বান করেন ম্যালপাস। ২৪টি দেশে চলমান প্রকল্পগুলো জরুরী স্বাস্থ্যসেবা খাতে পুনর্গঠনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। চলমান সঙ্কট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন ম্যালপাস। যুক্তরাষ্ট্রে বেকার বাড়ছে বেকার হয়ে পড়ছেন যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষ। করোনাভাইরাসের প্রকোপ মোকাবিলা করতে ‘লকডাউন’ করায় কাজ হারিয়েছে অনেক মানুষ। শ্রম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত এক সপ্তাহে ৩৩ লাখ মানুষ বেকারভাতার জন্য আবেদন করেছেন, যা রেকর্ড। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে ১৯৮২ সালে একবার এক সপ্তাহে ৬ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ বেকারভাতার আবেদন করেছিল। এবার তার পাঁচগুণ বেশি মানুষ এই আবেদন করেছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, যেমনটি আঁচ করা হচ্ছে, পরিস্থিতি এর চেয়েও খারাপ হতে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস-পরিস্থিতি এখনও নাজুক। বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থিমিত। গাড়ি নির্মাতারা কাজ বন্ধ রেখেছেন, উড়োজাহাজ ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মার্কিন জনগণের এক পঞ্চমাংশ এখন লকডাউন পরিস্থিতিতে আছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার ছিল ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে। আশা করা হচ্ছিল, সামনের সময়ে দেশটির শ্রমবাজার আরও শক্তিশালী হবে। তবে পরিস্থিতি ওলট-পালট হয়ে গেল করোনার কারণে। গত সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৩৩ লাখ মানুষ বেকারভাতার আবেদন করেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বেকারত্বের হার ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে। অর্থনীতি ডেস্ক
×