ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার প্রভাবে সবজি চাষীদের মাথায় হাত

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ২৯ মার্চ ২০২০

করোনার প্রভাবে সবজি চাষীদের মাথায় হাত

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ করোনাভাইরাসের কবলে কপাল পুড়ছে নীলফামারীর সবজি চাষীদের। ক্রেতা সঙ্কটের পাশাপাশি মূল্যেও ধস নেমেছে। সবজি চাষীরা বাজারে বেগুন, ফুলকপি, টমেটো ও গাঁজর ২ টাকা কেজিতেও বিক্রি করতে পারেনি। শনিবার জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের উত্তর কানিয়ালখাতা গ্রামের কৃষক জিল্লুর রহমান (৫০) ৫০ কেজি ওজনের পাঁচ বস্তা বেগুন এনেছিলেন বড়বাজারে বিক্রি করতে। দুপুর পর্যন্ত মাত্র ৪০ কেজি বিক্রি করেছেন দুই টাকা কেজি দরে। বাকি ১০ কেজি বিক্রির ক্রেতা খুঁজে পাননি। তিনি জানালেন, গত বছর দেড় বিঘা জমির বেগুন বিক্রি করে আয় হয়েছিল দেড় লাখ টাকা। এবারের পরিস্থিতিতে উৎপাদন খরচ উঠানো সম্ভব হবে না। তার মতো অবস্থা ওই গ্রামের কৃষক মোঃ ছকিমদিন (৫৫), সামসুল হকসহ ( ৫৬) শতাধিক কৃষকের। তারা বলেন, শাক-সবজি কাঁচা পণ্য হওয়ায় ফলন আসার সময়েই বিক্রি করতে হয়। এ সময়ে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়ায় আমাদের কপাল পুড়েছে। এখন যে দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাতে উৎপাদন খরচ পরের কথা পরিবহন খরচও উঠছে না। জেলার হাটবাজারে ক্রেতা কমেছে। বেড়েছে কাঁচা শাক-সবজির আমদানি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ক্ষিরা ২ টাকা, টমেটো ৫ টাকা বিভিন্ন জাতের আলু ১৫ থেকে ২২ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, করলা ২৫ থেকে ৩০ টাকা গাজর ও বেগুন ২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে। একটি ফুলকপি ৫ টাকা পাতাকপি ২ টাকা পিস। দোকানগুলো ছিল ক্রেতাশূন্য। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ওই বাজারের বড় ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম জানান, পাইকারি বাজারে প্রতিদিন শাক-সবজির আমদানি প্রচুর। কিন্তু ক্রেতা না থাকায় বিক্রি হচ্ছে না। ফলে অনেকে শাক-সবজি বাজারে এনে ফেরৎ নিয়ে যাচ্ছেন। পাইকাররা বিক্রি করতে না পারায় বাজারেই রেখে চলে যাচ্ছেন। এমন মন্দাভাবে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক। তিনি বলেন, দাম বেশি কমেছে দ্রুত পচনশীল সবজির। তবে করোনাভাইরাসে লেবুর দাম বাড়ছে প্রতিদিন। আগে ছিল প্রতি লেবু ৩ টাকা। দাম বেড়ে শনিবার পর্যন্ত একটি লেবুর দাম হয়েছে ১২ টাকা।
×